ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বেঙ্গল মিট অনলাইন কোরবানি হাটের ১১তম সংস্করণ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে।

ঢাকার প্রধান কার্যালয় থেকে দেওয়া এক ঘোষণায় প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এবারও গ্রাহকদের জন্য নিরাপদ, সুবিধাজনক ও সম্পূর্ণ শরিয়াহ সম্মত কোরবানির অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

qurbani.bengalmeat.com–এ প্রবেশ করে ক্রেতারা খুব সহজেই গরু, খাসি ও ভেড়া কিনতে পারবেন-একক বা শেয়ার কোরবানির যেকোনো একটি অপশন বেছে নিয়ে। প্রতিটি পশু কোরবানি সম্পন্ন হয় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধির তত্ত্বাবধানে, পূর্ণ শরিয়াহ মেনে। এরপর মাংস আন্তর্জাতিক মানের প্রক্রিয়ায় কাটা, প্যাকেজিং ও কোল্ড চেইন ব্যবস্থায় ডেলিভারি করা হয়, যাতে নিরাপত্তা ও মান বজায় থাকে।

আরো পড়ুন:

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা
কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

ইজারাদারদের দ্বন্দ্ব: রাজশাহীতে গরু হাটে নিতে টানাটানি

এই ক্যাম্পেইনের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো.

সাইফুল ইসলাম বলেন, “ধর্মীয় মূল্যবোধ, খাদ্য নিরাপত্তা ও গ্রাহকের আরাম—এই তিনটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিয়েই পুরো প্রক্রিয়া সাজানো হয়েছে। এবারও আমরা অর্গানিক ঘাস খাওয়া গরুর বিশেষ ক্যাটাগরি রেখেছি, যা স্বাস্থ্যসচেতন গ্রাহকদের জন্য উপযুক্ত।”

এ কে এম ছায়াদুল হক ভূঁইয়া (আল-আমিন), হেড অফ প্রকিউরমেন্ট, কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স ও এক্সপোর্ট বলেন, “বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে বেঙ্গল মিট কোরবানির সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। যারা একবার আমাদের সার্ভিস নিয়েছেন, তাদের অনেকেই প্রতি বছর ফিরে আসেন, কারণ তারা জানেন-তাদের ধর্মীয় দায়িত্ব আমরা শ্রদ্ধা ও যত্নের সঙ্গে সম্পন্ন করি।”

বেঙ্গল মিটের অনলাইন কোরবানি হাট ক্রেতাদের ভিড়ভাট্টা পশুর হাট, খোলা জায়গায় কোরবানি, কিংবা অস্থায়ী কসাই ব্যবস্থার ঝামেলা থেকে মুক্তি দিয়ে একটি আধুনিক, ও শরিয়াহসম্মত সমাধান দিচ্ছে। সার্ভিসটি এখন লাইভ, এবং সেরা প্রাণী ও পছন্দের ডেলিভারি স্লট পেতে গ্রাহকদের আগেভাগেই বুকিং করতে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

ঢাকা/হাসান/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর ক রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাবিতে যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর উদ্যোগ ছাত্রদল নেতাকর্মীদের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাস এলাকায় যানজট ও দুর্ঘটনা কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার পলাশী বাজার এলাকায় জেব্রা ক্রসিং অঙ্কন ও দুর্ঘটনা নিরোধক ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়েছে। এসময় রিকশাচালক ও পথচারীদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্লাকার্ডও বিতরণ করা হয়।

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম তারিকের নেতৃত্বে সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন, আবুল কাসেম প্রধান, রাকিব হোসেন, সদস্য সাব্বির আহম্মেদ, ইদ্রিস আলী মুরাদ, সায়মনসহ হল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রদল নেতা তরিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সন্নিকটে পলাশী বাজারে সবসময় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন সময় ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহনে দুর্ঘটনা ঘটে। সম্প্রতি আমি নিজেও ব্যাটারিচালিত রিকশা ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার হই। এতে আমার হাত ও পায়ে আঘাত লাগে। এ ছাড়া ঢাবি ও বুয়েটের শিক্ষার্থীরা পলাশী মোড়ে কেনাকাটা করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন। এসব কারণে যানজট ও দুর্ঘটনা রোধে ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন ও সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ