ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল সীমান্তে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বুধবার (১৪ মে) দুপুরে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়নের (৫০ বিজিবি) আওতাধীন ধর্মগড় বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৭৩/১-এস-এর বিপরীতে এ ঘটনা ঘটে।

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, রানীশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের চার বাংলাদেশি সীমান্ত এলাকায় ঘাস কাটছিলেন। বিষয়টি ভারতের ১৮৪ আমবাড়ী বিএসএফ ক্যাম্পের টহল দলের নজরে এলে তারা ওই চারজনকে আটকানোর চেষ্টা করে। পরে তিন জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও একজনকে আটক করে বিএসএফ।

আটক ব্যক্তির নাম মো.

আজিজুর। তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈল উপজেলার শাহানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবার নাম মরতুজা।

আরো পড়ুন:

কানাইঘাট দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

সুন্দরবন দিয়ে ৭৮ জনকে ‌‌‌‌ঠেলে দিল বিএসএফ

বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আটক বাংলাদেশিকে ফেরত আনার জন্য পতাকা বৈঠকের কার্যক্রম চলছে।

ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, ‘‘আমরা আমাদের নাগরিককে নিরাপদে ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছি। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং আশা করছি খুব দ্রুতই পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান হবে।’’

ঢাকা/হিমেল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ ঠ ক রগ

এছাড়াও পড়ুন:

পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শুকানি সীমান্তে করতোয়া ও সাও নদীর মোহনা থেকে মানিক হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা করেছে পুলিশ ও বিজিবি। ওই যুবক দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন।

শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশ ও বিজিবিকে খবর দেন স্থানীয়রা। তার মাথায় গুলির ক্ষতচিহ্ন পেয়েছে পুলিশ। দুপুরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। 

মানিক হোসেনের বাড়ি তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায়। 

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার ভোরে সীমান্তে একদল চোরাকারবারি গরু আনতে গেলে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে বিএসএফ। এ সময় বাকিরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হন মানিকসহ চারজন। তাদের মধ্যে আব্দুল হুদা ওরফে জমির উদ্দিন নামে একজনকে শনিবার সকালে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তার বিরুদ্ধ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি। এখনো আরো দুজন নিখোঁজ আছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। 

দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আইবুল ইসলাম বলেছেন, স্থানীয় মানুষদের একটি দল সীমান্তে গরু আনতে গেলে বিএসএফ তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। ওই দিন থেকে চারজন নিখোঁজ ছিলেন। আজ মানিকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ পাওয়া গেছে। ধারণা করছি, বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কেউ অপরাধ করলে তাকে প্রচলিত আইনে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু, নির্বিচারে গুলি করে হত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। 

তেঁতুলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নাজির হোসেন বলেছেন, খবর পেয়ে আমরা মানিকের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই যুবকের মাথায় গুলির আঘাতের চিহ্ন আছে। তার মাথার পেছনে গুলি ঢুকে চোখের পাশ দিয়ে বেড়িয়ে গেছে। আগে তার নিখোঁজের বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। 

নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেছেন, তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ওই যুবকের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। ভারতের অভ্যন্তরে আটক করে একজনকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হবে। 

ঢাকা/নাঈম/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাটগ্রাম সীমান্ত দিয়ে শারীরিক প্রতিবন্ধী দুজনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • যশোরের শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ ৩ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • দুই ভিক্ষুককে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • করতোয়ায় গুলিবিদ্ধ লাশ, বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু বলে ধারণা স্থানীয়দের
  • শার্শা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিকসহ তিনজনকে পুশইন
  • পঞ্চগড় সীমান্তে যুবকের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার