তিনবার আইপিএলের ফাইনালে খেলে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বিরাট কোহলি ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ১১ বছর আগে একবার ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি পাঞ্জাব কিংসের। অভাগা দলের সিঁকে ছেড়ার ফাইনালে বিরাট কোহলির বেঙ্গালুরু ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান তুলেছে।

গত মৌসুমে কলকাতাকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ার। এবার তিনি প্রীতি জিনতার পাঞ্জাবের শিরোপা খরা কাটাতে পারেন কিনা দেখার অপেক্ষা।

মঙ্গলবার আইপিএলের ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনার ফিল সল্টকে শুরুতে হারায় বেঙ্গালুরু। তিনি দলের ১৮ রানে ব্যক্তিগত ১৬ করে ফিরে যান। বিরাট কোহলিকে রেখে আউট হন মায়াঙ্ক আগারওয়াল। তিনি ১৮ বলে ২৪ রান করেন।

সেট ব্যাটার রজত পতিদারও ইনিংস বড় করতে পারেননি। বেঙ্গালুরু অধিনায়ক ১৬ বলে ২৬ রান করেন। এরপর বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রানের ইনিংস খেলে আউট হন কোহলি। ৩৫ বলের ইনিংস তিনটি চারে সাজান তিনি। লিয়াম লিভিংস্টোন ১৫ বলে দুই ছক্কায় ২৫ ও জিতেশে শর্মা ১০ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান যোগ করেন। রোমারিও শেইফার্ড ৯ বলে করেন ১৭ রান।

পাঞ্জাবের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিলেও অর্শদ্বীপ সিং ও কাইল জেমিনসন খরুচে ছিলেন। তারা ৪ ওভারে যথাক্রমে ৪০ ও ৪৮ রান খরচা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র ট ক হল র ফ ইন ল

এছাড়াও পড়ুন:

দাসত্বের সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট রেজিম যে দাসত্বের সংস্কৃতি চালু করেছিল আমরা সেখান থেকে বেরিয়ে এসেছি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে দলীয় লেজুরবৃত্তি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”

বুধবার (৩০ জুলাই) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “জুলাই ২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আমরা জাতি হিসেবে পুনর্জন্ম লাভ করেছি। গত ১৭ বছর আমরা আমাদের নাগরিকত্ব সপে দিয়েছিলাম একটি ফ্যাসিবাদ সরকারের কাছে। যারা পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে দাসত্বের চুক্তি করেছিল। আমরা কখনো ভাবিনি এর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব হবে।” 

আরো পড়ুন:

কৃষি উপদেষ্টা-চীনা রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ 

আইএমও কাউন্সিল নির্বাচনে জিবুতির সমর্থন চাইল বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “খুন, আয়নাঘর, বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে চলছিল এই বাংলাদেশ। এর থেকে পরিত্রাণ তোমরাই দিয়েছো। ছাত্র-জনতার এই অর্জনকে ম্লান হতে দেওয়া যাবে না।”

‍“নতুন বাংলাদেশে তোমরা নিজেদেরকে আপন স্বকীয়তায় উপস্থাপন করবে, রাজনৈতিক দলগুলো কিভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করবে তা তোমরা নির্ধারন করবে। তোমাদের ধৈর্যশীল ও রুচিশীলতার পাশাপাশি উন্নত মনের বিবেকবান ও সুন্দর মনের মানুষের পরিচয় দিতে হবে”, যোগ করেন তিনি। 

উপদেষ্টা বলেন, “পেশিশক্তির ব্যবহার রোধ করতে হবে। সহনশীলতা ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি চালু করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সহশিক্ষার কার্যক্রমে গুরুত্বারোপের পাশাপাশি সমাজে পিছিয়ে পরাদের এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে হবে।”

ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেন, “নবীন শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রমে নিজেদের সম্পৃক্ত করে মেলে ধরবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গ্লোবাল নলেজ বাড়ানোর জন্য বিশ্ব আঙ্গিকে লাইব্রেরিকে উপযুক্ত করতে হবে, যা গবেষণার কাজকে আরো ত্বরান্বিত করবে।”

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সামিউল আহসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিকৃবির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আলিমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. এ.টি.এম. মাহবুব-ই-ইলাহী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. নজরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ কাওছার হোসেন, প্রক্টর প্রফেসর ড. জসিম উদ্দিন আহাম্মদ, রেজিস্ট্রার (অ.দা) প্রফেসর ড. মো. আসাদ-উদ-দৌলা।

ঢাকা/নূর/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ