Prothomalo:
2025-05-01@05:08:29 GMT

পুকুর, টিলা কি কিছুই থাকবে না

Published: 25th, March 2025 GMT

দেশের বড় শহর ছাড়িয়ে জেলা শহর, এরপর উপজেলা সদর এলাকাগুলোও এখন পুকুরশূন্য হয়ে পড়ছে। জলাশয় সুরক্ষায় দেশে কঠোর আইন আছে। ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকা পুকুর ভরাটের ওপরে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে আইনে। দুঃখজনক হচ্ছে কেউ আইন মানছে না। যাদের আইন প্রয়োগ করার কথা, তাদেরও সে ব্যাপারে তেমন তৎপরতা নেই। আছে নানা সংকট ও সীমাবদ্ধতাও। যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় গত কয়েক মাসেই ডজনখানেক পুকুর ভরাট হয়ে গেছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।    

প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নিকট দূরত্বেই কয়েক দশকের পুকুর ভরাট হয়ে গেছে সম্প্রতি। এখন সেখানে গেলে পুকুরের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না। বিপণিবিতান নির্মাণে পুকুরটি ভরাট করা হয়েছে। এভাবে বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণসহ নানা কাজে কয়েক মাসে এই উপজেলায় ১০–১২টি বড় পুকুর ভরাট করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কার্যালয়ের খুব কাছে পুকুর ভরাট চললেও রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কয়েক মাসে এভাবে অবাধে একের পর এক পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। পুকুরের পাশাপাশি মাটি ফেলে ফসলি জমিও ভরাট করা হচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও ভরাটের জন্য টিলা কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে। এতে ফসলি জমি কমে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে।

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, বেশির ভাগ মাটির কাটার কাজ রাতে চলে। তাঁরা পৌঁছানোর আগেই দুষ্কৃতকারীরা সংবাদ পেয়ে যান। তাঁরা শুধু ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে পারেন; কিন্তু পরিবেশ বা কৃষি বিভাগ যাঁরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত, অপরাধীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দিতে পারেন। তাঁরা এগিয়ে এলে এই সমস্যাগুলোর একটি সমাধান হবে। তবে জড়িত ব্যক্তিদের দাবি, স্থানীয় প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই পুকুর ও ফসলি জমি ভরাট করা হচ্ছে, যা ইউএনওর বক্তব্যের বিপরীত বাস্তবতা এখানে হাজির করছে। তা ছাড়া এমন অভিযোগ গুরুতর।

জেলা প্রশাসকের বক্তব্য, বিজয়নগরে অনেক এলাকায় পুকুর ও ফসলি জমি ভরাটের কাজ চলছে। উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট আছেন মাত্র একজন, এসি ল্যান্ড নেই। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একজন ম্যাজিস্ট্রেট পদায়ন হয়েছেন। সমস্যাগুলো সমাধানে অভিযান চালানো হবে।

আমরা জেলা প্রশাসকের বক্তব্যে আস্থা রাখতে চাই। পরিবেশ ও কৃষি বিভাগ এ ব্যাপারে আরও সক্রিয় হবে আশা রাখছি। বিজয়নগরের স্থানীয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগেরও তদন্ত করা হোক।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ক র ভর ট ব জয়নগর পর ব শ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন

মাকিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে চুক্তি বাতিলকারী দেশগুলোর জন্য একটি স্পষ্ট বার্তা নিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক প্রচারণা চালাচ্ছেন। আর তার সেই বার্তাটি হচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দাঙ্গাবাজ দেশ, যাকে বিশ্বাস করা যায় না।

শুল্ক স্থগিতাদেশের সময় চীন ছাড়া সবদেশকে বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করার জন্য ট্রাম্প যে ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়েছেন, সেই সময়ের মধ্যে চীনা কর্মকর্তারা বিদেশী সরকারগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ঠেলে দেওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন। মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট জানিয়েছেন, একবার এই চুক্তিগুলো কার্যকর হয়ে গেলে, তিনি চান মার্কিন মিত্ররা ‘একটি দল হিসেবে চীনের সাথে যোগাযোগ করুক’, যাতে মার্কিন পক্ষ আলোচনায় আরো বেশি সুবিধা পায়।

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন পর্যন্ত মার্কিন মিত্ররা নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর নির্ভর করে এবং অর্থনৈতিকভাবে ট্রাম্পকে সন্তুষ্ট করার জন্য তাদের উৎসাহ রয়েছে। অবশ্য চীন আরো সমান তালে শুল্ক যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ট্রাম্পের শেষ বাণিজ্য যুদ্ধের পর থেকে বেইজিং মার্কিন রপ্তানি থেকে তার অর্থনীতিকে মুক্ত করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। দেশটিতে নিবেদিতপ্রাণ এবং সক্রিয় সৈন্য সংখ্যার বিচারে বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক বাহিনী রয়েছে।

শি ট্রাম্পের সাথে ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এবং তার সরকার ‘পাল্টাপাল্টি’ শুল্ক বাতিলের দাবি জানাচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলছে যে, অন্য পক্ষ, অর্থাৎ চীনকে উত্তেজনা কমানোর প্রথম পদক্ষেপ নিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের মাধ্যমে, চীন নিজেকে নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থার একজন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে উপস্থাপন করছে এবং অন্যান্য দেশকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে বেইজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছে।

সাংহাইয়ের ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর আমেরিকান স্টাডিজের পরিচালক উ জিনবো বলেন, “এটি কেবল চীন-মার্কিন সম্পর্কে নয়। এটি আসলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে।”

গত বছর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতিবিদদের সাথে দেখা করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেওয়া উ জানান, অন্যান্য সরকারেরও বুঝতে হবে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টা তাদের উপকার করেছে। 

তিনি বলেন, “যদি চীন আমেরিকার বিরুদ্ধে না দাঁড়াত, তাহলে আমেরিকা কীভাবে তাদের ৯০ দিনের বিরতি দিত।  চীনের উপর শুল্ক আরোপের ফলে ট্রাম্প অন্যান্য দেশের উপর শুল্ক আরোপ বন্ধ করার জন্য আবরণ পেয়েছেন। তাদের এটা উপলব্ধি করা উচিত।”

চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই সোমবার ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত ব্রিকস ব্লকের দেশগুলোকে ট্রাম্পের দাবি প্রতিহত করার জন্য বেইজিংয়ের সাথে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, “আপনি যদি নীরব থাকেন, আপস করেন এবং পিছু হটতে চান, তাহলে এটি কেবল বুলিকে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে সাহায্য করবে।”

তার এই বক্তব্যের কয়েক ঘন্টা পরে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইংরেজি সাবটাইটেলসহ একটি ভিডিওতে ওয়াশিংটনকে ‘সাম্রাজ্যবাদী’ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। সেখানে দাবি করা হয়েছে, গত শতাব্দীতে জাপানি রপ্তানি সীমিত করার মার্কিন পদক্ষেপ তোশিবার মতো কোম্পানিগুলোকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

ওয়াং ই বলেছেন, “একজন ধর্ষকের কাছে মাথা নত করা ঠিক তৃষ্ণা নিবারণের জন্য বিষ পান করার মতো, এটি কেবল সংকটকে আরো গভীর করে তোলে। চীন পিছু হটবে না যাতে দুর্বলদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
  • বড় বন্দরে ভারী কাজ করেও চলে না সংসার 
  • নাটোরে ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল একজনের
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতির মেয়ে
  • ফরিদপুর জেলা এনসিপি’র কমিটি গঠনের দায়িত্বে মহিলা আ’লীগ সভাপতি মেয়ে
  • ৫০ পেরোনো নারীর খাদ্যাভ্যাস যেমন হতে হবে
  • যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ করতে কাজ করছে চীন
  • পুলিশের ওপর হামলা করে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিল জনতা, গ্রেপ্তার ৩
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন
  • বিজয়নগরে দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ২০