কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) গত বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের ভারী গোলাবর্ষণ ও গোলাগুলিতে এক ভারতীয় সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সকালে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়।

নিহত সেনার নাম এম মুরলি নায়েক (২৭)। তিনি অন্ধ্র প্রদেশের শ্রী সত্য সাঁই জেলার বাসিন্দা। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন মুরলি।

মুরলির নিহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু। তিনি মুরলির মা–বাবার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।

ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলা ঘিরে প্রায় তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। তিন দিন ধরে পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিবেশী দুই দেশ।

আরও পড়ুনমুরিদকেতে ভারত কি ‘সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি’তে হামলা চালিয়েছে, নাকি মসজিদে১৬ ঘণ্টা আগে

এই কয়েক দিনের সংঘাতে ভারতীয় ২৫ সেনা নিহত হওয়ার দাবি করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তবে বুধবার পর্যন্ত ১৫ বেসামরিক নাগরিকসহ ১৬ জন নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে ভারত সরকার। এ ছাড়া বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের হামলায় কাশ্মীরের উরি সেক্টরে আরও একজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারতীয় কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুনভারত–পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি ড্রোন হামলা ৬ ঘণ্টা আগে

গত ২২ এপ্রিল পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর দায় পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে আসছে ভারত। তবে তা নাকচ করেছে পাকিস্তান। ওই ঘটনার জেরে পাল্টাপাল্টি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে দেশ দুটি। এমন উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারত। তখন থেকেই দুই দেশের মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি হামলা।

আরও পড়ুনবৃহস্পতিবার রাতে ৩০০ থেকে ৪০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় পাকিস্তান: ভারত৭ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়া সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে সীমান্ত পথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটলিয়ন এ সীমান্তে নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।

বিজিবি ৪৭ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই কুষ্টিয়া সীমান্তে অধিকতর সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাদক পাচাররোধ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে আছি। পাশাপাশি আমাদের মূল দায়িত্ব সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করা। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমরা কোন ছাড় দিচ্ছি না।”

তিনি আরো বলেন, “বিএসএফ এর সাথে আমাদের পেশাগত ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সীমান্তে প্রতিপক্ষের কোন তৎপরতা নেই।”

তিনি বলেন, “উল্লেখিত সামরিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে বিধি মোতাবেক  বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারী, টহল ও জনবল প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।” 

এদিকে সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিবির বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে রয়েছেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ