নিরাপদ অভিবাসনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দেবে ইইউ
Published: 17th, April 2025 GMT
বাংলাদেশকে ৫০ লাখ ইউরো অনুদান দিচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বাংলাদেশি মুদ্রায় এ অর্থের পরিমাণ ৬৯ কোটি টাকা (প্রতি ইউরো ১৩৭.৮৪ টাকা ধরে)। ইইউর দেওয়া এ অর্থ নিরাপদ অভিবাসন পরিষেবা সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকারীদের সহায়তার জন্য ব্যয় করা হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো.
‘স্ট্রেনদেনিং সার্ভিস ডেলিভারি সিস্টেমস ফর ইম্প্রুভড মাইগ্রেশন ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবল রেইনটেগ্রেশন’ প্রকল্পের আওতায় অনুদান দেবে ইইউ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মধ্যে অনুদান চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তিটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তহবিল সহায়তায় আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার চার বছর মেয়াদি প্রকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখবে। প্রকল্পটি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিবাসন ও পুনঃএকত্রীকরণ সম্পর্কিত উদ্যোগগুলোকে শক্তিশালী করবে।
প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো—বাংলাদেশের অভিবাসন এবং পুনঃএকত্রীকরণ পরিষেবাগুলোকে শক্তিশালী করা, যা নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন অনুশীলনে সহায়ক হবে। অভিবাসী এবং প্রত্যাবর্তনকারীদের টেকসই পুনঃএকত্রীকরণ নিশ্চিত করা হবে।
বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পর্যায়ে পুনঃএকত্রীকরণ সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৪০ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা আছে আইওএমের। সংস্থাটি দশকের পর দশক ধরে সবার সুবিধার্থে অভিবাসন শাসনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এটি বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও জাতীয় উন্নয়ন কাঠামো এবং অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অভিবাসনে কাজ করে।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প অন দ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমধ্যসাগরে নৌযানে অগ্নিকাণ্ড, ৫০ শরণার্থীর মৃত্যু
লিবিয়ার উপকূলে সুদানি শরণার্থী বহনকারী একটি নৌযানে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানায়, রবিবারের এ ঘটনায় নৌযানে মোট ৭৫ জন ছিলেন। বেঁচে যাওয়া ২৪ জনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
শিবচরে হত্যা মামলার আসামিকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আইওএম জানায়, সমুদ্রে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা এড়াতে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
এর আগে গত মাসে ইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ শরণার্থী ও অভিবাসী মারা যান এবং অনেকে নিখোঁজ হন।
আইওএমের তথ্য অনুযায়ী, শুধু গত বছরই ভূমধ্যসাগরে অন্তত ২ হাজার ৪৫২ জন অভিবাসী ও শরণার্থী মারা গেছেন বা নিখোঁজ হয়েছেন। এ পথটি অভিবাসীদের জন্য বিশ্বের অন্যতম প্রাণঘাতী রুট।
২০১১ সালে গাদ্দাফির পতনের পর থেকে লিবিয়া ইউরোপগামী অভিবাসীদের প্রধান ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে দেশটিতে প্রায় ৮ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি অভিবাসী বসবাস করছেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন অবৈধ অভিবাসন ঠেকাতে লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে অর্থ ও সরঞ্জাম সহায়তা দিয়ে আসছে। তবে ওই কোস্টগার্ডকে স্থানীয় মিলিশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত এবং তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের নানা অভিযোগ রয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, রাষ্ট্রীয় উদ্ধার তৎপরতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দেওয়া আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি উদ্ধার কাজে নিয়োজিত দাতব্য সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও বিভিন্ন রাষ্ট্র শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এর ফলে যুদ্ধ ও নিপীড়ন থেকে পালানো বহু মানুষ লিবিয়ায় আটকা পড়ছে। তাদের অনেককে আটক করে অমানবিক পরিবেশে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঢাকা/ইভা