বান্দরবানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপ পাহাড়ি খাদে, নিহত ১
Published: 16th, May 2025 GMT
বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় জিপ (চাঁদের গাড়ি) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রায় ৫০ ফুট নিচে পাহাড়ি খাদে পড়ে থংয়া ম্রো (২৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় আরও ২০ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে নারী-পুরুষ ও শিশুও রয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কলারঝিরি এলাকার জমিরাম পাড়া সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে আলীকদম-থানচি সড়কের ২৬ কিলোমিটার এলাকার মাংগু পাড়ার বাসিন্দারা একটি বিয়ের দাওয়াতে যোগ দিতে জিপ (চাঁদের গাড়ি) করে আলীকদম কলারঝিরি যাচ্ছিলেন। গাড়িটিতে থাকা সবাই ম্রো সম্প্রদায়ের এবং একই পাড়ার বাসিন্দা। গন্তব্যে পৌঁছার আগে জমিরাম পাড়ার পাশে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপটি প্রায় ৫০ ফুট নিচে পাহাড়ি খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই থংয়া ম্রো নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনায় নারী-পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আলীকদম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা জহির উদ্দিন বলেন, “জিপটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৫০ ফুট পাহাড়ি খাদে পড়ে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান বলে জেনেছি। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা ঘটনাস্থলে গেছে। তারা আসলে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে।”
ঢাকা/চাই মং/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬৯
ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৯ তীব্রতার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা বেড়ে ৬৯ জন হয়েছে। দেশটির দুর্যোগ-সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা আজ বুধবার এ খবর জানান। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও পানি-বিদ্যুতের সংযোগ আবার চালু করার চেষ্টা করছে ফিলিপাইন সরকার।
দেশটির সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা রাফি আলেজান্দ্রো সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার আগে সেবু প্রদেশের উত্তরে বোগো শহরের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়। স্থানীয় হাসপাতালগুলো আহত মানুষের ভিড়ে রীতিমতো উপচে পড়ছে।
আঞ্চলিক সিভিল ডিফেন্স দপ্তরের তথ্য কর্মকর্তা জেন আবাপো বলেন, সেবুর প্রাদেশিক দুর্যোগ দপ্তরের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে নিহত হওয়ার সংখ্যা এখন পর্যন্ত ৬৯ জন। অন্য একজন কর্মকর্তা জানান, আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের দ্রুত সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি জানান, মন্ত্রিপরিষদ সচিবেরা ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। প্রিয়জন হারানো ব্যক্তিদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সেবু ফিলিপাইনের জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্যগুলোর একটি। সেখানে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের বসবাস। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ম্যাকতান-সেবু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম চালু রয়েছে। এটা ফিলিপাইনের দ্বিতীয় ব্যস্ততম বিমানবন্দর।
ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সান রেমিগিও শহরটিও। উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য এ শহরে ‘দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের ভাইস মেয়র আলফি রেইনেস বলেন, উদ্ধারকর্মীদের জন্য খাবার ও পানি, সেই সঙ্গে ভারী সরঞ্জাম প্রয়োজন।
স্থানীয় ডিজেডএমএম রেডিওকে আলফি রেইনেস বলেন, ‘ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ নেই। আমাদের সত্যিই সহায়তা দরকার। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে পানির তীব্র সংকট রয়েছে। ভূমিকম্পে সেখানে সরবরাহ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
আরও পড়ুনফিলিপাইনে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত অন্তত ২৬, চলছে উদ্ধারকাজ৫ ঘণ্টা আগে