এই সপ্তাহে ইউটিউবে কী দেখছেন দর্শক
Published: 31st, May 2025 GMT
চলতি সপ্তাহে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে শীর্ষ দশে রয়েছে একটি নাটক ও একটি টেলিছবি। একটির অবস্থান তিন, আরেকটির অবস্থান আট নম্বরে। প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক কী দেখছেন দেশের দর্শকেরা। আর তা দেখে তাঁদের মন্তব্যই-বা কেমন।
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের সেরা দশের তিন নম্বর রয়েছে নাটক ‘ফিরে দেখা’। মহিদুল মহিমের চিত্রনাট্য ও নির্মাণে এর প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোভান ও তটিনী। সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি মুক্তি পেয়েছে ২৬ মে।
নাটকটি সম্পর্কে নির্মাতার ভাষ্য, এটা প্রেমের গল্প। হারানো সম্পর্ক ফিরে পাওয়ার গল্প। এখন পর্যন্ত ৩৮ লাখের বেশি মানুষ নাটকটি দেখেছেন। নাটক দেখে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন প্রায় দেড় হাজার মানুষ, যার বেশির ভাগ মন্তব্যই ইতিবাচক। একজন লিখেছেন, ‘“ফিরে দেখা” নাটকটা দেখে মনটা ছুঁয়ে গেল। জোভান আর তটিনীর অভিনয় এত বাস্তব ছিল যে চরিত্রগুলো একসময় নিজের মনে হতে লাগল। গল্পটা যেন হারিয়ে যাওয়া সময়ের কথা মনে করিয়ে দিল। সত্যিই অসাধারণ নির্মাণ’।
আরেকজন লিখেছেন, ‘কিছু নাটক মন ছুঁয়ে যায়; এটা ঠিক তেমন একটা। অভিনয়, সংলাপ, সবকিছু পারফেক্ট’। আরেকজনের মন্তব্য, ‘ভালোবাসা নাকি অভিমান, কোনটার হবে জয়–পরাজয়, এই নিয়ে ভিন্নতর একটি রোমান্টিক ঘরানার সুন্দর একটি ভালো লাগার মতো ভালোবাসার গল্প দেখলাম।’
ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের সেরা দশে আরও রয়েছে টেলিছবি ‘এজেন্ট নূর’। ট্রেন্ডিংয়ের আটে থাকা টেলিছবিটি নির্মাণ করেছেন সৈকত রেজা। এটি লিখেছেন নাহিদ হাসনাত, সাব্বির সিনরা ও নির্জন নাহুয়েল।
রঙ্গন এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে টেলিছবিটি মুক্তি পেয়েছে ২৩ মে। ইউটিউবে এর ভিউ ছাড়িয়েছে ৪৯ লাখ।
নির্মাতা জানান, ভাইরাস ও একটি গোয়েন্দা দলের গল্প নিয়ে ‘এজেন্ট নূর’ নির্মিত হয়েছে। এতে অভিনয় করেছেন আরোহী মিম, নির্জন নাহুয়েল, শতাব্দী ওয়াদুদ, সমু চৌধুরী, ফারুক আহমেদসহ আরও অনেকে।
নাটকটি দেখে ইউটিউবে মন্তব্য করেছেন চার হাজারের বেশি মানুষ। একজন লিখেছেন, ‘সুন্দর এবং চমৎকার লুক, গল্পও সেই ভয়ানক ছিল, সামনে এগিয়ে যান।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে অসাধারণ। নাটকের মধ্যে আমি এ রকম আগে কখনো দেখিনি।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
এমন বৃষ্টিমাখা ভোগান্তির দিন জীবনে না আসুক
আমি একজন স্কুলশিক্ষক। দীর্ঘদিন এ পেশায় যুক্ত আছি। শীত হোক বা গরম, আমাকে সব ধরনের আবহাওয়া সহ্য করে স্কুলে যেতে হয় সময়মতো। এটা অনেকের জন্য হয়তো স্বাভাবিক, তবে পরিবেশ পরিস্থিতি সবার সমান হয় না। শুধু একজন নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে চলার পথে মাঝেমধ্যে এমন কিছু পরিস্থিতিতে পড়তে হয়, যাতে বিড়ম্বনা বাড়ে বৈ কমে না।
বৃহস্পতিবারের (২৯ মে ২০২৫) কথাই ধরা যাক, সকাল থেকে বৃষ্টি শুরু হলো। আমি যেহেতু স্কুলে চাকরি করি, তাই সকাল ৯টার আগেই আমাকে স্কুলে থাকতে হয়। সকালে রেডি হয়ে বের হতে গিয়ে দেখলাম, এই বৃষ্টিতে ছাতা ছাড়া যাওয়া সম্ভব নয়। ছাতা নিয়ে নাহয় বের হলাম। রাস্তায় গিয়ে অবস্থা দেখে তো চোখ কপালে ওঠার দশা। একে বৃষ্টি, তার ওপর রাস্তায় কাদা, যেতে হবে অটোরিকশায় করে—কী বেসামাল অবস্থা! অটোরিকশা খুঁজে পেতেই জীবন শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছিল। এর মধ্যে ভাড়া চায় দুই থেকে তিন গুণ। যাহোক, ধৈর্যের অসীম পরীক্ষা দিয়ে অটোরিকশা পেলাম। বৃষ্টি তখনো চলমান। আমার গন্তব্য সাটিরপাড়া কালীকুমার ইনস্টিটিউশন।
স্কুলটি আমাদের নরসিংদী সদর উপজেলার বেশ পুরোনো প্রতিষ্ঠান। আমি সম্প্রতি এই স্কুলে বাংলা বিষয়ে অতিথি শিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়েছি। স্কুলের দূরত্ব আমাদের বাড়ি থেকে বেশি নয়। কিন্তু বৃষ্টির মধ্যে এটাকেই মনে হচ্ছে শত মাইল। কারণ, সকালে সবাই অফিসে যায়, গাড়ির চাপ থাকে, মানুষের চলাচলও থাকে অনেক। কখনো সামান্য কারণেই ঝগড়া লেগে যায় অটোরিকশা আর নছিমনের চালকদের মধ্যে, মাঝখান থেকে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের ভোগান্তি। গতকালও (বৃহস্পতিবার) যখন অটোরিকশায় করে বৃষ্টির মধ্যে যাচ্ছিলাম, তখন আমাদের নরসিংদী পৌরসভার মোড়ে এসে দেখি, বিশাল যানজট। বড় দু-তিনটা মালবাহী ট্রাক এসে আটকে গেছে। অথচ আমরা জানি, এসব মালবাহী ট্রাক আসে গভীর রাতে, তখন রাস্তায় যানজট থাকে না।
বৃষ্টির কারণে সড়কে পানি জমে যাওয়ায় অনেকে ভিজে যাতায়াত করেন