নেত্রকোনায় খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সেই নেতার জামিন নামঞ্জুর
Published: 13th, May 2025 GMT
নেত্রকোনায় খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি এবং জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে (৩৫) কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক বিকেলে তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ।
এর আগে গতকাল সোমবার বিকেলে শহরের কুরপাড় এলাকা থেকে নাশকতা মামলার আসামি হিসেবে আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরপরই তাঁর মুক্তির দাবিতে নেত্রকোনা মডেল থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন খেলাফত আন্দোলন ও খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে আনোয়ারের মুক্তির দাবিতে তাঁর সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আজ বিকেলেও বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। এ ছাড়া জেলা শহরের হোটেলশ্রমিকেরা পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করেন।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২২ মে নেত্রকোনা শহরের ছোট বাজার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কর্মসূচি চলাকালে রাস্তা বন্ধ করে বিভিন্ন যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে মামলা করা হয়। সদর উপজেলার আমলি কেশবপুর গ্রামের মান্নান মিয়ার ছেলে তাঁতী দল নেতা মো.
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই আসামিদের মধ্যে খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে ৯৩ নম্বর আসামি করা হয়। এরপর সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের কুরপাড় এলাকা থেকে পুলিশ আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। আজ পুলিশ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে আজ বিকেলে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহকারী মহাসচিব গাজী মোহাম্মাদ আবদুর রহিমের নেতৃত্বে খেলাফত আন্দোলন, খেলাফত শ্রমিক আন্দোলন ও হোটেলশ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে ছোট বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সমাবেশ করেন।
গাজী মোহাম্মাদ আবদুর রহিম বলেন, ‘শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তাঁকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ফাঁসিয়ে অযথা হয়রানি করা হচ্ছে। তাঁকে দ্রুত নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি গ্রহণে বাধ্য হব। আজ রাতে সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে বসে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
আরও পড়ুননেত্রকোনায় খেলাফত শ্রমিক আন্দোলনের নেতা গ্রেপ্তার, মুক্তির দাবিতে থানা ঘেরাও২০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিয়ে নিয়ে যা বললেন পূজা চেরি
শারদীয় দুর্গাপূজা—হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। ঢাকের তালে, উলুধ্বনির সুরে, আলোকসজ্জার ঝলকে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছিল প্রতিটি পূজামণ্ডপ। এই আনন্দে শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও যুক্ত হন।
গতকাল বিজয়া দশমীর পবিত্র তিথিতে দেবীকে বিদায় জানানোর মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার সমাপ্তি ঘটে। পূজামণ্ডপগুলোতে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন ভক্তরা। একে অপরের মুখে সিঁদুর মেখে উল্লাসে মাতেন সনাতনীরা। দুর্গোৎসবের আনন্দ ছুঁয়ে গেছে অভিনেত্রী পূজা চেরিকেও। গতকাল সিঁদুর খেলায় অংশ নেন তিনি।
আরো পড়ুন:
‘সবাই ধরে নেয় আমি ঋষি কাপুরের অবৈধ মেয়ে’
সংসার ভাঙার কারণে স্বামীকে ১১ মিলিয়ন ডলার দিতে হবে অভিনেত্রীর?
পূজামণ্ডপে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পূজা চেরি। এ সময় জানতে চাওয়া হয়, বিজয়া দশমীর দিনে দেবী দুর্গার কাছে কী চাইলেন? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “আমার যে গর্ভধারিণী মা মারা গেছেন সে যেন ভালো থাকেন। যেখানেই থাকেন যেন ভালো থাকেন এটাই চেয়েছি এবং দুর্গা মাকে বলেছি ‘তুমি যেন ভালো থেকো’। কারণ আমরা সবাই চেয়ে বেড়াই কিন্তু মাকে একটু জিজ্ঞেস করি না যে, ‘মা তুমি কেমন আছো?”
ব্যক্তিগত জীবনে পূজা চেরি এখনো একা। ফলে তার বিয়ে নিয়ে ভক্ত-অনুরাগীদের আগ্রহের শেষ নেই। বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে এই অভিনেত্রী বলেন, “এখানে একজন সিঁদুর আমার গালে লাগিয়ে দিচ্ছিল, তখন তারা বলল, ‘প্রার্থনা করি আগামীবার যেন দাদাসহ মণ্ডপে আসতে পারো’।” এ কথা বলে একটু হাসি মুখে পূজা বলেন, “দেখ যাক কী হয়! চিন্তার বিষয় চিন্তা করে দেখি।”
পূজা চেরি শোবিজ অঙ্গনে যাত্রা শুরু করেছিলেন শিশুশিল্পী হিসেবে। ধীরে ধীরে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে নায়িকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই অভিনয় গুণে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন তিনি।
ঢাকা/শান্ত