রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর থানা এলাকায় সোমবার জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। রূপনগর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুল ও তাঁর সহযোগীরা এই হামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে এনসিপি। এই হামলার প্রতিবাদে এবং এস আই টুটুলের গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার মিরপুরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এনসিপির মিরপুর অঞ্চলের নেতা–কর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে মিরপুরের স্বাধীনতা চত্বরে (মিরপুর ১০) এই বিক্ষোভ মিছিল হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি জানায়, সোমবারের হামলায় দলের প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ও শামীম আহমেদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁরা দুজন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া হামলায় গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাহিন আহমেদসহ আরও ৬ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবারের বিক্ষোভ মিছিলে এনসিপির মিরপুরের বিভিন্ন থানার প্রতিনিধি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা–কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিকেল ৫টায় মিরপুর ১০ নম্বর গোল চত্বরে নেতা–কর্মীরা জড়ো হয়ে স্লোগান ও বক্তব্য দেন। বক্তব্যে নেতা–কর্মীরা সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলের বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক পার্টির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম (আদীব) বলেন, ‘অভ্যুত্থান–পরবর্তী নতুন বাংলাদেশে রাজনীতিতে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি ও দখলদারির কবর রচনা করতে হবে। রাজনীতিতে আর কোনো সন্ত্রাসী ও তাদের আশ্রয়দাতাদের জায়গা হবে না। আমাদের মিরপুরের কর্মীদের ওপর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস আই টুটুলের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। অবিলম্বে এস আই টুটুলকে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং বিএনপির সব সাংগঠনিক ও প্রাথমিক পদবি থেকে বহিষ্কার করতে হবে। তারেক রহমানের নিকট আহ্বান থাকবে, আপনার দলের দুষ্ট গরু ও সন্ত্রাসীদের থামান অন্যথায় তারাই বিএনপি ধ্বংস করবে।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার মিরপুর ১০ নম্বরে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা–কর্মীরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কর ম দ র ওপর কর ম র এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশে জোর সেনাপ্রধানের

কৌশলগত নেতৃত্ব বিকাশের মাধ্যমে জাতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, এই নেতৃত্বই দেশকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুর সেনানিবাসের ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে তিন সপ্তাহব্যাপী স্ট্র্যাটেজিক লিডারশিপ প্রশিক্ষণ ক্যাপস্টোন কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সেনাপ্রধান ক্যাপস্টোন ফেলোদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন।

এই কোর্সে জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, সিনিয়র চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, কূটনীতিক, সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ সর্বমোট ৪৫ জন ফেলো অংশগ্রহণ করেন।

সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতি গঠনের সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৌশলগত নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি দেশের সব প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য গতিশীল ও সংস্কারমুখী নেতৃত্বের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন।

দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট সম্পর্কে আলোকপাত করে সেনাপ্রধান বলেন, বিদ্যমান পরিবর্তনশীল ভূরাজনীতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও নতুন জাতীয় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ক্যাপস্টোন কোর্স কৌশলগত অন্তর্দৃষ্টি, সহযোগিতা ও জ্ঞানভিত্তিক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

এনডিসি কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ শাহীনুল হক বলেন, ‘ক্যাপস্টোন কোর্স জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বস্তুনিষ্ঠ সংলাপ ও একীভূত চিন্তাধারার বিকাশ ঘটানোর লক্ষ্যে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছে। এতে অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয়, চিন্তাশীল ও সশ্রদ্ধ অংশগ্রহণ তাদের কৌশলগত ও মননশীল চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটিয়েছে এবং বিভিন্ন সংস্থার নেতৃবৃন্দের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ের মেলবন্ধন তৈরি করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।’

ন‍্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্যাপস্টোন কোর্স ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ পরিচালিত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কোর্স। এই কোর্সের লক্ষ্য কৌশলগত সচেতনতা বৃদ্ধি, সূক্ষ্ম চিন্তাভাবনার বিকাশ, আন্তসংস্থার সহযোগিতা বৃদ্ধি করা এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার নেতৃত্ব পর্যায়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও উন্নয়নবিষয়ক সমন্বিত ধারণা গড়ে তোলা।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, এনডিসির ফ্যাকাল্টি ও স্টাফ অফিসার এবং জাতীয় পর্যায়ের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ