চলতি দশকে বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়েছে বিশ্বব্যাংক। ১৯৬০-এর দশকের পর থেকে চলতি দশক বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সবচেয়ে দুর্বল দশক হতে যাচ্ছে। আর এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধকে দায়ী করেছে বৈশ্বিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানটি।

দ্বি-বার্ষিক গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস প্রতিবেদনে ওয়াশিংটনভিত্তিক ঋণদাতাটি চলতি বছর বিশ্বব্যাপী জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ২ দশমিক ৩ শতাংশ করেছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ২ দশমিক ৭ শতাংশ।

বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, ২০০৮ সালের পর থেকে পূর্ণ-বিকশিত মন্দার বাইরে এটিই হবে সবচেয়ে ধীর প্রবৃদ্ধির হার।

জানুয়ারি থেকে, ট্রাম্প একের পর এক ঘোষণা দিয়েছেন, শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতির উপর শুল্ক আরোপ করেছেন।

এর মধ্যে কিছু পরবর্তীতে সংশোধন করা হয়েছে। তবে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার আগের তুলনায় শুল্ক এখনো উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি এবং বাণিজ্য নীতি সম্পর্কে অনিশ্চয়তা নজিরবিহীন উচ্চতায় রয়েছে।

২০২৬ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির ‘মন্থরতা’ পুনরুদ্ধার, অর্থাৎ ২ দশমিক ৪ শতাংশে পৌঁছানোর আশা করা হলেও বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, এই দশকটি ১৯৬০-এর দশকের পর থেকে সবচেয়ে দুর্বলতম হতে পারে।

বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দ্রমিত গিল জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কয়েক দশক ধরে অর্থনৈতিক অগ্রগতি প্রায় থমকে গেছে, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে গেছে এবং ঋণের স্তূপ বাড়ছে।

তিনি বলেছেন, “এশিয়ার বাইরে উন্নয়নশীল বিশ্ব একটি উন্নয়নমুক্ত অঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। বিষয়টি এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রচার করা হচ্ছে। উন্নয়নশীল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি তিন দশক ধরে হ্রাস পেয়েছে - ২০০০-এর দশকে বার্ষিক ৬ শতাংশ থেকে ২০১০-এর দশকে ৫ শতাংশ - ২০২০-এর দশকে ৪ শতাংশেরও কম।”
 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব দ ধ র ব শ বব য র দশক

এছাড়াও পড়ুন:

দাবি মেনে নেওয়ায় অনশন ভাঙলেন জবি শিক্ষার্থীরা

দাবি মেনে নেওয়ায় ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন  জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজ্জাম্মুল হক ও অন্যান্য শিক্ষকরা আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবিতে দুপুর থেকে রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেছিলেন। 

আরো পড়ুন:

যবিপ্রবিসাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

জানুয়ারি থেকে বিশেষ বৃত্তি পাবেন জবি শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর হওয়ার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করা এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে আধুনিক সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু।

অনশনকারী বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “আমাদের দাবি ছিল বৃত্তি প্রদানের নির্দিষ্ট তারিখ, জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা এবং লাইব্রেরিতে সুবিধা বৃদ্ধি। প্রশাসন এগুলো মেনে নিয়েছে। কিছুটা ধোঁয়াশা থাকলেও আমরা আস্থা রেখে অনশন ভেঙেছি।”

বাগছাসের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, “আমাদের দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবিগুলো মেনে নিয়ে স্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আশা করি, প্রশাসন প্রতিশ্রুতিগুলো নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করবে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন স্বপ্নের দুয়ার উন্মোচিত হবে।”

অনশনকারী শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এমকেএম রাকিব বলেন, “প্রশাসন আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে, এতে আমরা সন্তুষ্ট। আশা করি, শিক্ষার্থীরা দ্রুতই তাদের কাঙ্ক্ষিত বৃত্তি পাবে এবং অন্যান্য ক্যাম্পাসের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও নির্বাচনের আমেজ তৈরি হবে।”

অনশনে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস), ছাত্র অধিকার পরিষদ ও ছাত্রদলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশক পর এবারই প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হলো।

ঢাকা/লিমন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ