পাকা ঘর পেলেন ভোলার পিঠা বিক্রেতা নাজমা বেগম
Published: 1st, March 2025 GMT
নাজমা বেগম (৫৫)। খালপাড়ে পিঠা বিক্রি করে কোনোমতে দুবেলা খাবার জোগাড় করেন। বাড়ি বলতে একটি টিনের জীর্ণ ঘর। বর্ষাকালে ঘরে পানি পড়ে, যার কারণে ঘরে থাকা কষ্টকর। হঠাৎ পাকা ঘর উপহার পেয়েছেন নাজমা বেগম। হয়তো তিনি কল্পনাও করেননি এমন একটি পাকা ঘর হবে তাঁর।
নাজমার বাড়ি ভোলা পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোলা খালের পাড়ে। ২২ বছর আগে স্বামী আবুল কাশেম মারা যান। শুরু হয় তাঁর জীবনসংগ্রাম। নাজমা বেগম ছিলেন দ্বিতীয় স্ত্রী। স্বামী সচিবালয়ের গাড়ি চালাতেন। পেনশনের টাকাপয়সার বেশির ভাগ বড় স্ত্রী আর তাঁর সন্তানেরা নিয়ে যান।
নাজমা মেয়েকে নিয়ে এসে বাবার বাড়িতে ওঠেন। বাবা হাদীসুর রহমানের মৃত্যুর পর নাজমার জীবনে নেমে আসে ভয়ানক দুর্দশা। বাবার মৃত্যুর পর সবাই ঘর ভেঙে ভাগ করে নেন। ভাগে পাওয়া পুরোনো টিনে কোনো রকম রাত্রিযাপন করার জন্য একটি ঘর তোলেন। অন্যের বাড়িতে কাজ করে, কোনো রকম মেয়েকে বড় করে বিয়ে দিয়েছেন। বয়স বাড়া আর নানা রকম অসুখে অন্যের বাড়িতে দিন–রাত কাজ শরীরে কুলায় না। তাই দুই বছর ধরে শীতের কয়েক মাস তিনি বিকেলে খালপাড়ে পিঠা বিক্রি করতে বসেন।
নাজমার দৈন্যদশার কথা জানতে পারেন নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন আহমেদ। তিনি ব্যবসার জন্য ছয় হাজার টাকা ও একটি পাকা ঘর তৈরি করে দেন। আজ শনিবার বেলা ১১টায় নাজমাকে ঘরে চাবি তুলে দেন তিনি।
নিজাম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা আমাকে খুব ভালো রেখেছেন। জানতে পারলাম নাজমা বেগমের ঘরের দরকার। আসলাম, দেখলাম, একটি নিরাপদ আবাস গড়ে দিলাম। নিজাম-হাসিনা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অনেক ঘর, স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল, বৃদ্ধাশ্রম গড়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো গড়ে আমি ও আমার স্ত্রী শান্তি পাই। এগুলো গড়ে দেওয়ার পেছনে আমার কোনো উদ্দেশ্য নেই।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাশিয়ায় ভূমিকম্পের পরে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত শুরু
প্রশান্ত মহাসাগরে শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যের কামচাটকা উপদ্বীপের ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ এই তথ্য জানিয়েছে।
ক্লিউচেভস্কয় আগ্নেয়গিরিটি ইউরেশিয়ার সবচেয়ে উঁচু সক্রিয় আগ্নেয়গিরি হিসেবে পরিচিত। ১৭০০ সাল থেকে এই আগ্নেয়গিরিটি ৫০ বারেরও বেশি অগ্নুৎপাত করেছে।
বুধবার সকালে রাশিয়ায় আঘাত হানা ৮ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ফলে দেশটির পূর্ব উপকূলে ৪ মিটার পর্যন্ত ঢেউ সৃষ্টি হয়। এই ঘটনায় এখনো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকা/শাহেদ