আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে ফারুকের রিট তালিকা থেকে বাদ
Published: 2nd, June 2025 GMT
জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলামকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করার বৈধতা নিয়ে করা রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার বিষয়টি তালিকা থেকে বাদ দেন।
এর আগে গতকাল রোববার বিসিবির সদ্য সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ রিটটি করেন, যা আজ কার্যতালিকায় ২৮ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
গত ২৯ মে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করে। পরদিন ৩০ মে জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুলকে বিসিবির পরিচালক মনোনীত করে এনএসসি। এই দুই সিদ্ধান্তের বৈধতা নিয়ে ফারুক গতকাল রিটটি করেন।
আদালতে ফারুকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো.
এনএসসির পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ও বিসিবির পক্ষে আইনজীবী মাহিন এম রহমান শুনানিতে অংশ নেন।
রিট আবেদনকারীর অন্যতম আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘শুনানির পর আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে। আলোচনাসাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিসিবির আইনজীবী মাহিন এম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। রিটটি অন্য বেঞ্চে উপস্থাপন করার স্বাধীনতা থাকবে বলা হয়েছে কি না, তা জেনে জানাতে পারবেন তিনি।
আরও পড়ুনহাইকোর্টে ফারুকের রিট১৫ ঘণ্টা আগেরিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, গত ২৯ মে ও ৩০ মের সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয় রিটে। আর রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় ওই দুই সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়। যুব ও ক্রীড়া সচিব, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডসহ পাঁচজনকে বিবাদী করা হয় রিটে।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলমের জায়গায় ফারুক আহমেদ ও নাজমূল আবেদীনকে বিসিবির পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এনএসসি। পরে বোর্ড সভায় পরিচালকদের ভোটে ফারুক সভাপতি নির্বাচিত হন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক র যত ল ক আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
এনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ করার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি মুলতবি
এনবিআর বিলুপ্ত করে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ নামে দুটি পৃথক বিভাগ প্রতিষ্ঠার জন্য জারি করা অধ্যাদেশটির বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি এক সপ্তাহের জন্য মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই সময় পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) বিলুপ্ত করে ‘রাজস্ব নীতি বিভাগ’ ও ‘রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ নামের নতুন দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠায় গত ১২ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয়। অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুয়েল আজাদ ১৭ মে রিটটি করেন। আজ রিটটি শুনানির জন্য আদালতের কার্যতালিকায় ৭৯ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী জুয়েল আজাদ শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী ও আখতার হোসেন মো. আব্দুল ওয়াহাব।
পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ ওসমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হলে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন। আগামী সপ্তাহে রিটটি শুনানির জন্য আসবে।
‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ’ শিরোনামের ওই অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, রাজস্ব নীতি বিভাগ কর আইন প্রয়োগ ও কর আদায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। রাজস্ব সংগ্রহের মূল কাজ করবে রাজস্ব ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
আরও পড়ুনএনবিআর বিলুপ্ত করে দুটি বিভাগ প্রতিষ্ঠার অধ্যাদেশের বৈধতা নিয়ে রিট১৭ মে ২০২৫রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, সংবিধানের ২৬, ৩১ ও ২৯(১) অনুচ্ছেদের আলোকে ওই অধ্যাদেশটি কেন সাংঘর্ষিক এবং আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় রাজস্ব ব্যবস্থাপনার পদ্ধতি সংস্কার বিষয়ে অংশীজনদের (দলগত) প্রস্তাব প্রকাশ করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রুল বিচারাধীন অবস্থায় ওই অধ্যাদেশের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে। আইনসচিব ও অর্থসচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।