কুড়িগ্রাম সীমান্তে বজ্রপাতে টহলরত বিজিবি সদস্যের মৃত্যু, আহত ৪
Published: 15th, May 2025 GMT
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় টহলের সময় বজ্রপাতে রিয়াদ হোসেন (৩২) নামের এক বিজিবি সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
রিয়াদ জামালপুরের ৩৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীন দাঁতভাঙ্গা বিওপিতে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার দিয়ারা ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুল লতিফ। দাঁতভাঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আবদুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে হাবিলদার মো.
বিজিবি সূত্র জানায়, রাতে আন্তর্জাতিক সীমানা মেইন পিলার ১০৫৬-এর ছাটকড়াইবাড়ী-ধর্মপুর সীমান্ত এলাকায় টহলে ছিলেন একদল বিজিবি সদস্য। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে বিজিবির চার সদস্য ও এক আনসার সদস্য গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিদের প্রথমে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক রিয়াদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) নবিউল ইসলাম বলেন, বজ্রপাতের শিকার হয়ে এক বিজিবি সদস্যকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। গুরুতর আহত দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘সীমান্তে টহলরত অবস্থায় বজ্রপাতে এক বিজিবি সদস্য মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ আইএমএফের
রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি হ্রাসে জোর দিতে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। নতুন বিনিময় হার ব্যবস্থা চালু করায় সংস্থাটি বাংলাদেশকে স্বাগত জানিয়েছে। আবার এ–ও বলেছে, ভবিষ্যতে বিনিময় হার পরিপূর্ণভাবে বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে আইএমএফের কার্যালয় থেকে গতকাল রোববার বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মিশনপ্রধান পাপাজর্জিও এসব কথা বলেন। উপমিশনপ্রধান আইভো ক্রিজনার ও আইএমএফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি জয়েন্দু দে এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আইএমএফ বলেছে, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হচ্ছে বাংলাদেশ। এ সময়ে রপ্তানি পণ্যের বহুমুখিতা দরকার। আরও দরকার সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ, শাসনব্যবস্থার শক্তিশালীকরণ ও তথ্যের মানোন্নয়ন।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, আইএমএফের সঙ্গে বাংলাদেশের ঋণ কর্মসূচির মেয়াদ একটু বেড়েছে। ২০২৬ সালের বদলে এটা শেষ হবে ২০২৭ সালের জানুয়ারিতে এবং বাকি সময়ে আরও ৮০ কোটি মার্কিন ডলার বাড়তি ঋণ পাবে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের পর সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অবনতি হলেও ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়নে মোটামুটি সঠিক পথেই আছে বাংলাদেশ।
আইএমএফ আরও বলেছে, রাজস্ব আদায় পরিস্থিতি ও এনবিআর পৃথককরণ নিয়ে যৌথভাবে কাজ শুরু করেছে আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংক। মিশনপ্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, বাংলাদেশ কীভাবে কার্যকরভাবে রাজস্ব আহরণ বাড়াবে, সে লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আইএমএফের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশকে ২ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করতে হবে। চলমান আন্দোলনের পরিস্থিতিতে তা কি অর্জন করা সম্ভব, এমন প্রশ্নের জবাবে পাপাজর্জিও বলেন, ‘কঠিন পরিস্থিতির কথা স্বীকার করছি। তবে লক্ষ্যমাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হলেও তা অর্জনযোগ্য। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব সংগ্রহের অনুপাতের দিক থেকে বিশ্বে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। এ অবস্থার উত্তরণ দরকার।’