ভারতে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত দীর্ঘ প্রায় ৫৫ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে প্রবেশ করতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে যুদ্ধের আতঙ্কের কারণে খাদ্য সংগ্রহের দিকে নজর দিতে পারে আমজনতা। এমন পরিস্থিতিতে তাই আগেভাগেই জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সংকট, মজুদ, দাম নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
খাদ্য পণ্যের কালোবাজারি রুখতে ও শাকসবজি থেকে মাছ মাংস রাজ্য সরকার নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নজরদারি চালাতে পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই কিছুটা আগেভাগেই খাদ্য পণ্যের মজুদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। টাস্কফোর্সকে নির্দেশ দেন নজরদারি বাড়ানোর।
আরো পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা, জবাব দিতে তৈরি ভারত
সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রত্যাখ্যান করল ভারত
সেই নির্দেশকে মাথায় রেখে শিয়ালদা কোলে মার্কেটে শনিবার সকাল সকাল হানা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পেশাল টাস্কফোর্স। তবে বাজারে অস্বাভাবিক কিছু নজরে আসেনি। যদিও বাজার ঘুরে শাকসবজি, মাছ-মাংস যাতে কেউ কালোবাজারি না, সেই বিষয় সব বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।
বিক্রেতাদের জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কড়া নির্দেশ খাদ্যদ্রব্য দিয়ে কোনোরকম কালোবাজারি করা যাবে না। প্রমাণ পেলে রাজ্য সরকার আইনত কড়া ব্যবস্থা নেবে।
বেশ অনেকটা সময় ধরে বাজার পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্পেশাল টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা। তারা জানান, পুরো বাজারে এখন খাদ্যদ্রব্যে ন্যায্য মূল্যতেই বিক্রি করা হচ্ছে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘আবর্জনার মতো লাগে’, তাই বিভাজকের অর্ধশত বকুলগাছ কাটলেন তিনি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেন দিয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পদুয়ার বাজার রেলওয়ে ওভারপাস পার হতেই বেলতলী এলাকা। এই এলাকায় মহাসড়কের বিভাজকে থাকা সারি সারি বকুলগাছ যে কারোরই মন কেড়ে নেয়। গাছগুলো দেশের ব্যস্ততম এই মহাসড়কের সৌন্দর্যও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মহাসড়কটির সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এসব গাছ লাগানো হয়েছিল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উদ্যোগে।
তবে বেলতলী এলাকায় নির্মিত শিশু হাসপাতালের সামনে যেতেই চোখে পড়ে ভিন্ন এক চিত্র। এই এলাকায় মহাসড়কের বিভাজকের সারি সারি বকুলগাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এসব গাছের কোথাও কেটে নেওয়া হয়েছে গোড়া থেকে, আবার কোনোটি কাটা হয়েছে মাঝখানে। বেশ কিছু গাছ আগুনে পুড়িয়ে রাখা হয়েছে কেটে ফেলার জন্য। প্রায় ৫০০ মিটার এলাকায় এভাবেই অন্তত ৫২টি বকুলগাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
বেলতলী এলাকায় মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনের পাশে দেড় দশক ধরে চা বিক্রি করেন স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল কুদ্দুস। বকুলগাছগুলোর প্রসঙ্গ তুলতেই ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলে উঠলেন, ‘রাস্তার ওই পাশে গিয়া টিনের ঘরে জিজ্ঞেস করেন। কত সুন্দর গাছডি কাইট্টা ফালাইছে। আহ, কত সুন্দর আছিলো বকুলগাছডি। সে বকুলগাছ কাইট্টা ডিভাইডারে কলাগাছ আর শাকসবজি লাগাইছে।’
আবদুল কুদ্দুসের কথা ধরে তাকাতেই মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনের পাশে শিশু হাসপাতালের ফটকসংলগ্ন স্থানে একটি ছোট্ট টিনের ঘর চোখে পড়ল। সেখানে গিয়ে পাওয়া যায় মো. আজমির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে। তিনি দোচালা ওই টিনের ঘরের একাংশে থাকেন, অন্য অংশে চা-বিস্কুট বিক্রি করেন। ৩৭ বছর বয়সী মো. আজমির হোসেনের বাড়ি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে।
বিভাজকের গাছগুলো কে কেটেছে—জিজ্ঞেস করতেই আজমির হোসেন বলেন, ‘ডিভাইডারের এই গাছগুলো আবর্জনার মতো লাগে, কোনো কামের না। এর লাইগ্যা কাইট্টা ফালাইছি। এইখানে এখন কলাগাছ, কাঁঠাল, আম, পেঁপেগাছ লাগাইতেছি। আর জায়গাটার মধ্যে শাকসবজির চাষ করমু। মানুষে আমারে কইতাছে তুমি একটা ভালো কাজ করছ। এই জায়গা থাইক্কা মানুষ ফল ও সবজি খাইতে পারব। কাটার পর কিছু গাছ আমি আনছি আর কিছু মাইনসে নিছে লাকড়ির জন্য। আরও কিছু গাছ কাইট্টা ফলগাছ লাগামু। মাইনসে খাইয়া দোয়া করব।’
গাছগুলো কেটেছেন আজমির হোসেন নামে এই ব্যক্তি