হোঁচট খেয়ে শাবনূরের পায়ে প্লাস্টার, বললেন— ‘আক্কেল হইছে!’
Published: 13th, May 2025 GMT
চেনা সেই হাসিখুশি শাবনূর এখন হাঁটতে পারছেন না, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছেন। কারণ? মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে এমনভাবে পড়ে গেছেন যে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে!
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ল্যাকেম্বা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই অসতর্ক মোবাইল দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বেশ সতর্ক হয়েছেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হালকা হাসির মাঝে ঘটনাটি কিন্তু মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার মতো নয়।
শাবনূরের ভাষায়, “ব্যথাটা পেয়ে আমার আক্কেল হয়েছে। জীবনে আর হাঁটতে–চলতে গিয়ে মোবাইল দেখব না। গাড়ি চালানোর সময়ও না।”
আরো পড়ুন:
কান: প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে ২২ চলচ্চিত্র
বলিউড তারকারা কেন সরকারবিরোধী কথা বলেন না?
গত শনিবার সকালে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ছেলেকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা। শাবনূর জানান, ফুটপাত থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে পা মচকে গেছে। হাঁটুর চামড়াও উঠে যায়। পরে চিকিৎসক জানান— পায়ের টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে বাধ্য হয়ে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে। এখন চলছে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটা আর ব্যথানাশক খাওয়ার ‘অভিজ্ঞতা’।
শাবনূর বলেন, “উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও ছিল না। তখনই বুঝলাম, একটুখানি অসাবধানতা থেকেও কী ভয়ানক কিছু হয়ে যেতে পারে।”
এই দুর্ঘটনা শুধু শাবনূরের নয়, এটা যেন সবার জন্য একটা সতর্কবার্তা। ‘মোবাইল-আসক্তি’র যুগে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলা, স্ক্রল করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাস। কিন্তু এই ঘটনাই প্রমাণ করল, রাস্তা আর মোবাইল একসঙ্গে গেলে, গন্তব্য হতে পারে হাসপাতাল!
সবাইকে সতর্ক করে শাবনূর বলেন, “যদি আমি গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলতাম এবং তখন এমন কিছু হতো, তবে শুধু আমার নয়, অন্য কারো জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারত। আমার ইনজুরি একটা সতর্কবার্তা— আশা করি, কেউ বিষয়টাকে হালকা করে দেখবেন না।”
অবশ্য ভক্তদের জন্য আশার খবর— শাবনূর এখন সেরে ওঠার পথে। সিডনিতে বোন ঝুমুরের বাসায় বিশ্রামে আছেন। ঢাকায় সিনেমা ‘রঙ্গনা’ দিয়ে ফেরার খবরে ভক্তদের মনে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে কাজ আপাতত বন্ধ, তবু এই তারকার ফেরা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই।
ঢাকা/রাহাত/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শ বন র সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
পাবিপ্রবি নিষিদ্ধ সংগঠনের ২ কর্মীকে পুলিশে সোপর্দ
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) শাখার দুই কর্মীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মাসুদ রানা সরকারের অনুসারী কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান। তারা উভয়ই ইতিহাস বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কল্যাণ রায় শুভকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাইম জিসানকে পাবনার শালগাড়িয়ার তালবাগান এলাকা থেকে আটক করেন শিক্ষার্থীরা।
আরো পড়ুন:
পাবিপ্রবিতে জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘অবমাননা’র প্রতিবাদ
সমাধান না পেয়ে আবারো রেলপথ অবরোধ বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পরীক্ষা শেষ করে বের হলে কল্যাণ রায় শুভকে আটক করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়। কল্যাণ রায় শুভের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ নাইম জিসানের মেসে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, কল্যাণ রায় শুভ এবং নাইম জিসান দুজনেই বিগত সরকারের সময় ছাত্র নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০২৩ সালে রমজানে হলে তিন শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মঙ্গলবার তাদের দুজনের পরীক্ষা ছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান খান বলেন, “বিকেলে কয়েকজন শিক্ষার্থী কল্যাণ রায় শুভ নামের এক শিক্ষার্থীকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। ওরা ওই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আমাদের কাছে আগে নির্যাতনের অভিযোগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যেহেতু ফৌজদারি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না, তাই আমরা বিষয়টা পাবনা সদর থানাকে অবগত করি। থানা থেকে পুলিশ এসে তাকে নিয়ে যায়।”
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুস সালাম বলেন, “ছাত্রলীগের দুই কর্মীকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। যে শিক্ষার্থীরা তাদের আটক করেছেন, তারা আমাদের জানিয়েছেন, ওই দুই ছাত্রলীগ কর্মী শিক্ষার্থী নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু আমরা এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/আতিক/মেহেদী