উপকরণ
ক. চকলেট কোকোর জন্য: ময়দা পৌনে এক কাপ, বেকিং পাউডার ১ চা-চামচ, কোকো পাউডার ২ টেবিল চামচ, লবণ সিকি চা-চামচ, ডিম ৪টি, আইসিং সুগার আধা কাপ, মাখন ৩ টেবিল চামচ, তরল দুধ ২ টেবিল চামচ, চকলেট এসেন্স কয়েক ফোঁটা।
খ. পেস্তা ক্রিমের জন্য: পেস্তাবাদাম ৬০ গ্রাম, সাদা চকলেট ৫০ গ্রাম, চিনি ২ টেবিল চামচ, গরম দুধ ৫-৬ টেবিল চামচ, সবুজ খাওয়ার রং কয়েক ফোঁটা, তেল বা মাখন ১ টেবিল চামচ।
গ.
প্রণালি
উপকরণ ক–এর ময়দা, বেকিং পাউডার, কোকো পাউডার, লবণ একসঙ্গে চেলে নেবেন। ডিমের সাদা অংশ বিট করুন। ফোমের মতো হয়ে এলে চিনিগুঁড়া বা আইসিং সুগার, এসেন্স, মাখন দিয়ে আবার বিট করুন। এবার ময়দার মিশ্রণ অল্প অল্প করে দিয়ে দিন। হালকাভাবে নেড়ে নিন। দুধ দিয়ে হালকাভাবে মেশান আবার, ডাইসে ঢেলে ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে ৪০ মিনিট বেক করুন।
উপকরণ খ–এর পেস্তাবাদাম তাওয়ায় টেলে সবুজ আবরণ ফেলে দিন। এবার সব উপকরণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নেবেন।
উপকরণ গ–এর মাখন গলিয়ে সেমাই ভেজে নিন। এবার ভাজা সেমাইয়ের সঙ্গে পেস্তা ক্রিম মিশিয়ে নেবেন। এবার চকলেট কেকের ওপর এই মিশ্রণটি স্তর করে দিয়ে দিন। কেকোর ওপর পছন্দমতো সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুনপ্যান গ্রিল কোরালের রেসিপি১৪ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চকল ট
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ ফিউশন খাবার উপস্থাপনা
মানজু রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক ব্যতিক্রমধর্মী খাবার আয়োজন, যেখানে দেশি স্বাদের সাথে ছিল আন্তর্জাতিক রান্নার কৌশল ও উপকরণ। আয়োজনে ঐতিহ্য ও আধুনিকতা একসূত্রে গাঁথা হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, এ আয়োজনের মূল আকর্ষণ ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত রন্ধনশিল্পী ইনারা জামাল, যিনি ফুড স্টাডিজে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতকোত্তর এবং ইনস্টিটিউট অব কালিনারি এডুকেশন, নিউইয়র্ক থেকে বিশেষ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
ইনারা জামাল বলেন, ‘খাবার শুধু স্বাদের বিষয় নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ। আমি চাই বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী খাবারকে ভিন্ন দেশের উপকরণ ও কৌশলের সঙ্গে মিশিয়ে বিশ্বদরবারে নতুন রূপে উপস্থাপন করতে। সৃজনশীল উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশি খাবারকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা। একইসঙ্গে, তার লক্ষ্য বাংলাদেশের খাদ্যসংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে গবেষণার আলোয় তুলে ধরা, যেন এই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত থাকে। খাবারে তিনি সবসময় প্রাধান্য দেন প্রাকৃতিক ভেষজ উপাদান এবং টেকসই উপস্থাপনাকে।
এই আয়োজনকে আরও রঙিন করে তোলে রন্ধনশিল্পী মালিহার বাহারি পরিবেশনা, যেখানে দেশি উপাদান ব্যবহার করে তৈরি করা হয় নানান স্বাদের সুস্বাদু খাবার।
আয়োজকরা জানান, এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশি খাদ্যসংস্কৃতিকে আধুনিক উপস্থাপনার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা এবং ভোজনরসিকদের সামনে এক নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা খাবারের স্বাদ, গন্ধ ও পরিবেশনায় মুগ্ধতা প্রকাশ করেন। এমন আয়োজনের ধারাবাহিকতা রক্ষার ওপর জোর দেন।