তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর পারফরম্যান্স পর্যালোচনা করে শরিয়াহ সূচক সমন্বয় করেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ। এতে সিএসই শরিয়াহ সূচকে নতুন করে ৩টি কোম্পানিকে যুক্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই সূচক থেকে বাদ পড়েছে আগের ৫টি কেম্পানি।
সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যমতে, সমন্বয়ের পর সিএসই’র শরিয়াহ সূচকে মোট কোম্পানি সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২১টি। আগামী ৩ জুন (মঙ্গলবার) থেকে এটি কার্যকর হবে।
আরো পড়ুন:
সিসিএ’র সুদের ২৫ শতাংশ পাবে ইনভেস্টরস প্রোটেকশন ফান্ড
ফু-ওয়াং ফুডসের আর্থিক হিসাবে অসঙ্গতি খতিয়ে দেখবে বিএসইসি
শরিয়াহ সূচকে নতুন যুক্ত হওয়া কোম্পানিগুলো হলো- মিরাকল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস পিএলসি এবং সায়হাম কটন মিলস লিমিটেড।
বাদ পড়া কোম্পানিগুলো হলো- বিডিকম অনলাইন লিমিটেড, জিবিবি পাওয়ার লিমিটেড, ওইমেক্স ইলেকট্রোড লিমিটেড, সাইহাম টেক্সটাইলস মিলস লিমিটেড এবং উসমানিয়া গ্লস শিট ফ্যাক্টরি লিমিটেড।
চূড়ান্ত সিএসই শরিয়াহ ইনডেক্স এ অন্তর্ভুক্ত ১২১ কোম্পানি হলো- আমরা নেটওয়ার্কস, আমরা টেকনোলজিস, একমি পেস্টিসাইডস, এডিএন টেলিকম, অ্যাডভেন্ট ফার্মা, এএফসি এগ্রো বায়োটেক, অগ্নি সিস্টেমস, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, আমান কটন ফাইব্রাস, অ্যাম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, এপেক্স ফুডস, অ্যাপেক্স স্পিনিং অ্যান্ড নিটিং মিলস, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজ, অ্যাসোসিয়েটেড অক্সিজেন, বঙ্গজ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার, বারাকা পাওয়ার, বাটা বাংলাদেশ, বিবিএস ক্যাবলস, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বিচ হ্যাচারি, বেঙ্গল উইন্ডসোর থার্মোপ্লাস্টিকস, বাজার পেইন্টস বাংলাদেশ, বেক্সিমকো, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, কপারটেক ইন্ডাসট্রিজ, ড্যাফোডিল কম্পিউটারস, ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস, ডোরিন পাওয়ার জেনারেশসনস অ্যান্ড সিস্টেমস, ড্রাগন সোয়োটার অ্যান্ড স্পিনিং, ইস্টার্ন ক্যাবলস, ই-জেনারেশন, এস্কার নিট কম্পোজিট, এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বিডি, ফার কেমিক্যাল ইন্ডাজট্রিজ, ফার ইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ইন্ডাস্ট্রিজ, ফাইন ফুডস লিমিটেড, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ফরচুন সুজ লিমিটেড, ফু-ওয়াং ফুডস্ লিমিটেড, গ্লোবাল হ্যাভি ক্যামিক্যালস লিমিটেড, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, জিকিউ বল পেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, গ্রামীণফোন লিমিটেড, হাক্কানী পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস পিএলসি, হামিদ ফ্যাব্রিক্স পিএলসি, এইচডব্লিউএ ওয়েল টেক্সটাইলস (বিডি) পিএলসি, ইন্দো-বাংলা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ইসলামী ফাইনান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লি.
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইন ড স ট র জ ল ম ট ড ল ইসল ম ল ইন ড স এসই প এলস
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা
বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, নতুন আর্থিক পণ্য উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
বিআইএফএফএলের সঙ্গে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ চুক্তি
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ডিএসই’র প্রতিনিধিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি রয়েছে। যে সকল কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছে তাদের সাথে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের মতো দেশগুলোর অথবা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে তুলনা করে আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও এখনও ২০% নিচে। আমাদের মতো অর্থনীতির অনেক দেশে এটি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের অধিক। পুঁজিবাজারে এসএমই-এর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্বৈত কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার ও এর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্রকরণ করা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। এসএমই কোম্পানিগুলোর ফাইন্যান্সের উপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে আরজেএসসি-তে দুই লাখের উপর কোম্পানি রয়েছে এর মধ্যে মাত্র ৩৬০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও সরকারি কোম্পানি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কিন্তু আশার বিষয় হলো এই সরকার প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামানকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- টার্নওভারের উপর এআইটি কমানো, মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্যাক্স কমানো ও তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স এর ব্যবধান বৃদ্ধি করা। বিএসইসি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো হলো- সিসি একাউন্টের ইন্টারেস্ট বিষয়ে সমাধান ও বিও একাউন্টের নবায়ন ফি কমানো। বিএসইসি মার্কেটে শৃঙ্খলা আনার জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। একটি দক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায় ভিওিক পুঁজিবাজারের বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং ডিএসই পুঁজিবাজারের কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে, এই উন্নয়নের রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বিগত দিনে মার্কেটে রেগুলেটর অনেক সময় অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ করেছে। এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীগণ বাজারে ফিরে আসছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগন সক্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে ইক্যুইটি মার্কেটের সাথে বন্ড মার্কেটেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এই বিষয়ে ডিসিসিআই-এর সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিসিসিআই ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি বড় স্টেকহোল্ডার।
তিনি বলেন, আইপিও প্রসেস এর ডিজিটালাইজেশন এর প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার জন্য গ্রিণ চ্যানেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসইসি এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে। ডিএসই ও ডিসিসিআই উভয় প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী ও টেকসই করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে পারে। এরই লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির প্রসেস এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)’র সুবিধা ও তালিকাভুক্তির প্রসেস নিয়ে চেম্বার সদস্যদের সাথে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব। এছাড়াও এসএমই একটি বিশাল খাত। বেসরকারি খাতের প্রায় ৭৫% এসএমই। তাদের এক্সপোজার আছে, সংযোগ আছে, উন্নয়নের জায়গা আছে। তাই সরকার এ ব্যাপারে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা বিবেচনায় আনতে পারে। ২০০৯ সালে, একটি সমীক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যে, সরকারের ৭.৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। আমরা মনে করি যে, এই অর্থনৈতিক ইউনিট থেকে অধিক পরিমানে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাজিব এইচ চৌধুরী, ভাই প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম সোলাইমান, সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম আসুদুজ্জামান পাটুয়ারি, ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মো. শাকিল রিজভী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ