‘মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে’ উপলক্ষে সচেতনতামূলক নানা আয়োজন
Published: 28th, May 2025 GMT
বিশ্ব মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন ডে আজ ২৮ মে, বুধবার। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য—পিরিয়ড-বান্ধব বিশ্ব গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। এ উপলক্ষে পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে তিন দিনব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন করেছে প্রথম আলো ডটকম।
ফ্রেশ অনন্যা নিবেদিত ‘প্রিয় অনন্যার পিরিয়ড-সচেতনতা’
পিরিয়ড নিয়ে এখনো আমাদের সমাজে রয়েছে অসংখ্য ভুল ধারণা, সংকোচ আর নীরবতা। এসব বিষয়ে সচেতন করতে ফ্রেশ অনন্যার সহযোগিতায় নির্মিত হয়েছে ‘প্রিয় অনন্যার পিরিয়ড-সচেতনতা’ নামে তিন পর্বের বিশেষ টক শো।
প্রথম পর্বের বিষয় ‘পিরিয়ড চলাকালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, পুষ্টি ও ডাবল প্রটেকশন নিশ্চিতের গুরুত্ব’। এ পর্বে অতিথি হিসেবে রয়েছেন টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জন ডা.
দ্বিতীয় পর্বে ‘পিরিয়ড নিয়ে ভুল ধারণা ভাঙা, ডাবল প্রটেকশন ও খোলামেলা আলাপের প্রয়োজনীয়তা’ বিষয়ে আলোচনা করেছেন মানসিক স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ এবং গ্রিন লাইফ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের এন্ডোক্রাইনোলজি ও মেটাবলিজম বিভাগের প্রধান ডা. তানজিনা হোসেন।
শেষ পর্বে আলোচনার বিষয় ‘স্কুল ও কর্মস্থলে পিরিয়ড ম্যানেজমেন্ট, ট্র্যাকিং ও ডাবল প্রটেকশনের গুরুত্ব’। এতে অতিথি হিসেবে রয়েছেন স্পেশালাইজড গ্যাস্ট্রোলিভার কেয়ারের পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের (বিআইএসসি) সিনিয়র শিক্ষক হাসিনা মোস্তাফিজ।
এসিআই ফ্রিডম নিবেদিত প্রথম আলোর সহযোগিতায় ভিন্নধর্মী ক্যাম্পেইন ‘সুস্থ থাকি, স্বাধীন থাকি’উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অনন য
এছাড়াও পড়ুন:
ঈদ উপলক্ষে ১১ দোকানে কেনা পণ্য পুড়ল আগুন
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর কাঁচা বাজারে অগ্নিকাণ্ডে ১১টি দোকান ও গুদাম পুড়ে গেছে। সোমবার রাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ ঘটনা ঘটে। এতে ব্যবসায়ীদের পৌনে কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. আব্দুল মোহাইমেন তুষার।
এ কর্মকর্তা বলেন, এসব দোকান ও গুদামে ঈদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পণ্য কিনে মজুদ রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ঘটনার কিছুক্ষণ পর টহলরত পুলিশের মাধ্যমে রাত ১টা ৩৩ মিনিটে আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
জানা গেছে, পৌর বাজারে সোমবার রাত ১টার দিকে একটি দোকানে আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যে তা আশপাশের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে টহল পুলিশের সদস্যরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। আধা ঘণ্টা পর একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। এরই মধ্যে ১১টি দোকান ও পণ্যসামগ্রী পুড়ে যায়।
ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। নৈশপ্রহরী রেজাউল ইসলামের ভাষ্য, কাঁচা বাজারের সাইফুল ইসলামের খাবারের রেস্তারাঁ থেকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুন লাগে। পরে পাশের দোকানগুলোয় ছড়িয়ে পড়ে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামের দাবি, আগুনে তার ৩ লাখ টাকার বিভিন্ন ধরনের পণ্য পুড়ে গেছে। পাশাপাশি পাশের সাখাওয়াত হোসেনের রেস্তারাঁর সাড়ে ৩ লাখ, আমিনুল ইসলামের মুদি দোকানে ২০ লাখ, সাইফুর রহমানের ২০ লাখ, আমিনুল ইসলামের গুদামে ১৫ লাখ, ফারুক উদ্দিনের মুদির ৫, শাহিন মোল্লার ১০ লাখ এবং আরব আলীর জুতার দোকানের ১ লাখ টাকার পণ্য পুড়ে ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া তরিকুল ইসলাম ও রবিউল ইসলামের অস্থায়ী কাপড়ের দোকান এবং মিজান হোসেনের দোকানের আসবাব পুড়ে গেছে। ব্যাবসায়ী রানা হোসেন বলেন, এখানে কিছু দোকানের গুদাম ছিল। ঈদ উপলক্ষে অনেকে পণ্য রেখেছিলেন। সয়াবিনসহ অন্যান্য তেলের জন্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া চায়ের দোকানের ফ্রিজসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জীবননগর বাজারের ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সাবেক আহ্বায়ক মুন্সী মাহবুবর রহমান বাবু বলেন, ঈদের আগে দোকানগুলোয় আগুন লেগে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পণ্য পুড়ে যাওয়ায় তারা পথে বসে গেছেন। অনেকেই পোড়া ছাইয়ের মধ্যে অবশিষ্ট অংশ খোঁজার চেষ্টা করছেন। ভুক্তভোগী মালিক ও কর্মচারীরা সব হারিয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন।