ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় পরীক্ষা দিতে কেন্দ্রে যাওয়ার সময় দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা বাজারের থানা রোডের কালীবাড়ি সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই পরীক্ষার্থী উপজেলার আলগী ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তাদের একজন আশিক মাতুব্বর (১৭) উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের মহেশ্বরদী উচ্চবিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। তার বন্ধু সাইম শেখ (১৮) ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল শাখার শিক্ষার্থী। আশিকের আজ কৃষি শিক্ষা এবং সাইমের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের পরীক্ষা ছিল।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন সাইম শেখ বলেন, ‘আমরা দুই বন্ধু দুই প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী হলেও একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় প্রতিদিন একসঙ্গে পরীক্ষা দিতে ভাঙ্গা উপজেলা সদরে আসি। আজও সেভাবেই ভ্যানে করে আসছিলাম। ভ্যানটি ভাঙ্গা বাজারের থানা রোডসংলগ্ন কালীবাড়ির সামনে এলে আমাদের গ্রামের একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের দুজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়।’

স্থানীয় লোকজন আহত দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকেরা দ্রুত জখমের স্থানে সেলাই দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে চিকিৎসকসহ তাদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠিয়ে দেন। বেলা একটায় পরীক্ষা শেষ হলে তাদের আবার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়।

ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা তানসিভ জুবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে আহত করা হয়। দুজনের বাঁ হাতসহ শরীরের একাধিক জায়গায় কোপানো হয়েছে। হাসপাতালে আনার পর সেলাইসহ অন্যান্য চিকিৎসা দিয়ে চিকিৎসকসহ পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঠানো হয়। পরীক্ষার পরে আবার হাসপাতালে আনা হয়েছে।

ভাঙ্গা পাইলট উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব মো.

হায়দার হোসেন বলেন, দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদের প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসা দিয়ে কেন্দ্রে এনে পরীক্ষা দেওয়ানো হয়েছে। পরীক্ষা শেষে আবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, দুজন এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়েছেন। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে। তবে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এ ব্যাপারে থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ব স থ য কমপ ল ক স পর ক ষ ক ন দ র পর ক ষ র থ ক য় পর ক ষ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন

প্রথিতযশা অধ্যাপক ও পরিসংখ্যানবিদ কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন একজন সব্যসাচী মানুষ। তিনি নিজের কাজের মাধ্যমে বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। তাঁর ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের ধারণ করতে হবে।

জ্ঞানতাপস কাজী মোতাহার হোসেনের ১২৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথাগুলো বলেন।

অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা, বৃত্তি, পদক, পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের যৌথ আয়োজক কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট।

অনুষ্ঠানে ‘যুগলের বন্ধন: কাজী নজরুল ইসলাম-কাজী মোতাহার হোসেন’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা দেন অধ্যাপক ভীষ্মদেব চৌধুরী। তিনি দুই বন্ধুর সম্পর্কের রসায়নের নানা দিক তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথি বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, এই অনুষ্ঠানের দুটো প্রাপ্তি আছে। প্রথমত, মানুষের অবদান ও মেধাকে স্বীকার করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, এই উপমহাদেশের একজন প্রথিতযশা সব্যসাচী মানুষের ঋণ স্বীকার করা হচ্ছে।

কাজী মোতাহার হোসেন যেকোনো বিবেচনায় একজন দার্শনিক বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন। প্রথম সারির পরিসংখ্যানবিদ, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা ছাড়াও তিনি অনেকগুলো সামাজিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, প্রভাব বিস্তার করেছেন। একজন মানুষের ছোট জীবদ্দশায় এত গুণ সন্নিবেশিত করা কঠিন। কিন্তু তিনি তা করে দেখিয়েছেন।

সবাইকে নিয়ে চলা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করা, নিজের জগতের বাইরে নানা কিছুতে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো ঐতিহ্য কাজী মোতাহার হোসেন করে গেছেন বলে উল্লেখ করেন নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, তাঁর সম্মানে যাঁরা আজ স্বীকৃতি পেলেন, তাঁরা এই ঐতিহ্যকে ধারণ করবেন। এটা (বিশ্ববিদ্যালয়) যে সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সে বার্তা দেবেন। যেসব শিক্ষার্থী সম্মাননা পাচ্ছেন, তাঁদের ছোট প্রোফাইল তৈরি করে ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক আবদুল মাজেদ বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন একজন সব্যসাচী মানুষ ছিলেন। বিজ্ঞানের এমন কোনো দিক নেই, যেখানে তাঁর পদচারণা ছিল না। তিনি দাবা খুব পছন্দ করতেন। দাবা খেলার কথা শুনলে তিনি ছুটে যেতেন। কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে তাঁর শোনা নানা গল্প তিনি স্মৃতিচারণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জাফর আহমেদ খান বলেন, কাজী মোতাহার হোসেন পরিসংখ্যান চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন। বিজ্ঞান, দাবাচর্চারও পথিকৃৎ ছিলেন। এমন কোনো পুরস্কার নেই যে, তিনি পাননি। তাঁর দেখানো পথে যেন শিক্ষার্থীরা নিজেদের আলোকিত করতে পারেন।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কাজী মোতাহার হোসেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রওনাক হোসেন। এই আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সেরা শিক্ষার্থীদের বই, নগদ অর্থ ও সনদ তুলে দেওয়া হয়। এ ছাড়া কাজী মোতাহার হোসেনকে নিয়ে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঢাকা কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির তথ্য, আসন ১২০০
  • রাবিতে আ.লীগ ট্যাগ দিয়ে চিকিৎসা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারধর
  • ইরানের সঙ্গে সংঘাত: ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা দিতে সৌদি সরকারকে অনুরোধ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র
  • সিরিজের শেষ ম্যাচে নেই স্টোকস, দায়িত্বে পোপ
  • সব্যসাচী কাজী মোতাহার হোসেন বিজ্ঞান ও শিল্পের মেলবন্ধন ঘটিয়েছেন
  • একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, ভর্তি ফি-মেধা কোটা-ভর্তির যোগ্যতা-গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে
  • সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ
  • ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে একাদশে ভর্তি, জেনে নিন সব তথ্য
  • মতলব দক্ষিণে এক বিদ্যালয়ের ২০ এসএসসি পরীক্ষার্থীর রোল নম্বরে অন্য শিক্ষার্থীদের নাম
  • রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি ইংরেজি প্রোগ্রাম, আবেদন শেষ ৪ আগস্ট