চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জহির উদ্দিন নামের এক বালু ব্যবসায়ীকে দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। তবে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলা স্লুইসগেট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযানে অপহরণকারী কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

জহির উদ্দিন উপজেলার নলুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকার মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে ও বালু ব্যবসায়ী। তিনি নলুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি।

যৌথ বাহিনী ও অপহৃত ব্যক্তির পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জহির উদ্দিন দীর্ঘদিন ইজারার মাধ্যমে ডলু নদের গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় খননযন্ত্র বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছিলেন। গতকাল বুধবার রাত নয়টার দিকে অপরিচিত এক ব্যক্তি মুঠোফোনে বালু কেনার কথা বলে এওচিয়া ইউনিয়নের বইক্যারপাড়া এলাকায় দেখা করতে বলেন তাঁকে। পরে জহির উদ্দিন তাঁর ছোট ভাই সোহেলকে সঙ্গে নিয়ে বইক্যারপাড়া এলাকায় যান। সেখানে সাত-আটজন অপরিচিত ব্যক্তি সোহেলকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন এবং জহির উদ্দিনকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা কাঞ্চনা ইউনিয়নের ফুলতলা স্লুইসগেট এলাকা থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন।

অপহৃত জহির উদ্দিনের ছোট ভাই মো.

সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বালু কেনার কথা বলে বড় ভাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঘটনাস্থলে। তাঁর সঙ্গে আমিও গিয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। পরে তাঁরা আমাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন এবং পশ্চিম দিকে নিয়ে যান।’

সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সুদীপ্ত রেজা জয়ন্ত প্রথম আলোকে বলেন, বালু ব্যবসায়ীকে অপহরণের খবর শোনার পর রাত থেকেই সেনাবাহিনী ও পুলিশের সদস্যরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করেন। যৌথ বাহিনীর অভিযান দেখে অপহরণকারীরা ওই বালু ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে গেছেন। পরে আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে অপহৃত বালু ব্যবসায়ী জহির উদ্দিনকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস য় এল ক য় উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে নুরুল আবছার (২৭) নামের এক ব্যবসায়ীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায় একদল মুখোশধারী ব্যক্তি। আজ বুধবার সকাল সাতটায় তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুলিশের তৎপরতায় সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি ছাড়া পান।

উদ্ধারের পর পটিয়া থানা প্রাঙ্গণে অপহরণের শিকার নুরুল আবছার প্রথম আলোকে বলেন, তিনি ব্যাংকে চাকরি করতেন। সম্প্রতি তাঁর চাকরি চলে যায়। এরপর পটিয়া পৌর সদরের মুন্সেফ বাজার এলাকার সাহিত্য বিশারদ সড়কে মুরগির দোকান দেন। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে দোকান খোলেন তিনি। এ সময় তিন থেকে চারজন মুখোশধারী লোক ধারালো অস্ত্রের মুখে তাঁকে ধরে অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারা তাঁর পকেটে থাকা ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। পরে আরও ৪ লাখ টাকা দাবি করে, পরে ১৭ লাখ এনে দিতে বলেন। তাঁকে চন্দ্র কালারপোল নামের নির্জন এলাকায় নিয়ে অপহরণকারীরা তাঁকে মারধরের পাশাপাশি ছুরিকাঘাতও করেন।

পটিয়া থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত তাঁকে উদ্ধারের তৎপরতায় নামে। পরে চন্দ্র কালারপোল এলাকায় পুলিশ গেলে উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।

পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান জানান, ব্যবসায়ীকে অপহরণ করার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পটিয়ায় ব্যবসায়ীকে অপহরণ, দুই ঘণ্টা পর উদ্ধার