ব্যক্তিগত ছবি ফাঁসের হুমকি, ভীত-সন্ত্রস্ত ইরানি এই অভিনেত্রী
Published: 24th, March 2025 GMT
বলিউড অভিনেত্রী এলনাজ নরৌজি ব্যক্তিগত ছবি নিয়ে সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়েছেন। এ নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে উদ্বিগ্নতার মাঝে দিনযাপন করছেন এই ইরানি তারকা। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর প্রকাশ করেছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে এলনাজ নরৌজি বলেন, “গত ১৮ জানুয়ারি অপরিচিত একজনের একটা ই-মেইল পাই। সাধারণত সব ই-মেইলে খুলি না। কিন্তু এই ই-মেইলে আমার পাসওয়ার্ড লেখা ছিল, যা দেখে এটি ওপেন করি।”
পরের ঘটনা বর্ণনা করে এলনাজ বলেন, “ই-মেইলে বার্তাসহ আমি আমার ব্যক্তিগত একটি ছবি পাই। তাতে লেখা— ‘আমার কাছে আপনার ছবি আছে। অনলাইনে এগুলো ছড়িয়ে পড়ুক, এটা যদি না চান তবে যতটা দ্রুত সম্ভব উত্তর দিন। আর যদি জবাব না দেন, পরবর্তী ই-মেইলে আপনার ছড়িয়ে পড়া ছবির লিংক যুক্ত থাকবে।”
এ হুমকি পাওয়ার পর দ্রুত সাইবার ক্রাইম সেলে যোগাযোগ করেন এলনাজ। সংশ্লিষ্টরা তদন্ত করে জানতে পারেন, সুইজারল্যান্ডের একটি সার্ভার থেকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তদন্তকারী দল ই-মেইল পাঠানো ব্যক্তির বিষয়ে আর কোনো তথ্য জানতে পারেননি। এরপর থেকে ভয়ে দিন কাটছে এলনাজের।
তদন্তকারী কর্মকর্তারা এলনাজকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জানতে চান, অপরিচিত কোনো লিঙ্কে ক্লিক করেছিলেন কিনা? জবাবে এই অভিনেত্রী জানান, অনলাইনে অপরিচিত একটি ফরম পূরণ করেছিলন। এরপর সাইবার ক্রাইম টিম অভিনেত্রীর বাসা পরিদর্শন করেন এবং তার ডেটা ব্যাকআপ তৈরি করেন এবং তার সমস্ত পাসওয়ার্ড আপডেট করেন, যা এখন প্রতি মাসে পরিবর্তন করেন তিনি।
ভীত হয়ে পড়েছেন এলনাজ। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমি ভীষণ ভীত। কারণ ওই অপরাধী যদি আমার ব্যক্তিগত ছবি অনলাইনে পোস্ট করে। আমি উদ্বিগ্ন হয়ে ঘুমাতে যাই, আবার একইভাবে ঘুম থেকে উঠি। নিজেকে স্থির করার জন্য কয়েকবার থেরাপিস্টের কাছেও গিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে। মনে হচ্ছে, কেউ আমাকে সর্বদা দেখছে। আমি ক্রমাগত ভয়ের মধ্যে বসবাস করছি।”
১৯৯৬ সালের ৯ জুলাই ইরানের তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন এলনাজ। তার জন্মের কিছুদিন পরই জার্মানিতে পাড়ি দেন অভিনেত্রীর বাবা-মা। এলনাজ জার্মানির নাগরিক। ১৪ বছর বয়সে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন তিনি। স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর ভারতে পাড়ি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এলনাজ। ২০১৭ সালে উর্দু ভাষার ‘মা জোনা’ সিনেমার মাধ্যমে পাকিস্তানি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন। ‘সেকরেড গেমস’ ওয়েব সিরিজের মাধ্যমে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেন এলনাজ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অভ ন ত র
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকতে না পেরে বিদেশ চলে যান পিয়া বিপাশা
লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিনোদন অঙ্গনে পা রাখেন পিয়া বিপাশা। এরপর অভিনয় করেছেন মিউজিক ভিডিও, নাটক ও সিনেমায়। কিন্তু হুট করেই নাই হয়ে গেলেন। পরে জানা গেল অভিনেত্রী আমেরিকায়। গেল পাঁচ বছর সেখানেই বাস করছেন তিনি। সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমে প্রবাসজীবনসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
পিয়া বিপাশা জানান, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের এক নাগরিকের সঙ্গে তাঁর প্রেম ও ভালোবাসা তৈরি হয়। তারপর তাঁরা বিয়ে করেন। দুজনে মিলে বিয়ে করলেও আনুষ্ঠানিকতা সারেননি। চলতি বছরের শেষ দিকে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়ার ইচ্ছা।
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘বাংলাদেশে ভালো লাগত না। কারণ, লবিং ছাড়া কাজ হতো না। ভালো একটা সিনেমা করার কথা ছিল। কিন্তু সেটা আর হয়নি। এরপর আমার মিডিয়ায় কাজ করার ইচ্ছাই নষ্ট হয়ে যায়। আমি আসলে কাজ করতে চেয়েছিলাম টাকা কামানোর জন্য। কাজ না করতে পারলে টাকা কামাব কী করে। তাই সিদ্ধান্ত নিই অন্য কিছু করার।’
বিপাশার কথায়, ‘টাকা রোজগারের জন্য আমি বিনোদন অঙ্গনে কাজ করেছিলাম। কারণ, আমার একটা মেয়ে ছিল। মেয়েকে নিয়ে টিকে থাকার বিষয় ছিল। পরে দেখলাম, যেভাবে কাজ হয়, আমাকে দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম, আমেরিকায় চলে আসার। এখানে এসে বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অনেক টাকাও আয় করছি।’
পিয়া বিপাশা বলেন, ‘সত্যি বলতে এখন আমার এমন অবস্থা, টাকা ইনকাম না করলেও হয়। যতটুকুই করি, আমার মেয়ে ও হাজব্যান্ড ওরাই বলে। আমার এখন আর কোনো স্বপ্ন নেই। যা চেয়েছি, গত পাঁচ বছরে সবই পেয়েছি। টাকাপয়সা, সুন্দর জীবন, প্রতিষ্ঠিত হওয়া, ভালো স্বামী—সবই আমার হয়েছে। টাকা নিয়ে এখন কোনো চিন্তা নেই আমার—যা আয় করি, তা ব্যয় করার সময় পাই না।’
পিয়া বিপাশা জানান, ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন পণ্যের যেসব পোস্ট করেন, তার জন্য বেশ ভালো সম্মানী পান। তাঁর দাবি, এই সম্মানী কখনো দুই হাজার ডলার, আবার কখনো তিন হাজার ডলারের মধ্যে।
২০১৩ সালে ‘দ্বিতীয় মাত্র’ নাটকে তাহসান খানের বিপরীতে অভিনয় করেন। ছোটবেলায় রূপকথার বই পড়তে পছন্দ করতেন। বই পড়ার সময় গল্পের নায়িকার চরিত্রে নিজেকে কল্পনাও করতেন। বড় পর্দায়ও অভিনয় করেছিলেন। ‘রুদ্র: দ্য গ্যাংস্টার’ নামের সেই ছবি মুক্তি পায়। এরপর ‘রাজনীতি’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয়ের কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত হয়ে ওঠেনি। পরে সেই ছবিতে পিয়া বিপাশার পরিবর্তে অপু বিশ্বাস অভিনয় করেন।