জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ কার্যকর হওয়ার আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা ঠিক হবে না। সনদ ঘোষণার আগে যদি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয় তাহলে সংস্কারপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা শেষে বেরিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা আহ্বান জানিয়েছি, ১৬ বছর আমরা অপেক্ষা করেছি, এরপর ১০ মাস অপেক্ষা করেছি, আরও দুই মাস অপেক্ষা করতে চাই এবং সরকারকে সময় দিতে চাই সব রাজনৈতিক দল মিলে। দুই মাসের মধ্যে আমাদের জুলাই সনদ, যেখানে জনগণ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ শাসনের রূপরেখা, শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মৌলিক সংস্কারের রূপরেখা দেখতে পারবে। সেই জুলাই সনদ হওয়ার পরে সরকার যাতে নির্বাচনে তারিখ ঘোষণা করে, সে আহ্বান আমরা জানিয়েছি। জুলাই সনদ হওয়ার পরে আমরা আমাদের দলীয় মন্তব্য জানাব যে আমরা কখন নির্বাচন চাচ্ছি।’

নির্বাচন কমিশন নিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমাদের একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার। নির্বাচন–সংক্রান্ত ও নির্বাচন কমিশন–সংক্রান্ত যে আইনগুলো রয়েছে, সেগুলো সংস্কার করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছি।’

জাতীয় নাগরিক পার্টির পক্ষ থেকে তিনটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বিষয়গুলো হলো, ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে সরকার যে জুলাই সনদ ঘোষণাপত্র দেওয়ার কথা বলেছিল, সেটির অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন এবং ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে যাতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হয়, সে আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, আমরা এর আগেও দেখেছিলাম, জানুয়ারি মাসে একটা ডেট দেওয়া হয়েছিল, আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আরেকটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবার যাতে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ না হয়। জুলাই মাসের মধ্যে সবার সাক্ষ্য নিয়ে জুলাই সনদ যাতে কার্যকর করা হয়, সে বিষয়ে দাবি জানিয়েছি।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড ইউন স এনস প ন হ দ ইসল ম ন হ দ ইসল ম জ ল ই সনদ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহে বাড়ি ফেরার পথে আইনজীবীকে পেটাল দুর্বৃত্তরা

ময়মনসিংহে বাড়ি ফেরার পথে এক আইনজীবীকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরের মহারাজা রোডের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত অবস্থায় ওই আইনজীবীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ শামীম (৩৬)। তিনি জেলার ভালুকা উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের পালগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর ধরে তিনি ময়মনসিংহ আদালতে আইনজীবী হিসেবে কাজ করছেন। আদালতপাড়ার নিজ চেম্বার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তিনি হামলার শিকার হন।

ঘটনার বর্ণনায় মোহাম্মদ শামীম বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিজ চেম্বার থেকে অটোরিকশায় নগরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বাসস্ট্যান্ডের দিতে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে বাসে চড়ে ভালুকায় ফেরার কথা ছিল। ওই সময় তাঁর সঙ্গে এলাকার পরিচিত এক ব্যক্তিও ছিলেন। কোতোয়ালি থানা পার হয়ে মহারাজা রোডের সামনে যেতেই অটোরিকশাটি থামানো হয়। পেছন থেকে আরেকটি অটোরিকশায় কয়েকজন কিশোর-তরুণ লোহার রড নিয়ে পথরোধ করে। এ সময় অটোরিকশাতেই তাঁকে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে তাঁর ডান পা ও দুই হাত ভেঙে দিয়ে চলে যায় দলটি। তাদের সবার বয়স ১৬ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে হবে।

হামলার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ওই আইনজীবী বলেন, ‘আমার ওপর হামলা করার মতো কোনো ঘটনা নেই। কারও সঙ্গে কোনো বিরোধও নেই। হামলাকারীদের কাউকে আমি চিনিও না। কেউ হয়তো দলটিকে ভাড়া করে আমার ওপর হামলা চালিয়েছেন। কিন্তু কে বা কারা এ কাজ করিয়েছে, তা–ও বলতে পারছি না। আজ (বুধবার) থানায় লিখিত অভিযোগ দেব।’

এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ