রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দু’জন আহত হয়েছেন। তারা হলেন– মুরগি ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও রিকশাচালক মো. মিঠু। শুক্রবার ভোরে ওয়ারী ও বৃহস্পতিবার রাতে মোহাম্মদপুর এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, আহতদের মধ্যে ওয়ারী থেকে আসা সিরাজুল ইসলামের হাত ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে যান। আর মোহাম্মদপুরের মিঠুর পেটে গুরুতর জখম রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সিরাজুলের ছেলে আবু বক্কর হাসপাতালে জানান, তাঁর বাবা ভোর ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ধলপুরের  বাসা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় কাপ্তান বাজারে যাওয়ার পথে টিকাটুলী রেলগেট এলাকায় তিন ছিনতাইকারী তাঁর গতিরোধ করে। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাকালে সিরাজুল বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা তাঁর হাতে-পায়ে ছুরিকাঘাত করে সঙ্গে থাকা ৭০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। খবর পেয়ে স্বজন ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।  

অপর ঘটনায় আহত রিকশাচালক মিঠুকে হাসপাতালে নিয়ে যান নিরাপত্তাকর্মী মো. ফখরুদ্দিন। তিনি জানান, মোহাম্মদপুরে থাকেন মিঠু। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে তাজমহল রোডে রিকশা চালিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন ছিনতাইকারী তাঁর অটোরিকশা থামিয়ে ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়।  বাধা দিলে মিঠুর পেটে ও পায়ে ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা। এর পর তাঁর কাছে থাকা ২ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। মিঠুর চিৎকার শুনে ফখরুদ্দিন এগিয়ে যান। তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় ঢামেক হাসপাতালে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা

মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে আহতদের বিশেষ চিকিৎসা সহায়তা প্রদান শেষে দেশে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল।

ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় নয়াদিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং সফদরজং হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত চার সদস্যের দলটি ঢাকা ছেড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্দেশনায় গত ২৩ জুলাই বাংলাদেশে আসে এই চিকিৎসক দল।

গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে বহু মানুষ হতাহত হন। দুর্ঘটনার পরপরই ভারত বাংলাদেশের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস দেয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দলটি বাংলাদেশে পাঠানো হয়।

ঢাকায় অবস্থানকালে ভারতীয় চিকিৎসক দলটি জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করে। তারা মাইলস্টোন দুর্ঘটনায় গুরুতর দগ্ধ ও আহতদের চিকিৎসায় কারিগরি পরামর্শ প্রদান করেন এবং জটিল কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ মতামত বিনিময় করেন।

ভারতীয় চিকিৎসকরা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে গৃহীত চিকিৎসা পদ্ধতি ও ব্যবস্থাপনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে ইনস্টিটিউটের বার্ন কেয়ার ইউনিট ও ক্রিটিক্যাল কেস ম্যানেজমেন্টে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের দক্ষতার প্রশংসা করেন তারা।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ যদি চায় তাহলে ভারত আরো চিকিৎসা সহায়তা দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে ভারতীয় হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা ব্যবস্থার সুযোগ দেওয়া হবে।

ভারতীয় হাইকমিশন জানায়, দেশটির মেডিকেল টিমের এই সফর দুই দেশের মানুষের মধ্যকার পারস্পরিক আস্থা, সহযোগিতা ও সহানুভূতির চিরন্তন বন্ধনের প্রতিফল।

ঢাকা/হাসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আহতদের চিকিৎসা দিয়ে ফিরে গেছে ভারতীয় চিকিৎসকরা
  • মাইলস্টোনে বিমান দূর্ঘটনায় হতাহতদের জন্য মহানগর সাংস্কৃতিক জোটের দোয়া
  • জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগ জাতি ভুলে যেতে পারে না: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
  • মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতদের জন্য জিয়া সৈনিকদলের দোয়া 
  • বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে সোনারগাঁয়ে দোয়া মাহফিল