মেসজীবনের নানা টানাপোড়েন, হাসি-কান্না, প্রেম, বন্ধুত্ব আর খুনসুটির গল্প নিয়ে ধারাবাহিক ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’। তরুণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি যেখানে জায়গা করে নেন নানা বয়সী মানুষ। এক ছাদের নিচে ভিন্ন ভিন্ন প্রান্তের মানুষেরা মিলে তৈরি হয় জীবনযাপনের নতুন এক সমীকরণ। কাজল আরেফিন অমির নির্মাণে এই গল্পগুলোই পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা।

২০১৮ সালে প্রথম সিজন প্রচারের পর থেকেই আলোচনার পাশাপাশি ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। ছয় বছরের যাত্রায় নাটকটি শুধু টেলিভিশনের পর্দাতেই নয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও হয়ে ওঠে ‘ট্রেন্ড’। নানা বয়সের দর্শকেরা নাটকটি দেখে যেমন মজা পান, তেমনি কেউ কেউ এটাকে ‘অশ্লীল’ আখ্যা দেন।
এসব আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই শুরু হচ্ছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজন। প্রতি বৃহস্পতি ও শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে চ্যানেল আইতে প্রচারিত হবে এই ধারাবাহিক। পাশাপাশি বুম ফিল্মের ইউটিউব চ্যানেলেও দেখা যাবে। এর আগে ঈদুল আজহায় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গতে মুক্তি পায় ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর পঞ্চম সিজন। সেখানে নতুন সিজনের ১৬টি পর্ব দেখানো হয়। প্রি-বুকিং থেকে শুরু করে মুক্তির পরপরই দর্শকের সাড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্মাতা জানান, মুক্তির প্রথম ২০ ঘণ্টায় দর্শকের যে সাড়া মিলেছে, বাংলাদেশের ওটিটির ইতিহাসে তা বড় অর্জন। তাঁর ভাষায়, ‘সিরিজের গড় ওয়াচটাইম ৯৭ শতাংশ, যা দেশে বিরল ঘটনা।’

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট ৫’–এর পোস্টার থেকে। ফেসবুক থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কোভিড হাসপাতাল প্রকল্পে দুর্নীতি: পিডিসহ দুজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণের নামে প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরসহ দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার কমিশনের ঢাকা-১ কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করা হয়। এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন দুকের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন, অনুসন্ধানে পাওয়া সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

এজাহারে বলা হয়, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকার মহাখালী ডিএনসিসি কোভিড-১৯ হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীরের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কোনোরূপ অনুমোদন না নিয়ে কোনো প্রকার ওয়ার্ক অর্ডার বা নোটিফিকেশন অফ এওয়ার্ড ছাড়াই নির্মাণ কাজটি করা হয়। সাবেক প্রকল্প পরিচালকের শুধুমাত্র মৌখিক নির্দেশে এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন লিমিটেডকে হাসপাতালের ৬ষ্ঠ তলায় নির্মাণ কাজ করানোর হয়। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রমাণ মিলেছে।

ওই কাজের জন্য এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশন অস্বাভাবিক খরচ উল্লেখ করে একটি বিল তৈরি করেছিল। ৪ কোটি ৩৫ হাজার টাকার ওই বিলটি হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে উক্ত বিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হয়েছিল। দুদক নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে এই কাজের পরিমাপ করে মাত্র ৬৯ লাখ ৭৩ টাকা খরচের হিসাব পায়। ওই হিসাব অনুযায়ী অতিরিক্ত ৩ কোটি ৩০ লাখ ৬১ টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করা হয়েছিল। 

বিলটি পাশের জন্য নানা কৌশল গ্রহণ করা হলেও অবশেষে বিলটি বাতিল করা হয়। মামলার অপর আসামী হলেন, এসআরএস ডিজাইন অ্যান্ড ফ্যাশনের এমডি মো. সাইফুর রহমান।

সাবেক প্রকল্প পরিচালক ডা. ইকবাল কবীর অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ক্ষমতার অপব্যবহার করায় দন্ডবিধির ৫১১/১২০-খ ধারা ও দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ