যখন আমির খানকে নিয়ে লিখব বলে খাতা খুলেছি, তখন অটোমেটিক পণ্ডিত জগজিৎ সিংয়ের গাওয়া ‘হোশওয়ালোঁ কো খবর কিয়া’ গানটি ইউটিউবে চলে এসেছে। পরে খেয়াল করে দেখলাম, গানটি আমির খানের ‘সরফারোশ’ সিনেমার গান। কী দারুণ রোমান্টিক গান! সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯৯ সালে। তত দিনে আমির খান বলিউডে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন। যে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমা দিয়ে তাঁর বড় পর্দায় অভিষেক, সেটি মুক্তি পায় ১৯৮৮ সালে। সেই আমির খান পর্দায় নিজেকে ভেঙেচুরে প্রতিবার নতুনরূপে হাজির করে দেখিয়েছেন, কীভাবে নিজের অভিনয়দক্ষতা ফুটিয়ে তুলতে হয়। দেখিয়েছেন, কীভাবে হয়ে উঠতে হয় মিস্টার পারফেকশনিস্ট। তবে মিস্টার পারফেকশনিস্ট হয়ে ওঠারও একটা গল্প আছে। মিস্টার পারফেকশনিস্ট হওয়া এবং সিনেমায় চরিত্রের মাধ্যমে আমির খানের ক্রমাগত পরিবর্তনের গল্পই জানব চলুন।

স্বভাবে
নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’তে হাজির হয়েছিলেন আমির খান। সেখানে তুলে ধরেছেন নিজের জীবনের নানা কাহিনি। জানিয়েছেন, কীভাবে তাঁর নামের পাশে মিস্টার পারফেকশনিস্ট ‘ট্যাগ’ যুক্ত হলো। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ভারতের সমান্তরাল চলচ্চিত্রের বিখ্যাত অভিনেত্রী শাবানা আজমি আমিরকে মিস্টার পারফেকশনিস্ট ‘ট্যাগ’ দিয়েছিলেন। ১৯৯০ সালে তখন ‘দিল’ সিনেমার শুটিং চলছিল। সিনেমাটির পরিচালক ছিলেন ইন্দ্রকুমার এবং ক্যামেরাম্যান ছিলেন শাবানা আজমির ভাই বাবর আজমি। একদিন বাবর আজমির বাড়িতে সিনেমা নিয়ে আলাপ চলছিল। তখন শাবানা আজমি আমিরকে চা খাওয়ার জন্য বলেন ও জিজ্ঞেস করেন, চায়ে চিনি কী পরিমাণ দেবেন? আমির তখন জানতে চান, গ্লাস কত বড়? শাবানা যখন চায়ের কাপ দেখালেন, তখনো আমির আলাপে মগ্ন এবং সঠিক উত্তরটি দেওয়ার ব্যাপারে সচেতন ছিলেন। আবার জানতে চান, চামচ কত বড়? অবশেষে আমির এক চা-চামচ চিনি দিতে বলেন চায়ে।

‘কেয়ামত সে কেয়ামত তক’–এ আমির খান। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র খ ন ক য় মত

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ