চেনা সেই হাসিখুশি শাবনূর এখন হাঁটতে পারছেন না, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে এগোচ্ছেন। কারণ? মোবাইলে কথা বলতে বলতে হাঁটতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে এমনভাবে পড়ে গেছেন যে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে! 

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির ল্যাকেম্বা এলাকায় ঘটে যাওয়া এই অসতর্ক মোবাইল দুর্ঘটনা নিয়ে এখন বেশ সতর্ক হয়েছেন ঢালিউডের এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। হালকা হাসির মাঝে ঘটনাটি কিন্তু মোটেও হালকাভাবে নেওয়ার মতো নয়।

শাবনূরের ভাষায়, “ব্যথাটা পেয়ে আমার আক্কেল হয়েছে। জীবনে আর হাঁটতে–চলতে গিয়ে মোবাইল দেখব না। গাড়ি চালানোর সময়ও না।”

আরো পড়ুন:

কান: প্রতিযোগিতা বিভাগে লড়বে ২২ চলচ্চিত্র

বলিউড তারকারা কেন সরকারবিরোধী কথা বলেন না?

গত শনিবার সকালে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে ফেরার সময় ছেলেকে মাঠে নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা। শাবনূর জানান, ফুটপাত থেকে অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গিয়ে পা মচকে গেছে। হাঁটুর চামড়াও উঠে যায়। পরে চিকিৎসক জানান— পায়ের টিস্যুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে বাধ্য হয়ে পায়ে প্লাস্টার করতে হয়েছে। এখন চলছে ক্রাচে ভর দিয়ে হাঁটা আর ব্যথানাশক খাওয়ার ‘অভিজ্ঞতা’।

শাবনূর বলেন, “উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তিও ছিল না। তখনই বুঝলাম, একটুখানি অসাবধানতা থেকেও কী ভয়ানক কিছু হয়ে যেতে পারে।”

এই দুর্ঘটনা শুধু শাবনূরের নয়, এটা যেন সবার জন্য একটা সতর্কবার্তা। ‘মোবাইল-আসক্তি’র যুগে হাঁটতে হাঁটতে ফোনে কথা বলা, স্ক্রল করা আমাদের অনেকের দৈনন্দিন অভ্যাস। কিন্তু এই ঘটনাই প্রমাণ করল, রাস্তা আর মোবাইল একসঙ্গে গেলে, গন্তব্য হতে পারে হাসপাতাল!

সবাইকে সতর্ক করে শাবনূর বলেন, “যদি আমি গাড়ি চালানোর সময় ফোনে কথা বলতাম এবং তখন এমন কিছু হতো, তবে শুধু আমার নয়, অন্য কারো জীবনও ঝুঁকিতে পড়তে পারত। আমার ইনজুরি একটা সতর্কবার্তা— আশা করি, কেউ বিষয়টাকে হালকা করে দেখবেন না।”

অবশ্য ভক্তদের জন্য আশার খবর— শাবনূর এখন সেরে ওঠার পথে। সিডনিতে বোন ঝুমুরের বাসায় বিশ্রামে আছেন। ঢাকায় সিনেমা ‘রঙ্গনা’ দিয়ে ফেরার খবরে ভক্তদের মনে আশা জাগিয়েছিলেন তিনি। যদিও সে কাজ আপাতত বন্ধ, তবু এই তারকার ফেরা নিয়ে উৎসাহের শেষ নেই।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র শ বন র সতর ক

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিমা বিসর্জনের নৌকা থেকে আত্রাই নদে পড়ে কিশোর নিখোঁজ

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় আত্রাই নদে প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকা থেকে পড়ে রনি (১৬) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে আত্রাই নদের মহাদেবপুর শিবগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিখোঁজ রনি জেলার মান্দা উপজেলার বানডুবি গ্রামের রণজিত হাওলাদারের ছেলে। ঘটনার পর তাকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুর্গাপূজায় প্রতিমা বিসর্জনের অংশ হিসেবে প্রতিবারের মতো এবারও আত্রাই নদে প্রতিমা ভাসানোর আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয় মানুষ, পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধবসহ অনেকে নৌকা নিয়ে নদীতে ঘুরছিলেন। এর মধ্যে রনি যে নৌকায় ছিল, সেটি মহাদেবপুর উপজেলার শিবগঞ্জ এলাকায় পৌঁছায়। হঠাৎই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রনি নৌকা থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ হয়। এ সময় নৌকায় রনির সঙ্গে থাকা লোকজন দ্রুত থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশের সহযোগিতায় স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ শুরু করে। তবে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিন রেজা প্রথম আলোকে বলেন, নিখোঁজ কিশোরকে দ্রুত উদ্ধারের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তল্লাশি চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ