১০ ওভারে ৫০ ডট বল, ১৪ রানে নিলেন ৪ উইকেট
Published: 4th, March 2025 GMT
জাতীয় দলে জায়গা হয়নি। অপ্রত্যাশিতভাবেই তাকে আড়াল হতে হয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল থেকে। দলে ফেরার জেদ থেকেই ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে উজার করে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। সেই জেদ থেকে ভয়ংকর রূপে হাজির হলেন প্রথম ম্যাচে।
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জার্সিতে বাঁহাতি পেসার কারিশমা দেখালেন। ১০ ওভার বোলিং করে দিলেন মাত্র ১৪ রান। যেখানে ডট বলই ছিল ৫০টি। উইকেট পেয়েছেন ৪টি। ১টি উইকেটের জন্য ফাইফার পাননি। নয়তো নিশ্চিতভাবেই পূর্ণতা পেত তার দুর্দান্ত বোলিং।
তাতে আক্ষেপ থাকার কথা না। তার দল জিতেছে অনায়েসে। বিকেএসপিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে মাত্র ৯৩ রানে অলআউট করে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। ৩৮.
আরো পড়ুন:
মেজাজ হারালেন শান্ত, বড় হারে আবাহনীর শুরু
খাদের কিনারা থেকে দলকে তুলে শামীমের ঝকঝকে ৯৮
তাদের জয়ের নায়ক শরিফুল। নতুন বলে শুরুতেই নিজের চেনা রূপে হাজির হন তিনি। ম্যাচের প্রথম বলে উইকেটের স্বাদ পান। তার ইনসুইং ডেলিভারীতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। যদিও আউট নিয়ে প্রবল অসন্তুষ্ট ছিলেন এনামুল। আম্পায়ারকে ড্রেসিংরুমে যাওয়ার পথে দেখাচ্ছিলেন বল তার থাই প্যাডে স্পর্শ করেছে।
প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে শরিফুল দ্বিতীয় উইকেট পান। এবার আউটসুইং ডেলিভারীতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন সালমান হোসেন ইমন। দ্বিতীয় ওভারে আসে জোড়া সাফ্যল। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ও শেখ পারভেজ হোসেন জীবনকে তিন বলের ব্যবধানে বোল্ড করেন শরিফুল।
শুরুর দুই ওভারেই শরিফুলের পকেটে ৪ উইকেট। শুরুর ওই দাপট শরিফুল ধরে রেখেছিলেন পরবর্তী ওভারগুলোতেও। কিন্তু উইকেটের স্বাদ পাননি। অবশ্য তার সতীর্থরাও ছিলেন দারুণ। বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম ২৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব ও সাইফ হাসান। তাতে শতরানের আগেই গুটিয়ে যায় গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ইনিংস।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাইফ হাসানের ২৭ ও তানজিদ হাসান তামিমের ৬৫ রানে সহজেই জয় নিশ্চিত হয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তানজিদ ৪৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করেন। সাইফ ৩৮ বলে ৫ চারে সাজান ২৭ রানের ইনিংস।
ঢাকা/ইয়াসিন/নাভিদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শিক্ষকের ভুলে মাস্টার্সের সব পরীক্ষার্থী ফেল!
কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রোকনুজ্জামানের উদাসীনতার কারণে মাস্টার্সের ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণেই তারা সবাই ফেল করেছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলেজের অধ্যক্ষ রুহুল আমীন বলেন, “রসায়ন বিভাগের ৯০ জন পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে না পাঠানোর কারণে এ ঘটনা ঘটেছে।”
দুঃখ প্রকাশ করে অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি। যারা ভুল করেছে এবং যাদের কারণে সবাই ফেল করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আশা করি, সমস্যাটি সমাধান হয়ে যাবে।”
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি দেশব্যাপী একযোগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে দেশের সব কলেজের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের বিভিন্ন বিভাগের মাস্টার্সের চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শুরু হয়। এরপর ১৮, ১৯, ২০ ও ২১ তারিখে তাদের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
গত ৪ জুন (বুধবার) তাদের ফলাফল প্রকাশিত হয়। তখন কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থী জানতে পারেন তারা সবাই অকৃতকার্য হয়েছেন।
ভুক্তভোগী কয়েকজন পরীক্ষার্থী বলেন, ফলাফল প্রকাশের পর দেখতে পাই শুধুমাত্র কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের পরীক্ষা দেওয়া ৯০ পরীক্ষার্থীর সবাই ফেল করেছে। অনলাইনে প্রকাশিত ফলাফল শিটে সব পরীক্ষার্থীর নামের পাশে এফ লেখা থাকায় আমরা নিশ্চিত হই যে আমরা সবাই ফেল করেছি।
তারা আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন তারা জানান, আমাদের মৌখিক পরীক্ষার ফলাফল কলেজ কর্তৃপক্ষ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়নি। এ কারণে আমরা ফেল করেছি।
এ বিষয়ে জানতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের প্রধান রোকনুজ্জামানের মোবাইলে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস