দেশে মেধার নিশ্চয়ই অভাব রয়েছে, কিন্তু তার অপচয়টা বড়ই মর্মান্তিক। এ দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাওয়া কেবল একালের ঘটনা নয়, বহুকালের; তবে একালে সেটা মর্মান্তিক, প্রায় অবিশ্বাস্য আকার ধারণ করেছে। মেধা অবশ্যই জাতীয় সম্পদ; এবং সেটাও সমানে পাচার হয়ে যাচ্ছে, নানাভাবে। দাউদ হায়দারের মৃত্যুসংবাদে ব্যক্তিগতভাবে যে অত্যন্ত পীড়িত হয়েছি সেই সত্যের সঙ্গে সমষ্টিগত ক্ষতির বোধটাও আমাকে মর্মাহত করেছে।
দাউদ তো কেবল মেধাবান নয়, ছিল প্রতিভাবান। অতিঅল্প বয়সে সে অসাধারণ সব কবিতা লিখেছে। ‘জন্মই আমার আজন্ম পাপ’ পঙ্ক্তিটি তো ভুলবার মতো নয়। সেটাই তার প্রথম কাব্যগ্রন্থের শিরোনাম। যে-কবিতাটির একটি পঙ্ক্তির জন্য ৫১ বছর ধরে নির্বাসনে থেকে শেষ পর্যন্ত বিদেশের মাটিতেই তাকে মৃত্যুবরণ করতে হলো সেটির শিরোনামটিও মনে দাগ কাটে; ‘বলো সূর্যের কালো জোৎস্নায় কালো বন্যায়।’ ১৯৭৪-এ লেখা। দেশ তখন সদ্য স্বাধীন হয়েছে, এবং স্বাধীনতার জন্য দেশবাসীকে যে মূল্য দিতে হয়েছে ইতিহাসে তার তুলনা বিরল। কিন্তু প্রত্যাশিত ছিল যে মুক্তি সেটা আসেনি। বরং চতুর্দিকে দেখা গেছে সন্ত্রাস, লুণ্ঠন ও লোলুপতার অন্ধকার। দাউদরা সেই প্রজন্মের সন্তান, যুদ্ধের সঙ্গে যাদের প্রত্যক্ষ যোগ ছিল; হানাদারদের নৃশংসতা যারা সহ্য করেছে, দেখেছে এবং লড়েছেও। যুদ্ধ শেষে কবিতার চর্চাকেও দাউদ অসমাপ্ত মুক্তিযুদ্ধেরই অপরিহার্য অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। অত্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল সে, টগবগ করছিল আবেগে, উত্তেজনায় এবং চিন্তায়। অনেক কিছু করা চাই, করা সম্ভব, ভাবছিল সে। সে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষ অনার্সের ছাত্র তখনই দায়িত্ব পেয়েছে দৈনিক সংবাদ-এর মতো জাতীয় দৈনিকের সাহিত্যপাতা সম্পাদনার। পাতাটিকে সে ভরপুর রাখত নবীন ও প্রবীণ লেখকদের প্রাণোচ্ছল নতুন নতুন লেখায়। নিজেও লিখত। এবং লিখেছিল ও ছেপেছিল অন্ধকার বিষয়ে নিজের ওই কবিতাটি, যার একটি পঙ্ক্তির জন্য সে প্রথমে কারাবন্দি ও পরে নির্বাসিত হয়। একটি মাত্র পঙ্ক্তির জন্য এমন কঠিন দুর্ভোগ সাহিত্যের ইতিহাসে বিরল ঘটনা বৈকি। তাও ঘটল দেশ যখন মুক্ত হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছিল তখন। আমাদের দেশের ধর্মীয় মৌলবাদীরা কবিতার একনিষ্ঠ পাঠক বলে সুপরিচিত নয়। তাও আবার দৈনিক পত্রিকার সাহিত্যপাতাতে ছাপা কবিতার। নিশ্চয়ই কেউ তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন; এবং যারা করেছিলেন তারা সেটা এমনি এমনি করেননি, উদ্দেশ্য ছিল। উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। ইস্যুর খোঁজে ব্যস্ত ধর্মীয় মৌলবাদীরা একটি রাজনৈতিক ইস্যু পেয়ে গেছে, এবং সঙ্গে সঙ্গে ভীষণ হট্টগোল শুরু করে দিয়েছে। বিব্রত হয়ে সরকার দাউদকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই কাজটা করা কেবল যে সরকারের জন্য আবশ্যক ছিল তা নয়, দাউদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যও প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল।
দাউদ প্রথমে জেলে গেল, তারপর সরকারই তাকে নির্বাসনে পাঠিয়ে ভারমুক্ত হলো। দাউদ কলকাতায় গেল। কিন্তু প্রতিভাবান ওই তরুণ ভেঙে পড়বার পাত্রটি ছিল না। কলকাতার এখানে-সেখানে সে আশ্রয় খুঁজে নিল। অন্নদাশঙ্কর রায়ের সহকারী হিসেবেও সে কাজ করেছে। কিন্তু নিজের অসমাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সমাপ্ত করার কথাটা ভোলেনি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগে ভর্তি হয়ে যথারীতি অনার্স ও এমএ ডিগ্রি লাভ করে। এবং কলকাতার লেখকদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক স্থাপন এবং নিজের লেখালেখির কাজেরও কোনো বিরাম ঘটেনি।
অন্নদাশঙ্কর রায়ের মাধ্যমে জার্মান ঔপন্যাসিক গুন্টার গ্রাসের সঙ্গে দাউদ হায়দারের পরিচয় ঘটে। সাহিত্যের জন্য তথ্য ও অভিজ্ঞতা সংগ্রহের জন্য ওই ঔপন্যাসিক তখন কলকাতায় ছিলেন। দাউদ যে একজন প্রতিভাবান তরুণ গুন্টার গ্রাসের পক্ষে সেটা টের পেতে বেশি সময় লাগেনি। গুন্টার গ্রাসের মধ্যস্থতাতেই দাউদ জার্মানিতে গেছে ১৯৮৭ সালে। সেখানে গিয়ে জার্মান বেতারের বাংলা বিভাগে তার কর্মসংস্থান ঘটেছে। ১৯৮৯-তেই হবে, গুন্টার গ্রাস ঢাকায় এসেছিলেন। ঢাকাস্থ জার্মান সংস্কৃতি কেন্দ্রের আগ্রহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদে তাঁর একটি বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। ঘটনাক্রমে আমি তখন কলা অনুষদের ডিন। ডিন অফিসে আলাপকালে তিনি দাউদের কথা উল্লেখ করেছিলেন। দাউদের ভাইরা ঢাকায় থাকে এবং সাহিত্যচর্চা করে বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন।
তা দাউদের ভাইয়েরা সাহিত্যচর্চা করতেন বৈকি। এক পরিবারে একই সময়ে এতজন সাহিত্যচর্চাকারীর উপস্থিতি সচরাচর দেখা যায় না।
জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা জিয়া হায়দার ছিলেন নাট্যকার এবং নাট্যসংগঠক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় মাস্টার্স করে বিদেশে গিয়ে নাট্যকলায় ডিগ্রি নিয়ে আসেন। এমএ ক্লাসে পড়ার সময় আমার স্ত্রী প্রয়াত নাজমা জেসমিন তাঁর সহপাঠী ছিলেন। নাজমার মৃত্যুর পরে তাঁকে স্মরণ করে যে স্মারকগ্রন্থটি প্রকাশিত হয়, জিয়া হায়দার তাতে লিখেছেনও। নাজমার কাছে জিয়ার কথা শুনতাম। তবে জিয়ার সঙ্গে আমার নিজেরও ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। এবং সেটাও ঘটেছে তাঁর সাহিত্যচর্চার কারণেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্যকলা বিভাগ চালু হলে জিয়া তাতে যোগ দেন। আমাদের অনেকের আগ্রহ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও নাট্যকলা বিভাগ খোলা হোক, এবং জিয়া তাতে যুক্ত হোন। সে-বিভাগ শেষ পর্যন্ত খোলা হয়েছে, তবে অনেক বিলম্বে। ততদিনে জিয়া চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক জগতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করে নিয়েছেন, এবং ঢাকায় আসার ব্যাপারে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছেন। নাটক ও নাট্যসাহিত্যের বিষয়ে জিয়ার ছিল খুব বড় এক গ্রন্থ সংগ্রহ; জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর ইচ্ছানুসারে ওই সংগ্রহটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগকে অর্পণ করা হয়। জিয়া ছিলেন অত্যন্ত উদ্যোগী সংগঠক, নাগরিক নাট্যদল প্রতিষ্ঠার পেছনে জিয়ার কর্মোদ্যম সক্রিয় ছিল। ভাইবোন ও মা’কে ঢাকায় নিয়ে আসার ব্যবস্থাও তাঁর উৎসাহে উদ্যোগেই ঘটেছিল। জিয়ার ভাই রশীদ হায়দার, মাকিদ হায়দার, জাহিদ হায়দার, সবার সঙ্গেই আমার পরিচয় ও যোগাযোগ ঘটেছে। রশীদ ও মাকিদ আজ আর আমাদের মধ্যে নেই। জাহিদ আছে। জাহিদও অন্য ভাইদের মতোই সাহিত্যচর্চায় নিবেদিতপ্রাণ। হায়দার ভাইদের যে চারজন চলে গেছে তাদের প্রত্যেকের বিদায় আমাকে আঘাত করেছে। জাহিদ হায়দার যে আছে সেটি সুখ ও সান্ত্বনার বিষয়। ওদের ভগ্নিপতিদের একজন, ওবায়েদুল্লাহ সাগরও সাহিত্যের অধ্যাপক ও গবেষক।
দাউদকে স্মরণ করতে গিয়ে অনেক স্মৃতিই জেগে উঠল। যা তার করবার ছিল, সে তা করতে পারেনি। এবং যে সম্ভাবনা নিয়ে সে জন্মগ্রহণ করেছিল তাও পূর্ণতা পেল না। মূল কারণ তার নির্বাসন। এমনটা ঘটবে আমরা কেউ ভাবিনি, সবচেয়ে কম ভেবেছে অবশ্য সে নিজে। সে যেমন ছিল প্রতিভাবান, তেমনি ছিল দুরন্ত ও দুঃসাহসী। সৃষ্টিশীলতা ও তারুণ্যের প্রতীক। বিদ্যমান ব্যবস্থা তাকে সহ্য করতে পারেনি। সে জন্যই তার নির্বাসন ঘটেছে। প্রবাসে থেকেও সে সাহিত্যের চর্চা করেছে। লিখেছে, লেখা পাঠিয়েছে। কলকাতার স্টেটসম্যান পত্রিকার বাংলা সংস্করণে নিয়মিত লিখত। আমাদের ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত পত্রিকার জন্য তার পাঠানো লেখা পেয়েছি, এবং প্রকাশ করে আনন্দিত হয়েছি। কিন্তু এসব তো সান্ত্বনা বৈ নয়। তার কবিতার বই ‘সম্পন্ন মানুষ নই’ সে উৎসর্গ করেছে দু’জনকে, একজন হচ্ছেন অধ্যাপক কবীর চৌধুরী, অপরজন আমি। বছর দশেক আগে বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে আমার একটি সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছিল; দাউদ সেটি মনোযোগ দিয়ে শুনেছে, এবং শোনা শেষ করেই বার্লিন থেকে ফোন করে আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে। জাহিদ হায়দার একবার বার্লিনে গিয়েছিল ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে। ইউরোপীয় ধ্রুপদি সংগীতে আমার আগ্রহের বিষয়ে দাউদ জানত, জাহিদকে সে অনেকগুলো সিডি দিয়ে দায়িত্ব চাপিয়েছিল আমাকে পৌঁছে দেবার। সেগুলো পেয়ে এবং বাজিয়ে শুনে বারবার দাউদের বহুমুখিতার কথা মনে পড়েছে। রেকর্ডগুলো এখনও আমার সংগ্রহে আছে। নির্বাসিত দাউদ জার্মানি থেকে কমপক্ষে বিশবার কলকাতা পর্যন্ত এসেছে, কিন্তু একবারও ঢাকায় প্রবেশাধিকার পায়নি।
দাউদকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দাউদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতিসাধন করা হয়েছে, সাংস্কৃতিকভাবে ক্ষতি হয়েছে আমাদেরও। বিদেশে থাকলেও সবসময়ই সে বাংলাদেশেই ছিল। একটানা একান্ন বছর একজন মানুষের জীবনে কম সময় নয়; দীর্ঘ সেই সময় ধরে দেশছাড়া আপনজনছাড়া অবস্থায় দুঃসহ যন্ত্রণায় সে দগ্ধ হয়েছে, কাতর হয়েছে সে তার সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাতে না-পেরে। কলকাতায় গিয়ে সে লিখেছিল, ‘মনে হয় মনুমেন্টের চূড়ায় উঠে/ চিৎকার ক’রে/ আকাশ ফাটিয়ে বলি;/ দেখো, সীমান্তের ওইপাশে আমার ঘর/ এইখানে আমি একা, ভীনদেশী।’ এই আর্তধ্বনি তার নিত্যসঙ্গী ছিল বলেই অনুমান করি। তবে এটাও জানি যে তার মনের জোর ছিল অসামান্য; যে জন্য সে নির্বাসিত হয়েছে ঠিকই, কিন্তু পরাজিত হয়নি। তাকে ভুলবার কোনো উপায় নেই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স হ ত যচর চ ত র জন য কর ছ ল ন ন ট যকল আম দ র স গ রহ ত হয় ছ র একট কলক ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য ইউনূস-তারেক বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে অনুষ্ঠেয় বৈঠক বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে করছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় বৈঠকের প্রস্তুতির কথা উল্লেখ করে এই অভিমত জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সময় আগামীকাল শুক্রবার সকালে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠক হবে। যুক্তরাজ্য সফরে এই হোটেলেই অবস্থান করছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস।
আগামীকালের বৈঠকের প্রস্তুতি হিসেবে বিএনপির একজন প্রতিনিধি আজ তাঁদের কাছে এসেছিলেন বলে ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি, কালকে নয়টার মধ্যেই ওনারা আসবেন। আসার পরে একটা ওয়ান টু ওয়ান মিটিং হবে। এই ক্ষেত্রে ওনারা যদি মনে করেন আরও কেউ থাকবে, সেটা এই দুজন লিডারই এটা ডিসাইড করবেন (সিদ্ধান্ত নেবেন)।’
এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের সামনের রাজনৈতিক বাস্তবতার জন্য উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, ‘সামনে নির্বাচনের একটি সময় দেওয়া হয়েছে এপ্রিলে, এই মিটিংটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মিটিংয়ে আমরা আশা করছি যে তাঁরা এখানে আসলে কি এজেন্ডা এটা না, তাঁরা যে মিটিং করছেন এবং তাঁরা সবকিছুই আলাপ করবেন। কেননা তাঁরা একজন হচ্ছেন এখনকার ইন্টেরিম গভর্নমেন্টের প্রধান, আরেকজন হচ্ছেন বাংলাদেশের লার্জেস্ট পলিটিক্যাল পার্টির (সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল) প্রধান। তাঁদের দুজনের মধ্যে আলোচনা হবে এবং তাঁরা সবকিছু নিয়ে আলোচনা করবেন।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ চলছিল। এর মধ্যে ঈদের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন হবে। তবে ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসা বিএনপির নেতারা এরপরও তাঁদের ওই দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এই পরিস্থিতিতে লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই বৈঠক নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।