গাজীপুরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের ভাঙচুর
Published: 12th, April 2025 GMT
গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী ও কাশেমপুর এলাকায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল থেকে কয়েকটি কারখানায় হামলা চালিয়েছে শ্রমিকরা। এসময় তারা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একটি আবাসিক হোটেল ভাঙচুর করেন। শনিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে ঘটনাটি ঘটে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবু মোহাম্মদ নাসের আল আমিন বলেন, “আজ বিকেলে কোনাবাড়ী ও কাশিমপুরে ইসরায়েলি আগ্রাসান বিরোধী মিছিল থেকে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কয়েকটি কারখানায় ইট নিক্ষেপ করে। কোনাবাড়ীতে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের দাবি জানিয়ে কিছু দোকান ও শপিং মলে হামলা ও ভাঙচুর চালান তারা। এসময় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদ ও গাজাবাসীর প্রতি সমর্থন জানাতে আজ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিকেলে কোনাবাড়ী এলাকায় স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড, কনকর্ড নিটিং এন্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের মাইমুন ও মতিন গার্মেন্টসে মিছিল থেকে হামলা ও ভাঙচুর চালায় কিছু লোক। পরে তারা কোনাবাড়ীতে বাটা শো-রুম, আজোয়া, পিৎজ্জা হল, সপ্ন সুপার শপ, বিউটি সুইট মিটসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানে হামালা ও ভাঙচুর চালান। বিক্ষুব্ধরা কোনাবাড়ীতে আবাসিক হোটেল রেইনবো ও মুনে হামলা চালান। তারা মুন হোটেল থেকে আসবাবপত্র বের করে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন।
আরো পড়ুন:
লক্ষ্মীপুরে যুবককে গুলি, আটক ২
ঝিনাইদহে ছাত্রদল নেতাসহ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর, মালামাল লুট
স্ট্যান্ডার্ড স্টিচেস ওভেন লিমিটেড-এর এডমিন ম্যানেজার ইউসুফ আলী বলেন, “বিকেলে বহিরাগতরা আমাদের কারখানায় হামালা চালায়।” একটি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলছি বলে তিনি ফোন কেটে দেন।
কাশিমপুরে ডিবিএল গ্রুপের এইচআর জিএম মো.
গাজীপুর শিল্প পুলিশের এসপি একেএম জহিরুল ইসলাম বলেন, “শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটি কারখানায় ইট ছুঁড়ে। একটি কারখানা ভাঙচুরের খবর পেয়েছি।”
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ ইসর য় ল
এছাড়াও পড়ুন:
জেলা কৃষকদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে একটি পক্ষের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক ডা. শাহীন মিয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব আলম মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান, ফজলু মেম্বার, মনির মল্লিক, শাহাদাত হোসেন, ওবায়দুর রহমান, শাহ আল বেপারী, সেলিম হোসেন দিপু।
সংবাদ সম্মেলনে শাহীন মিয়া বলেন, কোন চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর এদের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র যেকোনো অঙ্গ সংগঠনের পদে থাকতে পারে না। নারায়ণগঞ্জ জেলা জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সভাপতি হিসেবে আমার সংগঠনে যারা চাঁদাবাজ, দখলবাজ স্বৈরাচারের দোসর আমি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি।
আওয়ামীলীগের সাথে শাহীনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনাদের ব্যাপারে পাল্টা তিনি বলেন, রূপগঞ্জ থানার সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলামকে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর, দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও সাংগঠনিক দূর্বলতার কারণে তাকে ৩০ নভেম্বর ২০২৩ সালে সভাপতি পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এছাড়াও বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনে নজরুলের কোন প্রকার সম্পৃক্ততা ছিল না। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম হত্যা মামলার আসামি রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের যোগসাজসে রূপগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক মৌজার আবাদী জমিতে বালি ভরাট করে সাধারণ কৃষকের দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি করেছিল।
এছাড়াও অসহায় ও সাধারন মানুষের বসতবাড়ি সহ জবরদখল করে নেয় তারা। নজরুল দোসরদের আস্থাভাজন হওয়ার জন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের উপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় নির্যাতন করেছিল। এভাবে বিগত ১৭ বছরে স্বৈরাচার সরকারের আস্থাভাজন হয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন এই নজরুল। সে হলো মৌসুমী পাখি।
তিনি বলেন, ১৭ টি বছর জুলুম নির্যাতন সহ্য করে এই নারায়ণগঞ্জে কৃষক দলকে হাতের মুঠোয় রেখেছি আজ সেই কৃষক দলের ভাবমূতি ক্ষুন্ন করতে এই নজরুল স্বৈরাচারের সাথে হাত মিলিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের মানহানি করেছে।
আমি এরই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং তার বিরুদ্ধে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। বিষয়টি আমি আমার হাইকমান্ডকে অবগত করেছি।
তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সার্জন মোমেনকে চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও দলীয় শৃংখল বঙ্গের দায়ে ১০ই এপ্রিল সভাপতি পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়। সে বিগত সতেরো বছর নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। ৫ ই আগস্টের পর ৪০ বিঘা জমির উপর মাছের প্রজেক্ট দখল করে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন মোমেন।
স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সময় সে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন তার নিজের জন্য। এখনো সে এলাকায় সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছে এর যথেষ্ট প্রমাণ আমার কাছে এসেছে এবং অনেক সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছে। যে সমস্ত মানুষ কোন দল করে না দল বুঝেনা। এ সমস্ত অভিযোগের কারণে তাকে তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গতকাল নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে নজরুলসহ কৃষকদলের বেশ কয়েকজন নেতা সংবাদ সম্মেলন করেন। এসময় শাহীনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের লোকজনকে টাকার বিনিময়ে পুনর্বাসনসহ বেশ কিছু অভিযোগ আনেন তারা।