যমুনা সেতুর যানজটে রাজশাহীতে পরিবহনসংকট, গরমের মধ্যে দীর্ঘ অপেক্ষা
Published: 14th, June 2025 GMT
রাজশাহীতে অসহনীয় গরমের মধ্যে যানবাহনসংকটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদফেরত যাত্রীরা। পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকায় যানজটের কারণে সময়মতো ফিরতে পারছে না যানবাহন। এমন অনিশ্চয়তায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বাসের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় তাঁদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ঢাকা বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে যাত্রী ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচণ্ড গরম ও রোদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্কসহ অনেক যাত্রী বাইরে গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। সকালে যেসব বাস ছাড়ার কথা ছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই বেলা ২টার দিকেও নিজেদের কাউন্টারে পৌঁছায়নি। এসব কারণে কেউই বলতে পারছেন না, ঠিক কখন যাত্রীদের এই অপেক্ষার অবসান হবে।
আরও পড়ুনযমুনা সেতুতে গাড়ি বিকল হয়ে টাঙ্গাইলে ১৪ কিলোমিটারে যানজট৪ ঘণ্টা আগেঈদের আগে রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুরে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনন্য রাজ্জাক। এভারগ্রিন পরিবহনের একটি বাসে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাঁর ফেরার টিকিট কাটা ছিল। রাতে কাউন্টারে গিয়ে খবর পান, গাড়িটি রাজধানী থেকে ফিরতে ফিরতে আজ ভোর হবে। এ কারণে ভোর চারটা থেকে তিনি কাউন্টারে বসে আছেন। তবে বেলা দেড়টার দিকেও কাউন্টারের লোকজন বলতে পারছেন না, বাসটি কখন ছাড়বে। তাঁর দাবি, বাসের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় যাত্রীদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
একই বাস কাউন্টারে কথা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কাজে গিয়েছিলেন। আজ সকাল ৮টার দিকে তাঁর নির্ধারিত বাসটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা দুইটা পেরোলেও সেই বাসের কোনো খবর পাননি।
ন্যাশনাল কাউন্টারে বসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহীর তানোরের বাসিন্দা সুদীপ্ত অধিকারী। তিনি ওই পরিবহনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির টিকিট কেটেছিলেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে যাত্রীদের নম্বর আছে। তাঁরা চাইলেই যাত্রাবিলম্বের খবরটি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানাতে পারতেন।
রাজশাহীর কেশরহাটের বাসিন্দা নয়ন নামের এক ব্যক্তি সপরিবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে আসেন। তিনি পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। লোকাল গাড়িতে দুপুর ১২টার টিকিট করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গাড়িটি কখন রাজশাহীতে পৌঁছাবে, জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই নিরুপায় হয়ে প্রচণ্ড রোদ আর গরমের মধ্যে সপরিবার রাস্তার এক পাশে বসে ছিলেন।
যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে সৃষ্ট যানজটকে দায়ী করেন। আজ বেলা ২টার দিকে হানিফ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পূর্ব পাশে বড় আকারের যানজট চলছে। এ ছাড়া রাজশাহীর বানেশ্বরে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গাড়িগুলো ফিরতে পারছে না।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যমুনা সেতুর যানজটে রাজশাহীতে পরিবহনসংকট, গরমের মধ্যে দীর্ঘ অপেক্ষা
রাজশাহীতে অসহনীয় গরমের মধ্যে যানবাহনসংকটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদফেরত যাত্রীরা। পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, যমুনা সেতু এলাকায় যানজটের কারণে সময়মতো ফিরতে পারছে না যানবাহন। এমন অনিশ্চয়তায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। তবে যাত্রীদের অভিযোগ, বাসের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় তাঁদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী নগরের ঢাকা বাস কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায়, কাউন্টারগুলোতে যাত্রী ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচণ্ড গরম ও রোদের মধ্যে নারী, শিশু, বয়স্কসহ অনেক যাত্রী বাইরে গরমের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করছেন। সকালে যেসব বাস ছাড়ার কথা ছিল, সেগুলোর বেশির ভাগই বেলা ২টার দিকেও নিজেদের কাউন্টারে পৌঁছায়নি। এসব কারণে কেউই বলতে পারছেন না, ঠিক কখন যাত্রীদের এই অপেক্ষার অবসান হবে।
আরও পড়ুনযমুনা সেতুতে গাড়ি বিকল হয়ে টাঙ্গাইলে ১৪ কিলোমিটারে যানজট৪ ঘণ্টা আগেঈদের আগে রাজশাহী নগরের লক্ষ্মীপুরে আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনন্য রাজ্জাক। এভারগ্রিন পরিবহনের একটি বাসে গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাঁর ফেরার টিকিট কাটা ছিল। রাতে কাউন্টারে গিয়ে খবর পান, গাড়িটি রাজধানী থেকে ফিরতে ফিরতে আজ ভোর হবে। এ কারণে ভোর চারটা থেকে তিনি কাউন্টারে বসে আছেন। তবে বেলা দেড়টার দিকেও কাউন্টারের লোকজন বলতে পারছেন না, বাসটি কখন ছাড়বে। তাঁর দাবি, বাসের চেয়ে বেশি টিকিট বিক্রি করায় যাত্রীদের এই দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
একই বাস কাউন্টারে কথা হয় রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কাজে গিয়েছিলেন। আজ সকাল ৮টার দিকে তাঁর নির্ধারিত বাসটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বেলা দুইটা পেরোলেও সেই বাসের কোনো খবর পাননি।
ন্যাশনাল কাউন্টারে বসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজশাহীর তানোরের বাসিন্দা সুদীপ্ত অধিকারী। তিনি ওই পরিবহনে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত গাড়ির টিকিট কেটেছিলেন। তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে যাত্রীদের নম্বর আছে। তাঁরা চাইলেই যাত্রাবিলম্বের খবরটি মুঠোফোনে কল দিয়ে জানাতে পারতেন।
রাজশাহীর কেশরহাটের বাসিন্দা নয়ন নামের এক ব্যক্তি সপরিবার ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রাজশাহীতে আসেন। তিনি পেশায় একজন পোশাকশ্রমিক। লোকাল গাড়িতে দুপুর ১২টার টিকিট করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু গাড়িটি কখন রাজশাহীতে পৌঁছাবে, জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। তাই নিরুপায় হয়ে প্রচণ্ড রোদ আর গরমের মধ্যে সপরিবার রাস্তার এক পাশে বসে ছিলেন।
যাত্রীদের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবহনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে সৃষ্ট যানজটকে দায়ী করেন। আজ বেলা ২টার দিকে হানিফ কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শফিকুল ইসলাম জানান, যমুনার পূর্ব পাশে বড় আকারের যানজট চলছে। এ ছাড়া রাজশাহীর বানেশ্বরে যানজটের কারণে নির্ধারিত সময়ে গাড়িগুলো ফিরতে পারছে না।