দুই হাজার কোটি টাকার মালিক এই পরিচালক হতে পারেন তরুণ নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা
Published: 30th, July 2025 GMT
দুই হাজার কোটি টাকার মালিক এই চলচ্চিত্র পরিচালকের শুরুটা ছিল সাদামাটাভাবে। চেষ্টা আর বড় স্বপ্নের পেছনের সেই গল্প হলিউড ছাড়িয়ে দেশের তরুণ নির্মাতাদের জন্য অনুপ্রেরণামূলক। হলিউডের হাজারো মেধার ভিড়ে শূন্য থেকে স্বাধীন সৃষ্টির স্বাদ উপভোগ করতে নির্মাতা হিসেবে পথ চলা শুরু। মেধাকে কাজে লাগিয়ে শূন্য থেকে বিলিয়ন ডলার আয় করা সিনেমার নির্মাতা ক্রিস্টোফার নোলান। তিনি কীভাবে বাংলাদেশের তরুণ নির্মাতাদের অনুপ্রেরণা হতে পারেন?
ক্রিস্টোফার নোলান নামটি শোনেননি, এমন সিনেমাপ্রেমী কমই রয়েছে। নাম না শুনলেও তাঁর সিনেমা দেখেননি, এমন সিনেমাপ্রেমী খুঁজে পাওয়া বিরল। তাঁর সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মোমেন্টো’, ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’, ‘দ্য প্রেস্টিজ’, ‘দ্য ড্রার্ক নাইট’, ‘ইনসেপশন’, ‘ইন্টারস্টেলার’, ‘ওপেনহাইমার’–এর মতো বিশ্বের আলোচিত সিনেমা।
তাঁর সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মোমেন্টো’, ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’, ‘দ্য প্রেস্টিজ’, ‘দ্য ড্রার্ক নাইট’, ‘ইনসেপশন’, ‘ইন্টারস্টেলার’, ‘ওপেনহাইমার।’এই পরিচালকের পেছনে লগ্নিকারকের তালিকায় রয়েছে বিশ্বখ্যাত ওয়ার্নার ব্রস, প্যারামাউন্ট পিকচার্স, ডিজনিসহ বিখ্যাত প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। কারণ, নোলানের সিনেমা মানেই বক্স অফিস রেকর্ডের খাতায় নাম লেখাবে, বিশ্বে আলোচনা সৃষ্টি করা। সেই নির্মাতার শুরুটা ছিল বড় একটি স্বপ্ন দিয়ে। সেটা ছিল একটি সিনেমা বানানো। নোলান নিজেই হলিউড রিপোর্টার্সে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘বাজি ধরার মতো আবেগ দিয়ে সিনেমা নির্মাণ করা যায় না। রেসের ঘোড়া হওয়া যায় না। ১০ কিংবা ১১ বছর বয়স থেকেই আমি কীভাবে সিনেমা বানাব, সেই পরিকল্পনা করতে থাকি। একসময় আমার এটাই মনে হয়েছিল সিনেমা বানাতেই হবে।’
ক্রিস্টোফার নোলান। ছবি: আইএমডিবি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫