ট্রাম্পের ঘোষিত শুল্ক আদায় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র
Published: 5th, April 2025 GMT
কাস্টমস এজেন্টরা শনিবার অনেক দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত একতরফা ১০ শতাংশ শুল্ক আদায় শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহ থেকে ৫৭টি বৃহত্তর বাণিজ্যিক অংশীদারের পণ্যের উপর উচ্চতর শুল্ক আরোপ শুরু হবে।
১০ শতাংশ ‘বেসলাইন’ শুল্ক মার্কিন সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর এবং শুল্ক গুদামগুলোতে স্থানীয় সময় রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কার্যকর হয়। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী পারস্পরিক সম্মত শুল্ক হারের ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যানের সূচনা করলো ট্রাম্প প্রশাসন।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা কেলি অ্যান শ বলেন, “এটি আমাদের জীবনের একক বৃহত্তম বাণিজ্য পদক্ষেপ।”
বৃহস্পতিবার ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশনের এক অনুষ্ঠানে শ জানান, দেশগুলো কম হারে শুল্কের জন্য আলোচনা শুরু করলে সময়ের সাথে সাথে শুল্কের পরিবর্তন ঘটবে বলে তিনি আশা করেন।
তিনি বলেন, “কিন্তু এটা বিশাল। পৃথিবীর প্রতিটি দেশের সাথে আমাদের বাণিজ্যের পদ্ধতিতে এটি একটি বিরাট এবং তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন।”
১০ শতাংশ শুল্কের প্রথম প্রভাব পড়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মিশর ও সৌদি আরব।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পদ্মা সেতুর ইলেট্রনিক টোল সংগ্রহ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হলো নগদ
পদ্মা সেতুতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহে (ইটিসি) যুক্ত হলো বাংলাদেশ ডাক বিভাগের মোবাইল আর্থিক সেবা ‘নগদ’। আধুনিক এই ব্যবস্থার ফলে যানবাহনগুলোর আর লাইনে দাঁড়িয়ে টোল দেয়ার প্রয়োজন হবে না, বরং স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল পরিশোধ করা যাবে নগদের মাধ্যমে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নগদের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তির আওতায় আরএফআইডি প্রযুক্তির মাধ্যমে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু হবে। এর ফলে টোল প্লাজায় থামা ছাড়াই টোল পরিশোধ করা সম্ভব হবে, যা সময় বাঁচাবে এবং যানজট ও ভোগান্তি কমাবে।
রাজধানীর সেতু ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ, সেতু অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) আলতাফ হোসেন, নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহসহ দুইপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
চুক্তিতে সেতু কর্তৃপক্ষের পক্ষে স্বাক্ষর করেন পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) খন্দকার নুরুল হক এবং নগদের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী।
অনুষ্ঠানে সেতু বিভাগের সচিব বলেন, জনগণকে ঝামেলাহীন সেবা দিতে আমরা পদ্মা সেতুর টোল আদায় ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক পেমেন্ট চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই এই ব্যবস্থা চালু করে সাধারণ যাত্রীদের উপকারে আনা আমাদের লক্ষ্য।
নগদের প্রশাসক মো. মোতাছিম বিল্লাহ বলেন, আমরা প্রযুক্তিকে ডিজিটাল পেমেন্টের উপযোগী করে তুলছি। সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে টোল আদায়ের প্রক্রিয়া হবে আরও আধুনিক ও স্বাচ্ছন্দ্যময়।
নগদের চিফ স্ট্রাটেজি অফিসার মো. মুয়িয তাসনিম ত্বকী বলেন, এই চুক্তি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট বাস্তবায়নে একটি মাইলফলক। তবে বিআরটিএ-এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই উদ্যোগ পুরোপুরি সফল হবে না।
ডাক বিভাগের পরিচালিত নগদ বর্তমানে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল আর্থিক সেবা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্বচ্ছতা, সহজসেবা ও গ্রাহকের আস্থার মাধ্যমে প্রতিনিয়ত জনপ্রিয়তা অর্জন করছে সেবাটি।
ঢাকা/সাজ্জাদ/সাইফ