2025-06-16@15:03:38 GMT
إجمالي نتائج البحث: 50
«কর ম দ র ওপর»:
প্রস্তাবিত বাজেটে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে উত্তোলিত অসহায় শ্রমিকের সাহায্যের অর্থের ওপর আরোপ করা ১০ শতাংশ কর প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। বৃহস্পতিবার স্কপের যুগ্ম সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও চৌধুরী আশিকুল আলম এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান। বিবৃতিতে নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট প্রধান উপদেষ্টার তিন শূন্য তত্ত্বের শূন্য দারিদ্র ও শূন্য বেকারত্ব নিরসনের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন নেই। সরকার গঠিত শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের কোনো নীতি প্রতিফলিত হয়নি। তারা বলেন, অগ্রাধিকার ১১টি খাতের তালিকায় শ্রম খাতকে রাখা হয়নি। দেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড যে শ্রমশক্তি সেই শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট বরাদ্দ প্রস্তাব নেই। এছাড়া রোগে আক্রান্ত বা দুর্ঘটনায় বিপদগ্রস্ত অসহায় শ্রমিকের নামে শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে বরাদ্দ প্রাপ্ত সাহায্যের অর্থের ওপর ১০ শতাংশ কর আরোপ করা অমানবিক। নেতারা আরও...
কোম্পানির ন্যূনতম করহার আগের মতোই রাখার সুপারিশ করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর দেওয়া পর্যবেক্ষণে সংগঠনটি বলেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে আয়করের ক্ষেত্রে কোম্পানির ন্যূনতম করহার গ্রস প্রাপ্তির শূন্য দশমিক ৬০ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে কার্যকর করহার আরও বেড়ে যাবে। এ হার আগের মতো শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশে বহাল রাখা প্রয়োজন। এ ছাড়া বাজেটে অনলাইনে পণ্য বিক্রির কমিশনের ওপর ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে এফবিসিসিআই। বুধবার দেওয়া এফবিসিসিআইর বাজেট পর্যবেক্ষণে বলা হয়, ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়ের কমিশনের ওপর ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যেহেতু ডিজিটাল ইনক্লুশনের ক্ষেত্রে ই-কমার্স ভূমিকা রাখছে সে জন্য এ খাতের সম্প্রসারণের স্বার্থে ভ্যাটের হার বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাহার করার...
লাভ-ক্ষতি নির্বিশেষে সাধারণভাবে কোম্পানির টার্নওভার বা মোট বিক্রয়ের ওপর কর শূন্য দশমিক ৬০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে নতুন বাজেটে। এ ছাড়া কিছু খাতে এ হার ৩ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। অন্যদিকে কার্যকরী করহার কমানোর কোনো পদক্ষেপ নেই। এসব পদক্ষেপে হতাশা ব্যক্ত করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রতিক্রিয়ায় এমসিসিআই এমন মত দিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর করনীতির পরিপন্থি। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায় লাভ হলে শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর কর প্রযোজ্য হওয়া উচিত। রাজস্ব বা অন্য কোনো তহবিলের ওপর প্রযোজ্য হওয়া উচিত নয়। এমসিসিআই গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাজেট প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এমসিসিআই মনে করে, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে রপ্তানি বাজার সংকুচিত হওয়া,...
লাভ হোক, লোকসান হোক—কোম্পানির লেনদেনের ওপর কর বা টার্নওভার কর দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করায় এবং কার্যকরী করহার কমানোর কোনো পদক্ষেপ না থাকায় হতাশা প্রকাশ করেছে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি, ঢাকা (এমসিসিআই)। তারা বলেছে, প্রতিষ্ঠানের টার্নওভারের ওপর ন্যূনতম কর (মিনিমাম ট্যাক্স) করনীতির পরিপন্থী। তাই এটি বাদ দেওয়া প্রয়োজন। ব্যবসায়ে লাভ হলেই শুধু করযোগ্য আয়ের ওপর কর প্রযোজ্য হবে। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রভাবশালী এই চেম্বার। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো লিখিত বাজেট প্রতিক্রিয়া মেট্রো চেম্বার ৫৪তম জাতীয় বাজেট উত্থাপনের জন্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে অভিনন্দন জানিয়েছে। চেম্বারটি মনে করে, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, মন্থর বিনিয়োগ, ঋণের উচ্চ সুদহার, বিশ্বব্যাপী চলমান যুদ্ধাবস্থা—এমন সময়ে বাজেট প্রণয়ন অর্থ উপদেষ্টার জন্য একটি দুঃসাহসিক কাজ ছিল।বর্তমান বিনিয়োগ পরিস্থিতি...
২০২৫–২৬ বাজেটে শ্রমিককল্যাণ তহবিলে করারোপের প্রস্তাবে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ। শ্রমিক অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে প্রদেয় অর্থের ওপর এই কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।বিলসের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহম্মদ শ্রমিককল্যাণ–সংশ্লিষ্ট সব তহবিলের ওপর প্রস্তাবিত কর অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।বিবৃতিতে সৈয়দ সুলতান বলেন, ‘সরকার কখনোই এসব তহবিলে সরাসরি বাজেট বরাদ্দ দেয় না; বরং কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের প্রাপ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর ১০ শতাংশ শ্রমিককল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা হয়। এই তহবিল মূলত অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে কর্মরত প্রান্তিক শ্রমিকদের চিকিৎসা, শিক্ষা ও মাতৃত্বকালীন সহায়তায় ব্যবহৃত হয়। এমন মানবিক খাতে করারোপ অত্যন্ত দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য।’সৈয়দ সুলতান আরও বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্যানসার বা শিশুচিকিৎসার জন্য যে অর্থ বরাদ্দ...
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লাভ–লোকসান যা–ই হোক, কর দিতে হবে। সেই করের হার আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। নতুন অর্থবছরের অর্থবিলে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের টার্নওভার ট্যাক্স বা লেনদেন কর হবে ১ শতাংশ, যা এখন শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ। লেনদেন করের মানে হলো কোনো প্রতিষ্ঠান পণ্য ও সেবা বিক্রি করে যদি ১০০ টাকা আয় করে, তার ওপর লাভ ও লোকসান–নির্বিশেষে ১ টাকা কর নেবে সরকার। সাধারণভাবে ১০০ টাকার বিপরীতে ১ টাকাকে কম মনে হতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) ও অন্যান্য করের বাইরে সরকার এই ১ শতাংশ অর্থ নেবে আয়কর হিসেবে। বছর শেষে কোম্পানি যদি লোকসানে থাকে, তাহলেও এই কর দিতে হবে। যদিও এবারের বাজেটে আদায় করা কর–পরবর্তী বছরগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের সুযোগ রাখা...
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে। গতকাল সোমবার বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। মীর নাসির হোসেন বলেন, সুতা এবং ম্যানমেড ফাইবারের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া টেক্সটাইল খাতে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ ছিল। সেটি উঠিয়ে দিয়ে নতুন বাজেটে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ওপর। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে করছাড় সুবিধা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে উত্তরণে শুল্ক-কর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এত দিন এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ও বিতরণ উভয় ক্ষেত্রে ভ্যাট...
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সোমবার বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। মীর নাসির হোসেন বলেন, সুতা এবং ম্যানমেড ফাইবারের ওপর কর বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া টেক্সটাইল খাতে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ ছিল। সেটি উঠিয়ে দিয়ে নতুন বাজেটে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ওপর। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে করছাড় সুবিধা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে উত্তরণে শুল্ক-কর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এত দিন এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ও বিতরণ উভয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ছিল।...
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন বলেছেন, ব্যবসায়ীদের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠতে বেশ কিছু বাড়তি শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করতে হবে। সোমবার বাজেট প্রস্তাবের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সমকালকে তিনি এ কথা বলেন। মীর নাসির হোসেন বলেন, সুতা এবং ম্যানমেড ফাইবারের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। তা ছাড়া টেক্সটাইল খাতে করপোরেট কর ১৫ শতাংশ ছিল। সেটি উঠিয়ে দিয়ে নতুন বাজেটে ২২ শতাংশ করা হয়েছে। এসব পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ আমাদের শিল্প দাঁড়িয়ে আছে পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের ওপর। এ ছাড়াও অনেক ক্ষেত্রে করছাড় সুবিধা প্রত্যাহারের পাশাপাশি কর বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে আমরা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এখান থেকে উত্তরণে শুল্ক-কর কিছু কিছু ক্ষেত্রে সরকারকে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, এত দিন এলএনজি আমদানি পর্যায়ে ও বিতরণ উভয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ছিল।...
কোম্পানির মুনাফার ক্ষুদ্র অংশ তিনটি তহবিলের মাধ্যমে শ্রমিকদের পাওয়ার সুযোগ আছে। সেই তহবিলের অর্থের ওপরও এবার ১০ শতাংশ কর বসিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থ উপদেষ্টা তাঁর আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে বলেন, অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে কোনো সুবিধাভোগীকে অর্থ পরিশোধের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ১০ শতাংশ হারে কর কর্তন করবেন। অর্থাৎ একজন শ্রমিক কোনো একটি তহবিল থেকে এক লাখ টাকা উত্তোলন করতে গেলে এখন পাবেন ৯০ হাজার টাকা। বাকি ১০ হাজার টাকা কর বাবদ সরকারের কোষাগারে জমা দিতে হবে।কোম্পানির নিট মুনাফার ৫ শতাংশ অর্থ ৮০: ১০: ১০ অনুপাতে যথাক্রমে অংশগ্রহণ তহবিল, কল্যাণ তহবিল ও শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে প্রদানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে অংশগ্রহণ তহবিল থেকে শ্রমিক-কর্মচারীরা সরাসরি অর্থ সহায়তা পান। কল্যাণ তহবিল কোম্পানির...
আগামী ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে বাড়ানো হচ্ছে। ২০২৬-২০২৭ ও ২০২৭-২০২৮ করবর্ষ থেকে ন্যূনতম করের পরিমাণ ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে, নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম করের পরিমাণ ১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। জাতির সামনে তিনি ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেছেন, বর্তমানে স্বাভাবিক ব্যক্তি ও হিন্দু অবিভক্ত পরিবারের করদাতাদের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। ২০২৬-২০২৭ ও ২০২৭-২০২৮ করবর্ষে মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকা নির্বিশেষে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আরো পড়ুন: বাজেটে প্রাথমিক...
মূল্যস্ফীতি চড়া। মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। কিন্তু আগামী বাজেটে সাধারণ করদাতাদের আয়করে বড় কোনো ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের। গতকাল শনিবার পর্যন্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আসছে না। অর্থাৎ করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের জন্য কর বাড়তে পারে। পুঁজিবাজারে অনিবন্ধিত কোম্পানির ক্ষেত্রে বাড়বে করপোরেট করহার। আবার লাভ হোক, লোকসান হোক, নির্দিষ্ট হারে যে কর দিতে হয়, সেটা এবার বাড়তে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কর ছাড় দেওয়া হতে পারে। যেমন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কর কিছুটা কমবে। জমি কেনাবেচায় কর কমানো হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিলের বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হতে পারে। অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগামীকাল সোমবার আগামী অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেট দেবেন। তিনি টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে ভাষণের মাধ্যমে এবারের বাজেট উপস্থাপন করবেন। এটা হবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর...
স্বল্প উন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ হচ্ছে বাংলাদেশ। মাথাপিছু আয়ও বাড়ছে। তাই প্রত্যক্ষ করের অবদান পরোক্ষ কর থেকে বেশি হওয়া দরকার। পরোক্ষ করের অনুপাত বাড়লে করভার অতিদরিদ্র থেকে ধনী পর্যন্ত প্রভাবিত হয়। তাই পরোক্ষ কর সহনশীল মাত্রায় থাকা উচিত। বর্তমানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের অনুপাত ৩৫: ৬৫। আসন্ন বাজেট ২০২৫-২৬ এ নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলো প্রত্যাশা করছি।১. উপকরণের সংজ্ঞা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) এবং সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ২(১৮ক) ধারায় উপকরণের সংজ্ঞা পরিবর্তন করা প্রয়োজন। বর্তমানে ২(১৮ক) অনুযায়ী, কিছু পণ্য ও সেবাকে উপকরণ হিসেবে গণ্য করা হয় না, যার ফলে মূসক রেয়াত দাবি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এর ফলে মূসকের ওপর মূসক ধার্য করা হয়। অতএব যদি কোনো মূসক নিবন্ধিত ব্যক্তি মূসক ফরম ৬ দশমিক ৩ ব্যবহার করে অন্য কোনো সরবরাহকারীর কাছ...
সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মানীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “অত্যাচারের কর বা দুর্নীতির কর নামে এসব টাকা রাজস্ব আহরণ হিসেবে আনতে পারলে নৈতিক অর্থনীতি গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখা সম্ভব হতো। আগামী বাজেটে এটি না হলেও ভবিষ্যতে আমাদের এটি করতে হবে।” শনিবার (৩১ মে) বিএফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ‘রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাক-বাজেট ছায়া সংসদ' বিতর্ক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময় বৈদেশিক খাতে কিছুটা কিছুটা স্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে উল্লেখ করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, “এই সময়ে সরকার ৫ বিলিয়ন ডলারের ওপর বিদেশি দেনা পরিশোধ করেছে। এগুলো পরিশোধ করতে না পারলে এখন জ্বালানি আমদানি করা খুবই কঠিন হয়ে যেতো।” আরো পড়ুন: বাজেটে সুদ মেটাতে ধরা হয়েছে ১ লাখ...
‘আপনি কি সরকারকে কর দেন’– এমন প্রশ্নে অনেক মানুষই হয়তো বলবেন, ‘না’। প্রায় ১৮ কোটি জনসংখ্যার এ দেশে ৪০ লাখ মানুষও আয়কর রিটার্ন জমা দেন না। যারা রিটার্ন জমা দেন না, স্বভাবতই তারা মনে করেন, তারা সরকারকে কর দেন না। আদতে বিদ্যমান ব্যবস্থায় এমন কেউ নেই যে কর দেন না। প্রাচীনকাল থেকে যখন রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রবর্তন হয়, তখন থেকে কর ব্যবস্থার শুরু। সে কর ছিল প্রত্যক্ষ কর। তবে রাষ্ট্রের প্রয়োজনে কর ব্যবস্থা বিস্তৃত হয়েছে। প্রত্যক্ষ করের বাইরে, পরোক্ষ করও আদায় করছে সরকার। অত্যাবশ্যক কিছু পণ্য ছাড়া উৎপাদন, সরবরাহ বা আমদানির বিভিন্ন পর্যায়ে সরকার কর বা শুল্ক আরোপ করে। ফলে আপনি যে পণ্যই কিনুন না কেন, পরোক্ষভাবে সরকারকে কর দিচ্ছেন। আধুনিক কর ব্যবস্থায় শিশু থেকে বৃদ্ধ, হতদরিদ্র ভিক্ষুক থেকে ধনী– কেউই আদতে...
বাণিজ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের পর এবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিবাসীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের ওপর ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন। ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল অ্যাক্ট’ নামে হাউস বাজেট কমিটিতে অনুমোদিত আইনের আওতায় এই কর আরোপ করা হবে।এই আইনে মার্কিন নাগরিক ছাড়া সব অভিবাসীর প্রেরিত অর্থে করারোপ করা হবে। গ্রিন কার্ডধারী ও এইচ-১বি ভিসাপ্রাপ্তরাও এর আওতায় পড়বেন। কর আরোপের ক্ষেত্রে ন্যূনতম সীমা নির্ধারণ করা হয়নি, অর্থাৎ ছোট অঙ্কের অর্থ পাঠালেও কর প্রযোজ্য হবে। ফলে বাংলাদেশিদের প্রেরিত প্রবাসী আয়েও এই কর প্রযোজ্য হবে। খবর সিএনবিসি টিভি ১৮ ডট কম। ১ হাজার ১১৬ পৃষ্ঠার এই বিল রোববার রাতে হাউস অব রেপ্রেজেনটেটিভে ১৭–১৬ ভোটে পাস হয়েছে। এরপর তা সিনেটে উত্থাপিত হবে।বিলটি আইনে পরিণত হলে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেই ধারণা...
আমরা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি যে, প্রতিটি শিশু তাদের আর্থসামাজিক পটভূমি যাই হোক না কেন, মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ পাবে? এই প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে আছে এমন এক খাতে, যা তার প্রাপ্য গুরুত্ব ও মনোযোগ থেকে বঞ্চিত। তা হলো কর-ন্যায্যতা (ট্যাক্স জাস্টিস)। আন্তর্জাতিক সহায়তা কমে যাওয়া এবং সরকারি ব্যয় বাড়ার প্রেক্ষাপটে, ন্যায়সংগত কর সংগ্রহের মাধ্যমে দেশীয় সম্পদ আহরণই টেকসই অগ্রগতির সবচেয়ে কার্যকর পথ। কর-ন্যায্যতা কেবল অর্থনৈতিক নীতির বিষয় নয়; এটি একটি নৈতিক ও রাজনৈতিক অগ্রাধিকার– বিশেষ করে যখন শিক্ষার অর্থায়নের উপায় খুঁজে বের করতে হয়। শিক্ষার অর্থায়ন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষায় প্রায় সর্বজনীন ভর্তির হার এবং ছেলেমেয়ের মধ্যে সমতা অর্জনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সাধন করেছে। তবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও গভীর অর্থনৈতিক সংকট, দুর্বল পাঠদান, শিক্ষক ঘাটতি এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে অসম প্রবেশাধিকার...
চলতি অর্থবছর শেষ হওয়ার আর মাত্র দেড় মাসের মতো আছে। গত বছরের ১ জুলাই থেকে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে করদাতার আয়-ব্যয়ের হিসাবের ভিত্তিতেই করারোপ করা হবে। কীভাবে করের পরিমাণ কমাবেন, এখনই পরিকল্পনা করতে হবে। সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে আপনি কর কমাতে পারেন। এ জন্য অবশ্য আপনাকে সংসার খরচ বাঁচিয়ে বিনিয়োগ করতে হবে। তাই এখনো সময় আছে, বিনিয়োগের পরিকল্পনা করুন। করছাড় নিন। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে এই করছাড় আপনার কাজে লাগবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) করদাতাদের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করে। এতে রাষ্ট্রের সঞ্চয় যেমন হয়, তেমনি করদাতার আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। আবার করছাড় পেলে খরচও কমে করদাতারা। করদাতারা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত নিয়ে করছাড় পেতে পারেন। বছর শেষে আপনার করের টাকার পরিমাণ বেশ কমে যাবে।খাতগুলো কী কীবিনিয়োগ করে করছাড় নেওয়ার...
প্রকাশনা, মোড়কজাত ও ওষুধ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে প্লাস্টিক শিল্পের অনুরূপ শুল্ক কর (সিডি) ৫ শতাংশ বা তার ও কম করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের চারটি সংগঠন। তারা বলছে, এতে ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরবে, কর ফাঁকি ও দুর্নীতি কমবে। ফলে রোধে শুল্ক হার কমালে রাজস্ব আয় বাড়বে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ খাতের চার সংগঠন যৌভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমএ), মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিআইএর সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল, বিপিআইএর সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, বিপিএমএর সাধারণ...
প্রকাশনা, মোড়কজাত ও ওষুধ শিল্পের প্রধান কাঁচামাল পেপার ও পেপার বোর্ড আমদানিতে প্লাস্টিক শিল্পের অনুরূপ শুল্ক কর (সিডি) ৫ শতাংশ বা তার ও কম করার দাবি জানিয়েছে এ খাতের চারটি সংগঠন। তারা বলছে, এতে ব্যবসায় শৃঙ্খলা ফিরবে, কর ফাঁকি ও দুর্নীতি কমবে। ফলে রোধে শুল্ক হার কমালে রাজস্ব আয় বাড়বে। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এ খাতের চার সংগঠন যৌভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানিয়েছে। সংগঠনগুলো হলো- বাংলাদেশ পেপার ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিআইএ), বাংলাদেশ পেপার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএমএ), মেট্রোপলিটন প্রেস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিপিআইএর সভাপতি শফিকুল ইসলাম ভরসা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কাগজ ও সেলোফিন ব্যবসায়ী গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল, বিপিআইএর সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, বিপিএমএর সাধারণ...
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) বলছে, উচ্চ করের হার, দুর্বল প্রয়োগ, জটিল আইনি কাঠামো এবং কর ব্যবস্থার মধ্যে ব্যাপক দুর্নীতির কারণে দেশে কর ফাঁকির হার বেড়েছে। সিপিডির এক গবেষণায় দেখা গেছে, কর ফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে আনুমানিক ২ লাখ ২৬ হাজার ২৩৬ কোটি টাকার রাজস্ব হারিয়েছে সরকার। সিপিডির গবেষণা বলছে, এর মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে করপোরেট কর ফাঁকির কারণে। ২০২৩ সালে করপোরেট কর ফাঁকির পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১ লাখ ১৩ হাজার ১১৮ কোটি টাকা। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে আয়োজিত ‘উত্তরণকালীন বাংলাদেশে কর সংস্কার: কর ন্যায্যতার দৃস্টিকোন থেকে’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিং এ তথ্য জানানো হয়। যৌথভাবে এর আয়োজন করে সিপিডি ও ক্রিশ্চিয়ান এইড। সিপিডির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১১...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি ফেডারেল তহবিল স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটির মূল্যবান কর-ছাড় সুবিধা বাতিলের আহ্বান জানিয়েছেন।যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডকে নিয়োগ, ভর্তি প্রক্রিয়া এবং পাঠদানের ধরনে পরিবর্তন আনার নির্দেশ দিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, এসব পরিবর্তনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ইহুদি-বিরোধিতা বা অ্যান্টিসেমিটিজম মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নীতিমালা ও কাঠামো পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে তিনি ফেডারেল তহবিল আটকে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন— যার একটি বড় অংশই গবেষণার জন্য নির্ধারিত।গত সোমবার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাম্প প্রশাসনের কিছু দাবিকে প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ কোনো বিশ্ববিদ্যালয় এমনটি করার নজির দেখিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, হোয়াইট হাউস তাদের শিক্ষাঙ্গনকে ‘নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা’ করছে।গতকাল মঙ্গলবার...
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে বিবেচনা করে তার ওপর কর আরোপের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করার পর মঙ্গলবার ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথে এক পোস্টে এ হুমকি দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, “হার্ভার্ড যদি রাজনৈতিক, আদর্শিক ও সন্ত্রাসবাদী অনুপ্রেরণা/সমর্থনমূলক ‘অসুস্থতা?’ প্রচার করতে থাকে, তাহলে তার করমুক্তির মর্যাদা হারানো উচিত এবং রাজনৈতিক সত্তা হিসেবে কর আরোপের আওতায় আনা উচিত। মনে রাখবেন, করমুক্তির মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে জনস্বার্থে কাজ করার উপর নির্ভরশীল!” ক্যাম্পাসগুলোতে ইহুদি বিদ্বেষ মোকাবেলা করতে গত সপ্তাহে হার্ভার্ডকে এক গুচ্ছ দাবির একটি তালিকা পাঠানোর কথা জানিয়েছিল হোয়াইট হাউজ। এর মধ্যে হার্ভার্ডের বৈচিত্র্য, ন্যায্যতা এবং অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচি বাতিল করা, ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে মুখোশ নিষিদ্ধ করা, যোগ্যতা-ভিত্তিক নিয়োগ ও ভর্তি সংস্কার এবং...
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, মূল্যস্ফীতির চাপে চরম সংকটে পড়েছেন দেশের রিকশাচালক, দিনমজুর, শিক্ষার্থীসহ নিম্ন ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত নাগরিকরা। নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এর অন্যতম কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিম্ন আয়ের মানুষরা এখন এক বেলা খাবার বাদ দিচ্ছেন, বোতলজাত পানি কিনতে পারছেন না, রুটি-বিস্কুটেই পেট চালিয়ে নিচ্ছেন। অথচ এসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর রয়েছে ৭.৫ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট)। এই করনীতি গরিবের জীবনে চাপ আরও বাড়িয়ে তুলছে। গবেষণাটি পরিচালনা করেছে তরুণদের দ্বারা পরিচালিত গবেষণা সংস্থা ‘ইয়ুথ পলিসি নেটওয়ার্ক’। দেশের ১,০২২ জন নাগরিকের ওপর পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, ৯৯ শতাংশ উত্তরদাতা কোনো না কোনো সময় খাবার বাদ দিতে বাধ্য হয়েছেন কেবল অর্থাভাবে। তাদের মধ্যে অধিকাংশের আয় ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে, এবং এর নিচেও আয়ের...
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত অনলাইনে ১৫ লাখ মানুষ আয়কর রিটার্ন বা বিবরণী দাখিল করেছেন। তবে এর মধ্যে ১০ লাখ মানুষ তাদের যে বার্ষিক আয় দেখিয়েছেন, তা করযোগ্য আয়ের নিচে, অর্থাৎ তারা ‘শূন্য রিটার্ন’ দাখিল করেছেন। সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাকবাজেট আলোচনায় এ তথ্য দেন তিনি । সভায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিবেচনায় ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন। জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, দাবিটা অযৌক্তিক না হলেও তাতে কিছু সমস্যা আছে। যেমন ধরেন এ পর্যন্ত ১৫ লাখ ১৫ হাজার রিটার্ন অনলাইনে জমা হয়েছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার রিটার্ন পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে ১০...
মোবাইল ফোন সেবার ওপর ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১ শতাংশ সারচার্জ কমানোর সুপারিশ করেছে দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো। তারা এ সুপারিশের পক্ষে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, সাধারণত অপ্রয়োজনীয়, অবাঞ্ছিত ও বিলাসবহুল পণ্য ও সেবায় এ ধরনের কর আরোপ করা হয়। মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিরা সম্পূরক শুল্ক ও সারচার্জ পুরোপুরি তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বাজেট আলোচনায় এই দাবি করা হয়। আগারগাঁওয়ের এনবিআর ভবনে এই আলোচনা সভা হয়। এ ছাড়া সিম সরবরাহের ওপর মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের প্রস্তাবও করা হয়েছে।অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।গত ৯ জানুয়ারি মোবাইল ফোনের সিম বা রিম কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে টেলিফোন সেবায় (টক টাইম, ইন্টারনেট ব্যবহার ইত্যাদি) সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ...
কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার কথা আবারও জানালেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মো. আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আমরা পণ করেছি যে আর কর অব্যাহতি দেব না। কর অব্যাহতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি।’আজ সোমবার ঢাকার আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ লিমিটেড (এবিবি), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ), বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) এবং বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রাক্-বাজেট আলোচনায় সংস্থাটির চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে কর অব্যাহতির দাবি জানানো হলে এনবিআর চেয়ারম্যান তখন বলেন, ‘সারা জীবনই তো কর অব্যাহতি দিলাম। ফল তো আসে না। সবকিছুর আগে কেন কর অবকাশ লাগবে? কর অব্যাহতির সংস্কৃতিতে আর থাকতে চাই না। আমাদের বদনাম হয়ে গেছে যে রাজস্ব যা আদায়...
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর কর অব্যাহতির প্রস্তাব দিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা। সোমবার (১৭ মার্চ) আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড- এনবিআর ভবনে প্রাক বাজেট আলোচনায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরেন স্টেকহোল্ডাররা। বাজেট আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম বাজেট প্রস্তাবনা তুলে ধরে জানান, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে ক্যাপিটাল গেইনের ওপর সম্পূর্ণ কর অব্যাহতি চায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎস কর সংগ্রহের হার হ্রাস, উৎস লভ্যাংশ আয়ের উপর কর হ্রাস এবং চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হিসাবে বিবেচনা করা, তালিকাভুক্ত বন্ড থেকে অর্জিত আয় বা সুদের উপর কর অব্যাহতির...
দেশি তুলার ওপর আরোপিত কর জরুরিভিত্তিতে প্রত্যাহার করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আহ্বান জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তুলাকে কৃষি পণ্য ঘোষণা করা এবং দেশে তুলা উৎপাদন বৃদ্ধিতে দুই মাসের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে সরকার। সোমবার পল্টনে ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বাংলাদেশ তুলা চাষের গুরুত্ব ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তামাক চাষের কারণে জমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। তামাক চাষের জমির কিছু অংশে তুলা চাষ করলে কৃষকও লাভবান হবেন, আবার দেশও অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে। দেশের জন্য ভালো তা কোনো গোষ্ঠীর বিপক্ষে গেলেও সেই সিদ্ধান্ত নিতে পিছুপা হবে না অধ্যাপক ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার। এক্ষেত্রে নীতি সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন পররাষ্ট্র...
পাঁচ বছরের জন্য পণ্য রপ্তানিতে উৎসে কর ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও মোড়কপণ্য সরবরাহকারী কারখানামালিকদের সংগঠন বিজিএপিএমইএ। এ ছাড়া স্থানীয় বাজার থেকে কেনা কাঁচামালের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার, স্থায়ী বা অস্থায়ী আন্তঃ বন্ড স্থানান্তরের ব্যবস্থা, একসঙ্গে দুই বছরের জন্য আমদানিপ্রাপ্যতা প্রদানসহ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে বাস্তবায়নের জন্য এই দাবিগুলো জানায় বিজিএপিএমইএ। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রাক্–বাজেট আলোচনায় দাবিগুলো তুলে ধরেন বিজিএপিএমইএর সভাপতি মো. শাহরিয়ার।বিজিএপিএমইএ বলছে, তৈরি পোশাক খাতের বিভিন্ন ধরনের সরঞ্জাম এবং পোশাকসহ অন্য খাতের মোড়কপণ্য উৎপাদনে দেশ এখন স্বাবলম্বী। বর্তমানে কার্টন, পলিব্যাগ, হ্যাঙ্গার, বোতাম, লেবেল, জিপার, হ্যাংট্যাগ ও গাম টেপসহ পোশাক খাতের ৩০ থেকে ৩৫ ধরনের...
আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো। এখন থেকে ৫ শতাংশ অগ্রিম কর দিলেই হবে। এত দিন ১০ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো।আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। অবিলম্বে তা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।যেসব তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর কমানো হলো, সেগুলো হলো—তাজা বা শুকনা কমলালেবু, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ও লেবুজাতীয় ফল।এর আগে গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।শুল্ক–কর কত বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ আগাম কর আছে।মোটামুটি যত ধরনের...
নতুন করে আর কর অব্যাহতি না চাইতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান। তিনি বলেছেন, ‘কর অব্যাহতির কথা বলবেন না। ধীরে ধীরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। কর দিয়ে কেউ দেউলিয়া হয়নি।’ গতকাল মঙ্গলবার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিভিন্ন সংগঠনের প্রস্তাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এনবিআর চেয়ারম্যান এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সরকারি প্রকল্পে কর সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ও দেখা হবে। সমস্যাগুলো চুক্তির ভেতরে। যখন চুক্তির ভেতরেই বলে দেওয়া হয়, পেমেন্ট দেশের বাইরে হবে, করটা ক্রয়কারী দেবে– ঠিকাদার দেবে না, তখনই সমস্যাটা তৈরি হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এক-দেড় হাজার কোটি টাকার বড় প্রকল্প। ব্যবসা তারা এখান থেকে করছে। কিন্তু কর চাপিয়ে দিচ্ছে এ দেশের সরকারের ওপর। এখান থেকে...
সংবাদপত্রশিল্পে শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছেন সংবাদপত্রের মালিকেরা। মোটাদাগে তিনটি প্রস্তাব করেছেন তাঁরা। প্রস্তাবগুলো হলো নিউজপ্রিন্টের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা; আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ করা; সংবাদপত্রশিল্পকে সেবামূলক শিল্প হিসেবে বিবেচনা করে করপোরেট কর অবলোপন করা বা সর্বনিম্ন পর্যায়ে নির্ধারণ করা। আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) নেতারা এসব সুপারিশ করেন। আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংবাদপত্রের মালিকেরা এ শিল্পের বর্তমান বিভিন্ন সংকটের কথা তুলে ধরেন।নোয়াব বলেছে, সংবাদপত্রশিল্প সাম্প্রতিক কালে কঠিন এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। একদিকে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল মাধ্যমের বহিঃপ্রকাশ এবং অন্যান্য মাধ্যমের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি যেমন সংবাদপত্রশিল্পকে বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি করেছে, অন্যদিকে বিভিন্ন...
স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর আরোপ করা উচিত বলে মনে করেন দেশের ৭৭ শতাংশ মানুষ। নারী-পুরুষ সবারই মত প্রায় সমান। ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব মানুষের মনোভাব মোটামুটি একই। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের ওপর কর আরোপের ব্যাপারে মানুষের এ ধরনের মতামত উঠে এসেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কারবিষয়ক জনমত জরিপে। কমিশনের অনুরোধে জাতীয় এই জরিপ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। বিবিএস গত সপ্তাহে জরিপের প্রাথমিক প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিয়েছে।স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর পণ্যের তালিকায় আছে কোমল পানীয় বা কোল্ড ড্রিংকস, শক্তি বৃদ্ধিকারী পানীয় বা এনার্জি ড্রিংকস, ফাস্ট ফুড, চিপস, নুডলস, বিড়ি-সিগারেট ও তামাক। এসব পণ্যের ওপর উচ্চ হারে কর বসানো উচিত কি না, তা ৬৪ জেলার শহর ও গ্রামের মানুষের কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিবিএসের জরিপকারীরা।জরিপে দেখা গেছে, উচ্চ হারে কর বসানোর পক্ষে...
আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলের ওপর শুল্ক-করের ‘অত্যাচার’ যেন বেড়েই চলেছে। বিদেশি ফল আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বসানো হয়েছে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্কও। আবার বাড়ানো হয়েছে অগ্রিম কর। বসানো হয়েছে অগ্রিম ভ্যাটও। বিদেশি ফলে শুল্ক–করারোপের সর্বশেষ সংযোজন ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা।বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন ১০০ টাকার ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা শুল্ক-কর দিতে হয়। সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশনের এই প্রতিবেদন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠানো হয়। সেখানে বিদেশি ফল আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর সুপারিশ করা হয়েছে।ট্যারিফ কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের ফল বন্দর এলাকা পার হলেই ১০০ টাকার ফলের দাম হয়ে যায় ২৩৬ টাকা। বাজার পর্যন্ত আসতে এই দামের সঙ্গে পরিবহন ভাড়াসহ অন্যান্য খরচও যোগ...
আপেল, কমলা, আঙুর, নাশপাতি, আনারসসহ তাজা ফলের ওপর আরোপিত শুল্ক–কর কমানোর সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। সংস্থাটি মনে করছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও শুল্ক–কর বাড়ানোর কারণে আমদানি করা তাজা ফলের দাম বেড়ে যাওয়ায় তা ভোক্তার ওপর অসহনীয় চাপ সৃস্টি করেছে।সম্প্রতি তাজা ফল আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এখন তা আগের জায়গায় ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে ট্যারিফ কমিশন। এ ছাড়া তাজা ফল আমদানিতে অগ্রিম কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ এবং ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক যৌক্তিক করারও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।গত সোমবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানকে এ–সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। চিঠির অনুলিপি অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও পাঠানো হয়েছে।চিঠিতে ট্যারিফ কমিশন বলেছে, ডলারের দাম ও শুল্ক–কর...
তাজা ফল আমদানিতে শুল্ককর কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এতে সংস্থাটি বলছে, ফল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই আমদানিতে শুল্ককর বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে অগ্রিম ভ্যাট ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যায়। ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ফল আমদানিতে শুল্ককর কমানোর দাবিতে ফল আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে এ সুপারিশ করা হয়েছে। চিঠিতে কমিশন বলেছে, ফলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানি করে পূরণ হয়। গত কয়েক বছর ডলারের দাম ও শুল্ককর বাড়ার কারণে ফলের দাম বেড়েছে। শুল্ককর কাঠামো এবং ২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানির চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফল আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যেমন– আপেল আমদানি ৫২, মালটা ৭১ ও আঙুর...
গতবারের চেয়ে তিন গুণ বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এ বছর নির্ধারিত সময়ে ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৪ জন করদাতা নিজেদের আয়-ব্যয়ের খবর জানিয়ে অনলাইনে রিটার্ন দেন। গতবার এই সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ১৮ হাজার ৯০১। এ বছর অনলাইনে রিটার্নকারীর কাছ থেকে মাত্র ১৫৮ কোটি টাকা পাওয়া গেছে।জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাময়িক হিসাবে এসব তথ্য জানা গেছে। কর কর্মকর্তারা জানান, অনলাইনে রিটার্ন জমা দেওয়া বেশির ভাগই শূন্য রিটার্ন জমা দিয়েছেন।এ বছর সব মিলিয়ে ৩৯ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫৭ জন করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন। এনবিআর কর পেয়েছে মাত্র ৩ হাজার ১৪৪ কোটি টাকা।তিন দফা সময় বাড়ানোর পর গত রোববার রিটার্ন জমার নির্ধারিত সময় শেষ হয়েছে। এখন জরিমানা দিয়ে রিটার্ন দিতে হবে। গতবারের চেয়ে এবার রিটার্ন জমাকারীর সংখ্যা এক লাখের মতো কমেছে।এখন...
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ট্রাম্প চীনের সব ধরনের পণ্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানোর ঘোষণা দেন। আরও কিছু দেশের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের হুমকির মধ্যেই আজ সোমবার থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু পণ্যের ওপর চীনের আরোপ করা আমদানি কর। খবর বিবিসির গতকাল রোববার ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রে সব স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন তিনি। এ বিষয়ে আজ সোমবার পূর্ণ ঘোষণা আসতে পারে। এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেছেন, আরও কিছু দেশের ওপর শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন। তবে কোন কোন দেশ এ ক্ষেত্রে তার টার্গেট হবে, তা সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। চীন সর্বশেষ কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ওপর ১৫ শতাংশ আমদানি...
বাংলাদেশ সফররত বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার বলেছেন, “কর সংক্রান্ত যেকোনো সিদ্ধান্ত বাজেটের মাধ্যমে আইনগতভাবে আশা উচিত।” একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ঋণদাতা সংস্থাটির এ প্রতিনিধি বলেছেন, “কয়েক সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে অবশ্যই কর প্রশাসন থেকে করনীতি পৃথক করার ওপর আমরা পরামর্শ দিয়েছি।” রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সফররত বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রাইজার অর্থ উপদেষ্টার ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে মিলিত হন। এরপর সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ কথা বলেন। গত মাসে সরকার হঠাৎ করে শতাধিক পণ্যর ওপর ভ্যাটহার বৃদ্ধি করে। পরে বেশ কয়েকটি পণ্যের ওপর থেকে বর্ধিত ভ্যাটহার প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, “কর প্রশাসন থেকে করনীতি আমরা আলাদা করব, রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্যও আমরা...
বিস্কুট, কেক, জুস-ড্রিংকসহ এই জাতীয় সব খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে পারে। গত মাসে এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো এসব পণ্যের দাম বাড়ায়নি। বর্ধিত কর-ভ্যাট কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা, কিন্তু বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। আগামী বাজেটের আগে সম্পূরক শুল্ক ও ভ্যাট প্রত্যাহার না করার কথা জানিয়েছে এনবিআর। এ কারণে এখন এসব পণ্যের দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো। বিস্কুট, কেক, জুস—এসব এখন প্রায় নিত্যব্যবহার্য পণ্যে পরিণত হয়েছে। সন্তানের টিফিন বক্সে এসব খাবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে। তাই দাম বাড়লে নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তসহ সবার ওপর তার কমবেশি প্রভাব পড়বে। এবার দেখা যাক, কোন পণ্যে কত বেশি শুল্ক-কর দিতে হবে। উৎপাদকদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, আগে ১০০ টাকার...
এমনিতেই মূল্যস্ফীতির গতি বলগাহীন। নিত্যপণ্যের দামের চাপে গজগজ করছে মানুষ। এর মধ্যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর বাড়তি শুল্ক-কর বসিয়ে সরকার যেন ‘আগুনে ঘি ঢেলেছে’। এ সিদ্ধান্তে পণ্যের দরে প্রভাব পড়বে না বলে অর্থ উপদেষ্টা বারবার নির্ভয় দিলেও দামের ঘোড়া ঠিকই ছুটছে। শুল্ক-কর বাড়ানোর এ সিদ্ধান্তের ঝুঁকি বিশ্লেষণ করে খোদ সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থাও জানিয়েছে, এর ফলে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিতে পারে অসন্তোষ। এই জনরোষ কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্বার্থান্বেষী মহল সরকারবিরোধী আন্দোলনের পথে হাঁটতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ প্রতিবেদনটি সম্প্রতি কয়েকজন উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো হয়। নানামুখী সমালোচনা ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গতকাল বুধবার ওষুধ, মোবাইল ফোন ও আইএসপি সেবা, রেস্তোরাঁ, নিজস্ব ব্র্যান্ডের পোশাকসহ কয়েক ক্ষেত্রে শুল্ক-কর পুনর্বিবেচনা করেছে সরকার।...
জনগণের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। আজ শনিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক আরোপিত কর ও ভ্যাট জনগণের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি যে, অন্তর্বর্তী সরকার চলমান অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা তথা উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যেই ১০০টিরও বেশি পণ্যের ওপর ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক আরোপ করেছে। এই সিদ্ধান্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে, বিশেষ করে দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক অর্থনৈতিক প্রভাব ফেলবে, চাপ আরও বাড়াবে। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, সরকারের বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, তারা চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘাটতির প্রথম ধাপের ৪২ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তী সম্ভাব্য ঘাটতি মেটাতে ও ট্যাক্স-জিডিপি শর্ত পূরণ করে...
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও মূল্যস্ফীতির মধ্যে নতুন করে একশটিরও বেশি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোয় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সাধারণ জনগণের ওপর কর ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের সর্বপ্রথম নজর দেওয়া উচিত খরচ কমানোর দিকে। উন্নয়ন বাজেট পুনর্বিবেচনা করে অপ্রয়োজনীয় ও আর্থিকভাবে অযৌক্তিক প্রকল্পগুলো বাদ দিলে ২০ শতাংশ খরচ কমানো সম্ভব। যেখানে ৬০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হতে পারে।” শনিবার (১৮ জানুয়ারি) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক আরোপিত কর ও ভ্যাট জনগণের ভোগান্তি আরও বৃদ্ধি করবে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম এ আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “আমরা লক্ষ্য করছি যে,...
রেস্তোরাঁ মালিকদের আন্দোলনের মুখে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ফলে এ খাতে আগের মতোই ৫ শতাংশ ভ্যাট বহাল থাকছে। পাশাপাশি ই-বুকেও ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পোশাক, মিষ্টি এবং মোটরগাড়ির গ্যারেজ ও ওয়ার্কশপের ভ্যাট কমে ১০ শতাংশ হতে পারে। হজযাত্রীর বিমান টিকিটে আবগারি শুল্ক পুরোপুরি প্রত্যাহার ও মোবাইল ইন্টারনেটে বর্ধিত সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করা হবে। ভ্যাট কমানোর আলোচনায় রয়েছে ওষুধ খাতও। এনবিআর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। রেস্তোরাঁর ভ্যাট প্রসঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার এনবিআরের মূসক আইন ও বিধি বিভাগের দ্বিতীয় সচিব বদরুজ্জামান মুন্সী বলেন, ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়ের কথা বিবেচনা করে ভ্যাট ৫ শতাংশ রহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আশা করছি, রোববারের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। আরও কয়েকটি পণ্যের বিষয়ে...
শুল্ক-কর বাড়ানোর প্রভাবে সিগারেট দাম বেড়েছে। নতুন শুল্ক-কর পরিশোধ করে সিগারেটের চালান বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে সিগারেট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মোটামুটি সব ধরনের সিগারেটের দাম প্রতি শলাকায় এক থেকে দুই টাকা বেড়েছে।৯ জানুয়ারি অর্থবছরের মাঝপথে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে সিগারেটও আছে। সিগারেটের মূল্যস্তর ও সম্পূরক শুল্ক—দুটোই বাড়ানো হয়। ইতিমধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিগারেটের মূল্যস্তর অনুযায়ী স্ট্যাম্প ও ব্যান্ডরোল ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে। সে অনুযায়ী সিগারেট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো শুল্ক-কর পরিশোধ করছে। এতে খুচরা বাজারে সিগারেটের দাম বেড়েছে।দেখা যাক, প্রতি শলাকায় কোন ব্র্যান্ডের সিগারেটের দাম কত বাড়ল। খুচরা পর্যায়ে বেনসন অ্যান্ড হেজেস ব্র্যান্ডের প্রতি শলাকা সিগারেটের দাম ছিল ১৮ টাকা; তা এখন ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গোল্ডলিফ...
শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি হলেও এর খুব বড় প্রভাব পড়বে না বলে মনে করে সরকার। সরকারের মতে, এ প্রভাব হবে খুবই ন্যূনতম। রাজধানীতে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ রোববার সন্ধ্যায় আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে সরকারের এই অবস্থানের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়াতে দুটি অধ্যাদেশ জারি করে।সংবাদ ব্রিফিংয়ের শুরুতেই ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানোর যৌক্তিকতা নিয়ে কথা বলেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, এ বছর (অর্থবছর) পাঁচ মাসে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। সংগ্রহ হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার কিছু...
শতাধিক পণ্যে শুল্ক–কর (ভ্যাট–ট্যাক্স) বাড়ানো হলেও দেশের মানুষের ওপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছে সরকার। বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটানোর জন্যই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতির স্বাস্থ্যটা ভালো হবে। দেশের মানুষেরই উন্নয়ন হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের অজনপ্রিয় হওয়ার কোনো কারণ নেই। রোববার রাজধানীর ফরেন একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে ট্যাক্স আদায় সবচেয়ে কম। সরকার চায় ট্যাক্স–জিডিপি এমন জায়গায় থাক, যাতে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন ঘটে। তাহলে সামনে দেশের মানুষেরও উন্নয়ন হবে। ম্যাক্রো ইকোনমি বাড়ানোর জন্য ট্যাক্স বাড়াতে হবে। এ ক্ষেত্রে আইএমএফের চাহিদার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশেও তো ভালো অর্থনীতিবিদ আছেন। তাদের পরামর্শেই এটা করা হয়েছে। এটা করা না...
শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এই মুহূর্তে টিসিবির ট্রাক সেল চালু করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জাতীয় নাগরিক কমিটির অবস্থান তুলে ধরেন সংগঠনটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। দেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধারে বিকল্প হিসেবে কয়েকটি প্রস্তাবও তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।লিখিত বক্তব্যে আখতার হোসেন বলেন, সম্প্রতি সরকার রাজস্ব আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে শতাধিক পণ্য ও সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর জন্য দুটি অধ্যাদেশ জারি করেছে। এর ফলে মূল্যস্ফীতি ও ব্যবসায়ের খরচ বাড়বে, যা সাধারণ মানুষের জীবনমানের...