৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নাবিল গ্রুপের মালিক আমিনুল ও সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Published: 30th, July 2025 GMT
জাল রেকর্ডপত্র তৈরি করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক থেকে ৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে নাবিল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের কর্নধার মো. আমিনুল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলমসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে দুদকের মহাপরিচালক মো.
দুদকের মামলায় বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে কোনো পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের প্রক্রিয়া ছাড়াই ভুয়া কোম্পানি ও জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে বাই-মুরাবাহাভিত্তিক বিনিয়োগের নামে গুলশান সার্কেল-১ শাখা থেকে টাকা উত্তোলন করেন। এরপর অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তরের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য, নাবিল ও এস আলম গ্রুপের মালিক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। বাকি আসামিরা হলেন নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আমিনুল ইসলামের মামা ও গ্রুপের রাজশাহীর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার মো. শরিফুল ইসলাম, নওগাঁর মার্কেট মাস্টার এনালাইজার ও গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহ আলম, ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের ইভিপি মো. মোজাহিদুল ইসলাম, নিউ মার্কেট শাখার এভিপি মো. কাইয়ুম সিকদার, মাধবদী শাখার এভিপি মো. জহুরুল হক, গুলশান সার্কেল-১ শাখার এফএভিপি মো. আবদুল কাইয়ুম, ডিএমডি ও এসআইডব্লিউ প্রধান মাহমুদুর রহমান, ঢাকা সেন্ট্রাল জোনের সাবেক এসভিপি মো. নাজমুল হুদা সিরাজী, শ্যামলী শাখার এফএভিপি মো. আলমগীর হোসেন, এভিপি মো. কামরুজ্জামান, ধোলাইখাল শাখার ভিপি মো. মমতাজউদ্দিন চৌধুরী, সাবেক ডিএমডি ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিফতাহ্ উদ্দিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১ মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডিএমডি মো. সিদ্দিকুর রহমান, এসইভিপি মোহাম্মদ শাব্বির, এসইভিপি মোহাম্মদ উল্লাহ, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সেলিম উদ্দিন, তৎকালীন নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ আবু আসাদ, তানভীর আহম্মদ, মো. কামরুল হাসান, মো. সালেহ জহুর, মো. ফসিউল আলম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মুনিরুল মওলা, কোম্পানি সচিব ও এএমডি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ্, নাবিল ট্রেডিংয়ের মালিক ইসরাত জাহান, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শহিদুল আলম, এস আলম ভিজিটেবল অয়েলের পরিচালক ফারজানা পারভীন, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের এমডি মিশকাত আহমেদ, এস আলম সুপার এডিবল অয়েলের পরিচালক শাহানা ফেরদৌস।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদ ল ইসল ম এস আলম ল আলম
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়া ডিসি অফিস চত্বরে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে মূলহোতা কুষ্টিয়ার এডিসি জাহাঙ্গীর আলমসহ দুর্নীতিবাজদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্নীতিবিরোধী ছাত্র-জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সিভিল সার্জন কার্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় সকলের সামনে আসার পরেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সকল তথ্য প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে অবস্থান করছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশন ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা এবং গণমাধ্যমে প্রচার হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এডিসি জাহাঙ্গীর আলমসহ যারা জড়িত দুই দিনের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তারসহ আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বিক্ষোভকারীরা।
গত ২৪ অক্টোবর কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরদিন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন ছাত্র জনতা। ২৬ অক্টোবরও তারা কুষ্টিয়া সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ তিন দফা দাবিতে কর্মসূচি দেন বিক্ষুব্ধরা। এরই প্রেক্ষিতে নিয়োগ পরীক্ষা সাময়িক স্থগিত করা হয়।
এ ঘটনায় ২৭ অক্টোবর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়ার একটি টিম ও স্বাস্থ্য বিভাগের অপর একটি উচ্চপর্যায়ের টিম অভিযোগ তদন্তে ওই কার্যালয়ে যায়।
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব