যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার লস অ্যাঞ্জেলেসে চলমান অভিবাসন অভিযান সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম। সেখানে প্রশ্ন করতে চাইলে ডেমোক্রেটিক সিনেটর অ্যালেক্স পাদিল্লাকে জোর করে ধাক্কা দিয়ে বাইরে বের করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা। এক পর্যায়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁকে আবার ছেড়ে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পাদিল্লা বলেন, ‘আমি সিনেটর অ্যালেক্স পাদিল্লা। আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রয়েছে।’ রিপাবলিকান পার্টির অনেক নেতা বলছেন, পাদিল্লা নিরাপত্তার নিয়ম মানেননি। তবে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক রিপাবলিকান সিনেটরও। আলাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর লিসা মুরকোউস্কিত বলেছেন, ‘পাদিল্লার সঙ্গে যা হয়েছে, তা ভুল ও অগ্রহণযোগ্য।’ 

অন্যদিকে, লস অ্যাঞ্জেলেসে অভিবাসন অভিযান ও বিক্ষোভ ঘিরে অস্থিরতায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে বহাল রেখেছেন আদালত। প্রাথমিক আদেশে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সেনা মোতায়েনকে অবৈধ ঘোষণা করলেও পরে উচ্চ আদালত সেই আদেশ স্থগিত করেন ও সেনাবাহিনীকে অবস্থানের অনুমতি দেন।

ট্রাম্প বলেছেন, যদি সেনাবাহিনী মোতায়েন করা না হতো, তবে লস অ্যাঞ্জেলেস অগ্নিকুণ্ডে পরিণত হতো। অন্যদিকে সমালোচকরা বলছেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে দমন করার চেষ্টায় এটি ট্রাম্পের অপ্রয়োজনীয় ও কর্তৃত্ববাদী পদক্ষেপ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: লস অ য ঞ জ ল স য ক তর ষ ট র লস অ য ঞ জ ল স

এছাড়াও পড়ুন:

মাদারীপুরের সাবেক দুই ডিসিসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

শিবচরে পদ্মা সেতু রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাদারীপুরের সাবেক দুই জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন ও মো. ওয়াহিদুল ইসলামসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। 

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই)  দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় এ সংক্রান্ত নোটিশ মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ অভিযুক্তদের কাছে পাঠিয়েছে ।

দুদক সূত্র জানায়, পদ্মা রেললাইন সংযোগ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক দুই জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন জন্য দুদক মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামানকে দলনেতা ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুকে সদস্য করে একটি অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

খুকৃবির সাবেক উপাচার্যসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

কুবির নতুন ক্যাম্পাসের জমি ক্রয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, তথ্য চেয়েছে দুদক

অনুসন্ধান সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ১৯ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ৮ অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য এবং চাহিদাপত্র চেয়ে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে তারা হলেন- মাদারীপুর সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওহিদুল ইসলাম, সাবেক জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ঝোটন চন্দ্র, মাদারীপুরের সাবেক ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. সাইফুদ্দিন গিয়াস।

‎মোহাম্মদ সুমন শিবলী, প্রমথ রঞ্জন ঘটক, ‎আল মামুন, মো. নাজমুল হক সুমন, মাদারীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ‎কানুনগো (ভারপ্রাপ্ত) মো. নাসির উদ্দিন, মো. আবুল হোসেন, রেজাউল হক এবং মাদারীপুর কালেক্টরেট রেকর্ড রুম শাখার রেকর্ড কিপার মানিক চন্দ্র মন্ডল।

দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুরের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা আখতারুজ্জামান বলেন, “মাদারীপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ও ড. রহিমা খাতুনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তথ্য ও বিভিন্ন চাহিদাপত্র চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত নোটিশ অভিযুক্তদের কাছে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/বেলাল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ