আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের মূলধন উত্তোলনের আবেদন বাতিল
Published: 10th, July 2025 GMT
পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে মূলধন সংগ্রহের পুনর্বিবেচনার আবেদন বাতিল করে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, কোম্পানিটি কনভার্টেবল বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে ২০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল। যেখান প্রতি শেয়ারের মূল্য ছিল ২২ টাকা।
আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত হয় ২০১৭ সালে। ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৪০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৮ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩৫ টি। ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৩০.
ঢাকা/এনটি//
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গ্যাস সংকটে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ
গ্যাস সংকটের কারণে ১৬১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নরসিংদীর ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৭টি ইউনিটের সবকটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘‘গত দুই বছর ধরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রে গ্যাস সংকট চলছে। গ্যাস সংকটের কারণে গত ১৩ জুন বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৪ নম্বর ইউনিট, ৯ জুন ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৫ নম্বর ইউনিট ও ১৪ জুন হতে ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৭ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন একেবারে বন্ধ রয়েছে।’’
মো. এনামুল বলেন, ‘‘সরকার সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করার কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রের গ্যাস বন্ধ করে দিয়েছে। বিকল্পভাবে গ্যাস সরবরাহের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি। গ্যাস সরবরাহ করলেই পুরোদমে বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম হব।’’
আরো পড়ুন:
শনিবার ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না সুনামগঞ্জে
জমিতে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপনের প্রতিবাদে মানববন্ধন
তিনি আরো বলেন, ‘‘এ তিনটি ইউনিট পুরোপুরি চালু করার মতো অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া, বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩৬০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩ নম্বর ইউনিটটি গত দুই মাস ধরে টারবাইনের রোটারের ব্লেডে সমস্যার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। তবে, তা মেরামতের শেষ পর্যায়ে। গ্যাস সংযোগ চালু করলে এটাও উৎপাদনে চলে আসবে।’’
বিদ্যুৎকেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের জুন মাসে ২১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৬ নম্বর ইউনিটে আগুন লেগে এর টারবাইন পুড়ে যায়। সেই থেকে ইউনিটটিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
অপরদিকে, ১৯৬৭ সালে ঘোড়াশাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটটি রাশিয়া টেকনোপ্রম এক্সপার্ট নির্মাণকাজ শেষ করলে ১৯৭৪ সালের জানুয়ারি মাসে মাত্র ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে এর যাত্রা শুরু হয়। পরে ৫৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে উৎপাদনে আসে।
এ দুটি ইউনিটে বারবার যান্ত্রিক সমস্যার কারণে গত আট বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ রেখেছে বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। ১ ও ২ নম্বর ইউনিট দুটি ভেঙে নতুন করে আরেকটি ইউনিট স্থাপন করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/হৃদয়/রাজীব