জোরে কথা বলে বিনোদন দেওয়াটা যেন ভারতীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকতা: প্রেস সচিব
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারতীয় গণমাধ্যমের সমালোচনা করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যমে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতা নেই; বরং জোরে কথা বলে নাটক করে বিনোদন দেওয়াটা যেন তাদের সাংবাদিকতা।
আজ শনিবার বিকেলে যশোরের কেশবপুর উপজেলার পাথরা পল্লী উন্নয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রেস সচিব বলেন, ভারতে বাংলাদেশের যেসব টেলিভিশনের ইউটিউব চ্যানেল বন্ধ করা হয়েছে, সেটা সত্যিই দুঃখজনক। ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডা চালানো নতুন কিছু নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনায় কারা জড়িত, সে ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এর আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেছেন, ‘আমরা চাই, বাংলাদেশের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ হোক। বাংলাদেশের সবই ঢাকাকেন্দ্রিক। ঢাকা বিকেন্দ্রীকরণ হয়ে যশোরের দিকে আপনাদের দিকে হোক, যাতে আপনারা আপনাদের ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।’ তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু করার কথা বলা হয়; কিন্তু আপনারা জানেন, আমরা একটা ভঙ্গুর অর্থনীতি পেয়েছি। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একজন পিয়ন ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে গেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে নিজেই তা স্বীকার করেছেন। ফলে আমরা একটি ভঙ্গুর অর্থনীতি পেয়েছি। আমরা অর্থনীতি মেরামতের চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রাক্তন ছাত্র প্রেস উইংয়ের সদস্য রাশেদুল ইসলাম। বক্তব্য দেন যশোরের জেলা প্রশাসক আজহারুল ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহান, যশোর জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেকসোনা খাতুন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক হুসাইন আল মামুন, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন প্রধান শিক্ষক তপন কুমার ব্রহ্ম, প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রকৌশলী উত্তম কুমার কর।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অন্তর্বর্তী সরকার বিচারের দৃশ্যমান কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে দিয়ে যেতে চায়: আসিফ মাহমুদ
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই আন্দোলনের মামলার উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান বিচারের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে দিয়ে যেতে চায়। তবে বিচার একটি চলমান ও দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য হলে আগামী ৫ আগস্ট ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা হচ্ছে যে আগামী ৫ আগস্ট যদি ঘোষণাপত্র দেওয়া যায়, তবে সেজন্য রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে আসা প্রয়োজন। আশা করি, রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্য শেষে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করা সম্ভব হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির নতুন ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য আইনশৃংখলা বাহিনী থেকে শুরু করে নির্বাচন কমিশন যথাযথভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। চূড়ান্ত সময় আসলে প্রশাসন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। সরকারের দিক থেকে সংস্কারের একটি রুপরেখা দেওয়া হয়েছে। কমিশনগুলো যেসব প্রস্তাবনা দিয়েছে এগুলোর বাস্তবায়নে কাজ করছে। যেগুলো সরকারি আদেশে বাস্তবায়ন সম্ভব এগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে। সংবিধানসহ যেসব বিষয়গুলো আরও একটু জটিল, সেগুলো একটি চার্টারের মাধ্যমে সমঝোতায় আনা হবে। প্রয়োজনে পরবর্তী যে কোনো সরকার এগুলো বাস্তবায়নে বাধ্য থাকবে।’
এর আগে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আইনজীবী সমিতির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি মো. ইসমাইল, সাবেক সভাপতি কাজী নাজমুস সা’দাত। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খন্দকার মিজানুর রহমান প্রমুখ।