মার্কিনরা কেন দেশ ছাড়ে, কোন দেশে সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হয়
Published: 29th, May 2025 GMT
২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত মার্কিনরা যেসব দেশে থিতু হতে চায়, সেসবের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেরিয়ে অন্য দেশে থিতু হওয়া ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৬৩ জন মার্কিনের ওপর এক জরিপ চালানো হয়। সেই জরিপ বলছে, গত ৩ বছরে যে ১০টি দেশে মার্কিনরা সবচেয়ে বেশি স্থায়ী হয়েছে, সেসব হলো—
১.
২. স্পেন
৩. যুক্তরাজ্য
৪. কানাডা
৫. ইতালি
৬. আয়ারল্যান্ড
৭. ফ্রান্স
৮. মেক্সিকো
৯. নিউজিল্যান্ড
১০. কোস্টা রিকা
মার্কিনরা কেন দেশ ছাড়েকেউ কেউ যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে ভিনদেশে পাড়ি জমানউৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গড়তে জাপানের সর্বাত্মক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে জাপানের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আজ শুক্রবার টোকিওর জেট্রো সদর দপ্তরে আয়োজিত সেমিনারে তিনি বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি, আপনাদের ধন্যবাদ জানাতে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করতে।’ জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এবং জাইকা যৌথভাবে ‘বাংলাদেশ বিজনেস সেমিনারে’র আয়োজন করে। খবর বাসসের
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা বড় বিপদের মধ্যে আছি। আক্ষরিক অর্থেই বাংলাদেশ ১৬ বছরের একটি ভূমিকম্প পার করেছে। সবকিছু ভেঙে পড়েছে। আমরা এখন টুকরো টুকরো করে গুছিয়ে তোলার চেষ্টা করছি।’
জাপানকে বাংলাদেশের বন্ধু আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘একজন ভালো বন্ধু কঠিন সময়ে পাশে দাঁড়ায় এবং জাপান সেই বন্ধু।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ হলো অসম্ভবকে সম্ভব করা এবং আপনি আমাদের সঙ্গী ও বন্ধু। এটি বাস্তবে রূপ দিন।’
নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা একটি ঐতিহাসিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা ইতিহাসকে দেখাতে চাই যে, এটি সম্ভব হয়েছে, তা-ও নিখুঁতভাবে।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘অন্য একটি বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করুন, যাকে আমরা নতুন বাংলাদেশ বলি। তাই আমাদের কাজ হচ্ছে একসঙ্গে সেই নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করা।’ তিনি বলেন, ‘আপনাদের সহযোগিতায় এটি বাস্তবায়নযোগ্য এবং আমরা ইতোমধ্যে তার ভিত্তি স্থাপন করেছি।’
মাতারবাড়ি উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, এটি পিছিয়ে থাকা একটি দেশের অর্থনীতির ভিত্তি গড়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি কেবল অর্থ উপার্জনের বিষয় নয়। এটি মানুষের জীবন বদলে দেওয়ার ব্যাপার।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশ আরও বহু মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের জন্য দরজার মতু যেমন নেপাল, ভুটান এবং ভারতের সাতটি উত্তরপূর্ব রাজ্যের মানুষ সমুদ্রের পথ পেতে পারে বাংলাদেশ হয়ে।’ তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ি হচ্ছে বাকি বিশ্বের জন্য দরজা। আমরা তাদের জন্য এই দরজা খোলা রাখবো।’
জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্পবিষয়ক পার্লামেন্টারি ভাইস মিনিস্টার তাকেউচি শিনজি বলেন, বাংলাদেশ হলো একটি কৌশলগত বিন্দু, যা এশিয়াকে সংযুক্ত করে এবং এই অঞ্চলের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে জাপান দেশটির উন্নয়নে সহায়তা করে আসছে।
শিনজি আরও বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে একটি কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় জাপান সরকার।
জাপানি সরকার দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, জাপানি কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগে উৎসাহ দিচ্ছে বলেও জানান তাকেউচি।
ড. ইউনূস বলেন, জাপানি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।
বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূলত টেক্সটাইল শিল্পভিত্তিক উল্লেখ করে তিনি আরও বিস্তৃত খাতে বিনিয়োগ বৈচিত্র্য আনার আহ্বান জানান।
সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজিবিষয়ক মূখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং টোকিওর বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী উপস্থিত ছিলেন।