পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজ হ্যাক, সতর্ক থাকার আহ্বান
Published: 4th, May 2025 GMT
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ হ্যাক হয়েছে। কিছু সময়ের জন্য ওই পেজ থেকে অননুমোদিত ও অপ্রাসঙ্গিক কনটেন্ট শেয়ার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (৪ মে) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়েছে, হঠাৎ এ ধরনের নিরাপত্তা বিঘ্নকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখা হচ্ছে। কারণ এই ফেসবুক পেজটি মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম, যেখান থেকে নিয়মিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রচার করা হয়।
বর্তমানে পেজটি রক্ষণাবেক্ষণের আওতায় রয়েছে এবং ঘটনার তদন্তসহ ভবিষ্যতে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা রোধে নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলেও এতে জানানো হয়।
পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত এই ফেসবুক পেজ থেকে প্রকাশিত কোনো পোস্ট বা বার্তায় বিশ্বাস না করতে, শেয়ার না করতে এবং এতে কোনোভাবে সম্পৃক্ত না হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকারি আপডেট ও যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিসহ অন্যান্য যাচাইকৃত মাধ্যম ব্যবহার করার জন্য বলা হয়েছে।
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ সব ক প জ
এছাড়াও পড়ুন:
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয়: ফরহাদ মজহার
সাহিত্য রাজনৈতিক বিভাজন ভেঙে দেয় বলে মন্তব্য করেছেন কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, সাহিত্য সবসময়ই রাজনৈতিক শক্তির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকে। কারণ সাহিত্য বিভাজনকে ভেঙে দেয়, নতুন সম্বন্ধ তৈরি করে। ফলে সাহিত্য কখনো সরাসরি রাজনীতির হাতিয়ার হয়ে উঠলেও, তা রাজনীতিকে চ্যালেঞ্জ করেই টিকে থাকে। রাজনীতি বুঝলে সাহিত্যও বোঝা যাবে। সাহিত্য শুধু জাতীয়তাবাদী বয়ান নয় বরং সার্বজনীনতার আকাঙ্ক্ষাও।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে মোহাম্মদ রোমেলের প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘অধরা শহীদি মিছিল’–এর ওপর পাঠ, আবৃত্তি ও পর্যালোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাহিত্য ও চিন্তাশীলতার এই আয়োজনে উপস্থিত বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম, গবেষক কুদরত-ই-হুদা এবং কবি ও ‘বিবিধ’ পত্রিকার সম্পাদক ইকতিজা হাসান। সঞ্চালনায় ছিলেন লেখক ও চিন্তক উদয় হাসান। আয়োজক ছিল ‘বায়োস্কোপ আড্ডা’।
বই প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, শহীদি মিছিল শুধু একটি বই নয়, এটি একটি রাজনৈতিক অভিব্যক্তি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্মৃতি বহন করে এই নাম। বইয়েই কবিতাগুলো ২০১৩ সাল থেকে লেখা হয়েছে, যার ভেতরে আছে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও রাজনীতিকে নতুনভাবে দেখার আকাঙ্ক্ষা।
কবি সম্পর্কে তিনি বলেন, রোমেল এখনো বাইনারি থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বনাম শহর, নাগরিকতা বনাম প্রকৃতি, আবেগ বনাম যুক্তির দ্বন্দ্ব প্রকট। তবে তিনি এই দ্বৈততার ভেতর থেকেও নতুন ভাষা নির্মাণের সম্ভাবনা তৈরি করছেন।
আলোচনায় মোহাম্মদ আজম বলেন, রোমেল প্রচলিত কাব্যধারায় কবিতা লেখেননি। তাঁর কবিতায় বাংলার ভাব, কৃষি, নাগরিক সংকট, রাজনৈতিক ভাষ্য ও একান্ত ব্যক্তিগত অনুভব একত্রে ধরা পড়ে। এইসব উপাদানে ফরহাদ মজহারের ছায়া লক্ষ্য করা যায়।
তিনি আরও বলেন, রোমেলের কবিতা শরীরকে একটি কেন্দ্রীয় মেটাফোর হিসেবে ব্যবহার করেছে। প্রেম, আবেগ, ভালোবাসা সবই সেখানে শরীরের ভেতর দিয়ে প্রকাশিত।