বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে ১৯৭০ সালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারে একটি সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা হয়। নাম দেওয়া হয় ‘সোনালী টকিজ’। গ্রামের নানা বয়সী নারী-পুরুষ এই হলে সিনেমা দেখতেন। সিনেমার গল্পে আনন্দ–বেদনায় ভাসতেন। দর্শকদের করতালি আর উল্লাসে মুখর থাকত সিনেমা হলটি; কিন্তু ৫৫ বছরের পুরোনো এই সোনালী টকিজের সোনালি দিন এখন শুধুই অতীত।

ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজারের মাছমহাল এলাকায় সোনালী টকিজ সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন আবদুস সামাদ মিয়া। তিনি বাংলাদেশ সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি ছিলেন। ২০১৭ সালে মারা যান তিনি। ১৯৭০ সালে ১৫ শতাংশ জমিতে সিনেমা হলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা আশপাশের কয়েকটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় পর্দার সিনেমা হল ছিল।

কেমন চলছে সিনেমা হলটি, তা জানতে মঙ্গলবার বিকেলে সিনেমা হলটি ঘুরে দেখা গেছে, ঈদ উপলক্ষে শাকিব খান অভিনীত ‘বরবাদ’ সিনেমা প্রদর্শিত হচ্ছে হলটিতে। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিনেমা হলের সামনে যেতেই তরুণ দর্শকদের ভিড় দেখা যায়। টিকিট কাটতে তাঁদের হুড়াহুড়ি করতে দেখা যায়।

হল কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সিনেমা হলটিতে প্রথম, দ্বিতীয়, ডিসি ও ব্যালকনি—এই চার ক্যাটাগরিতে ৬০০ দর্শকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে; কিন্তু বর্তমানে শুধু ডিসি ও ব্যালকনিতে ১৮০টি টিকিট ১৫০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। প্রতিদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রথম শো, বেলা সাড়ে তিনটায় দ্বিতীয় শো ও সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাইট শোতে সিনেমা প্রদর্শিত হয়।

বাংলা সিনেমা এখন ঈদকেন্দ্রিক জানিয়ে দর্শক শরীফুল আলম বলেন, ঈদে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করে বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে এসেছেন। আগে প্রায়ই হলে সিনেমা দেখলেও এখন সব সিনেমা ইউটিউবে দেখেন। তাই আর সিনেমা হলে আসা হয় না তাঁর।

ময়মনসিংহের ১৩টি উপজেলায় সিনেমা হল ছিল মোট ৪০টি। ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বরে বোমা হামলায় একযোগে কেঁপে উঠেছিল ময়মনসিংহের চারটি সিনেমা হল—ছায়াবাণী, অজন্তা, অলকা ও পূরবী। এই হামলায় নিহত হন ১৭ জন। আহত হন দুই শতাধিক। সিনেমা হলে বোমা হামলার পর আতঙ্কে সিনেমা হলগুলোতে দর্শক কমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে দর্শক–সংকটে ধুঁকতে থাকা সিনেমা হলের অনেকগুলো বন্ধ হতে থাকে। ময়মনসিংহ শহরে টিকে আছে কেবল ছায়াবাণী সিনেমা হলটি।

‘সোনালী টকিজ’ সিনেমা হলে দর্শকদের ঈদকেন্দ্রিক ভিড় থাকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মাহিদুল ও মজিদের সেঞ্চুরি, ৮ রানের জন্য পাননি মুমিনুল

মজিদের সেঞ্চুরি ও হায়দারের ঝড়ে ময়মনসিংহের ৫৫৫

জাতীয় ক্রিকেট লিগে নবাগত ময়মনসিংহ দারুণভাবে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। প্রথম ইনিংসে মোহাম্মদ নাঈম ও মাহফিজুল ইসলামের পর এবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন আবদুল মজিদ। অধিনায়ক শুভাগত হোম ও আবু হায়দারও খেলেছেন ঝোড়ো ইনিংস। তিনজনের ব্যাটে ভর করে ময়মনসিংহ ৬ উইকেটে ৫৫৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে। কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে বল হাতে শুরুও করেছে ভালো—প্রতিপক্ষ রংপুর দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ১৮ রান তুলে ফিরেছে ড্রেসিংরুমে।

২ উইকেটে ২৮১ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে ময়মনসিংহ। তবে ২২ রান যোগ করতেই পড়ে যায় আরও দুটি উইকেট। এরপর মজিদ ও শুভাগত গড়েন ১৩০ রানের জুটি। ৮৬ বলে ৬৫ রান করে শুভাগত আউট হওয়ার পর মজিদ জুটি গড়েন তাহজিবুল ইসলামের সঙ্গে (২১)। ষষ্ঠ উইকেটে আসে ৩৪ রান। এরপর হায়দারকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৪২ বলেই সপ্তম উইকেটে তোলেন ৭৭ রান। ৩৪ বলে ৫ ছক্কায় ৬০ রান করেন হায়দার। অপর প্রান্তে ১৮৬ বলে ১০ চার ও ৩ ছক্কায় ১১৯ রানে অপরাজিত থাকেন মজিদ। ১১০ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে এটি তাঁর ১৪তম সেঞ্চুরি।

সেঞ্চুরি হাতছাড়া মুমিনুলের৯২ রানে আউট হয়েছেন চট্টগ্রামের মুমিনুল হক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাহিদুল ও মজিদের সেঞ্চুরি, ৮ রানের জন্য পাননি মুমিনুল
  • মাহিদুল-মজিদের সেঞ্চুরির দিনে মুমিনুলের ৮ রানের আক্ষেপ
  • দেশজুড়ে বৃষ্টি ও তাপমাত্রা কমার পূর্বাভাস
  • দিনে ঢাকায় মিছিল, রাতে বাড়িতে ফিরতেই নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের ৩ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার
  • জুলাই সনদ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে: মামুনুল হক
  • এনসিএল: তিন সেঞ্চুরি ও মিরপুরে উইকেটের মিছিল
  • রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও
  • রাতে বাড়িতে পুলিশের অভিযান, ভোরে ধানখেতে পাওয়া গেল রক্তাক্ত মরদেহ
  • সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২
  • পূর্বধলায় ট্রাকের পেছনে অটোরিকশার ধাক্কা, নিহত ২