ভোররাতে ইসরায়েলের হামলা, ৭ শিশুসহ ফিলিস্তিনি পরিবারের সবাই নিহত
Published: 11th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১০ জনের একটি পরিবারের সবাই নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সাত শিশু রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাত তিনটার দিকে উপত্যকার দক্ষিণে খান ইউনিসের উপকণ্ঠে আল–মাহাত্তা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় গুঁড়িয়ে যাওয়া বাড়িটি মাজেন আল-ফাররা পরিবারের মালিকানাধীন। এর আগেও ইসরায়েলের হামলায় বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। বসবাসের জন্য বাড়িটি সম্প্রতি মেরামত করা হয়েছিল। শনিবারের হামলায় মাজেন আল-ফাররা, তাঁর স্ত্রী, শাশুড়ি ও পাঁচ সন্তান নিহত হয়। নিহত বাকি দুই শিশু আল-ফাররার ভাইজি ও ভাইপো।
এ ছাড়া শুক্রবার উত্তর গাজার বাইত লাহিয়াতেও বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মুয়াবিয়াহ ইবনে আবি সুফিয়ান স্কুলের ফটকে ওই হামলা চালানো হয়। স্কুলটিতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা আশ্রয় নিয়েছিলেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত ১৯ জানুয়ারি থেকে উপত্যকাটিতে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে ১৮ মার্চ থেকে যুদ্ধবিরতি ভেঙে আবার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) হিসাবে, তখন থেকে গাজায় অন্তত চার লাখ মানুষ নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পর গাজায় দেড় হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এ ছাড়া ১৮ মাস ধরে চলা যুদ্ধে উপত্যকাটিতে ৫০ হাজার ৮০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে শিশু ১৫ হাজারের বেশি। এ সময় নিখোঁজ হয়েছেন অন্তত ১০ হাজার মানুষ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল হয় ছ ন ত হয় ছ
এছাড়াও পড়ুন:
ইঞ্জিন বিকল, মাঝপথে সাড়ে ৩ ঘণ্টা আটকা কক্সবাজার এক্সপ্রেস
ইঞ্জিন বিকল হয়ে আটকে পড়া কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সচল হয়েছে। রোববার বিকেল ৫টায় ট্রেনটি নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে ইসলামাবাদ স্টেশন থেকে ছেড়ে যায়। দীর্ঘ সময় বিকল হয়ে থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন ট্রেনটির আট শতাধিক যাত্রী।
ইসলামাবাদ স্টেশনের মাস্টার মোহাম্মদ কাইয়ুম বলেন, কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট পর দুপুর পৌনে ১টায় আইকনিক স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। দুপুর দেড়টার দিকে ট্রেনটি ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছালে আকস্মিক ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ট্রেনটির ২৩টি বগিতে আট শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
তিনি বলেন, কক্সবাজার স্টেশনে কোনো ধরনের রিলিফ ট্রেন বা লোকোশেড নেই। এতে ট্রেনটি চালু করতে চট্টগ্রাম থেকে ইঞ্জিন আনতে সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়। একটি নতুন ইঞ্জিন নিয়ে একটি রিলিফ ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ইসলামাবাদ স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টার পর। পরে নতুন ইঞ্জিন লাগিয়ে বিকেল ৫টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেস ট্রেনটি ইসলামবাদ স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়।