রাতে ঘর থেকে বেরিয়ে ফেরেননি, সকালে সড়কের পাশে মিলল যুবকের লাশ
Published: 26th, February 2025 GMT
মুদিদোকানের কর্মচারী বেলাল হোসেন মোছাদ্দির (২১) প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় বাড়ি ফেরেন। এর ঘণ্টাখানেক পর বাড়ি থেকে আবার বেরিয়ে যান তিনি। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি মোছাদ্দির। আজ বুধবার সকালে সড়কের পাশে একটি জমি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌরসভার দক্ষিণ সতর এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে। আজ সকালে দক্ষিণ সতর উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের জমিতে তাঁর বেলালের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানান এলাকাবাসী। এরপর পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। নিহত বেলাল হোসেন মোছাদ্দির দক্ষিণ সতর এলাকার মিন্টু মোছাদ্দিরের ছেলে।
নিহত বেলালের বাবা মিন্টু মোছাদ্দির প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে বেলালের মায়ের মৃত্যু হয়। তাঁদের পারিবারিকভাবে কোনো শত্রু নেই। বেলাল ঘর থেকে রাতে বের হয়ে না ফেরায় তাঁরা চিন্তিত ছিলেন। কিন্তু সকালে ছেলের লাশ পাওয়া যাবে তা ভাবতে পারছেন না। কীভাবে বেলালের মৃত্যু হয়েছে, তা খুঁজে বের করার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।’
ছাগলনাইয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল
১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।
১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।
১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।
মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।
বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।
আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।
কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।
ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি