পুরান ঢাকার ধোলাইখাল এলাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছেন বিএনপি নেতাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার (৩ মার্চ) মধ্য রাতে এ হামলায় সাত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। 

সোমবার রাতে জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সম্রাটকে মারধর করা হয়। সম্রাটকে ছাড়িয়ে আনতে ঘটনাস্থলে গেলে ইতিহাস বিভাগের ১৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাবিবকে আটকে রাখেন বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদ ও তার লোকজন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়। পরে স্থানীয়দের হামলায় জবির আরো কয়েক জন শিক্ষার্থী আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সম্রাট ধোলাইখাল এলাকায় একটি মার্কেটের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ভুলক্রমে ঢালাইয়ের ওপরে পা দেন। স্থানীয় লোকজন এসে তাকে ধাক্কা দিলে তিনি প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। এরপর স্থানীয় লোকজন ওই শিক্ষার্থীকে মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তার সহপাঠীদের মোবাইল ফোনে কল দিলে হাবিবসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে আসেন। স্থানীয় লোকজন তাদের ওপরও হামলা চালান এবং হাবিবকে গোয়ালঘাট যুব সংঘ নামে একটি ক্লাবে আটকে রাখেন। ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে সালাউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

হাবিবকে উদ্ধার করা জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বি বলেন, “আমি খবর পেয়ে টিপু সুলতান রোডে আসি। সেখানে টহলে থাকা পুলিশকে নিয়ে গোয়ালঘাট লেনে এসে একটি ক্লাবে অনেক জনের ভিড় দেখে সেখানে যাই। সেখানে হাবিবকে আহত অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। আমরা জিজ্ঞেস করলে স্থানীয়রা বলেন, আগে ওকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাবিবকে সালাউদ্দিন মেডিকেল ও পরে ন্যাশনাল মেডিকেলে নেওয়া হয়।”

তিনি আরো বলেন, “আমি ন্যাশনাল মেডিকেলে থাকার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ জন শিক্ষার্থী আহত অবস্থায় সেখানে এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।”

আহতরা হলেন—ভূমি ব্যবস্থাপনা ও আইন বিভাগ ১৯তম ব্যাচের আবু বকর সিদ্দিক, আইন বিভাগের ১৬তম ব্যাচের আকাশ ও আবু সাঈদ মো.

আকিব এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের আল মামুন। অন্য এক জনের নাম জানা যায়নি।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের মধ্যে বিএনপি ও যুবদলের লোক ছিলেন। তারা স্থানীয়দের নিয়ে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। হামলাকারীদের অন্যতম শহীদুল হক সহিদ। তিনি ওয়ারি থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং নবাবপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক।

হামলার বিষয়টি ফেসবুকে ছড়ানোর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী পুরান ঢাকার নবাবপুর এলাকার একটি ক্লাব ভাঙচুর করেন। রাত ১টার দিকে ওয়ারি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে তল্লাশি করলে বিএনপি নেতা শহীদুল হক সহিদকে তার বাসায় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/লিমন/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র ওপর ল কজন ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন

আজ ২ নভেম্বর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) দিবস। ২০০৬ সালের এই দিনে যাত্রা শুরু করা দেশের কৃষি শিক্ষা, গবেষণা ও উদ্ভাবনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা প্রতিষ্ঠানটি ঊনিশতম বছরে পদার্পণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী ছিল নানা আয়োজন। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম ।

আরো পড়ুন:

বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে এগিয়ে নিতে সিকৃবি উপাচার্যের অঙ্গীকার

মাছের উৎপাদন হ্রাসের কারণ নদীর দূষণ: মৎস্য সচিব

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন থেকে শুরু হয়ে টিএসসি চত্ত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রদক্ষিণ করে। এরপর কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-উত্তর বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়নে কৃষি শিক্ষা ও গবেষণায় করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক ড. মো. সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সারওয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এই বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক উৎকর্ষতা ও উদ্ভাবনী চিন্তাধারায় একটি অনন্য অবস্থান তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ, গবেষণায় আগ্রহ ও সমাজসেবায় অংশগ্রহণ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল শক্তি।”

তিনি আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে জ্ঞান ও গবেষণার বিনিময় জাতীয় উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করে। তাই পারস্পরিক সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করা প্রয়োজন “

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  অধ্যাপক ড. মো. নিজাম উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব-ই-ইলাহী, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আলিমুল ইসলাম।

দিবসটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে আয়োজন করা হয়েছে।

ঢাকা/আইনুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বর্ণিল আয়োজনে ১৯তম সিকৃবি দিবস উদযাপন