ঢাকায় ফেরার পথে পন্টুন থেকে নদীতে পড়ে যাত্রী নিখোঁজ
Published: 16th, June 2025 GMT
মুন্সিগঞ্জে লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে ধলেশ্বরী নদীতে পড়ে এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সাড়ে তিনটার দিকে জেলার লঞ্চঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিখোঁজ যাত্রীর নাম লোকমান হোসেন (৩৭)। তিনি ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার দেওয়ানপুর এলাকার বাসিন্দা এবং রাজধানী ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রাজমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গতকাল রাতে সপরিবার ফারহান-৩ নামের একটি লঞ্চে ঢাকায় ফিরছিলেন তিনি।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গ্রামের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন শেষে গতকাল রাতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে লোকমান ঢাকার কর্মস্থলে ফিরছিলেন। রাত সোয়া তিনটার দিকে লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে থামে। ওই সময় লোকমান লঞ্চঘাটের পন্টুনে নেমে ঘোরাঘুরি করেন। পরে পন্টুন থেকে লঞ্চে ওঠার সময় অসাবধানতাবশত তিনি নদীতে পড়ে যান। তাঁকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নৌপুলিশকে খবর দেওয়া হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে সেখানে উদ্ধার কার্যক্রম চালান জেলার ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর যৌথ ডুবুরি দলের সদস্যরা। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত তাঁর কোনো খোঁজ মেলেনি।
এ বিষয়ে মুক্তারপুর নৌপুলিশের পরিদর্শক আতাউর রহমান আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর থেকেই আমরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে কাজ শুরু করি। তবে নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে তাঁর সন্ধানে পাওয়া যায়নি। তবে ওই ব্যক্তির সন্ধান চলছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
গকসু নির্বাচন: যত্রতত্র প্রচারে বিরক্ত শিক্ষার্থীরা
গণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (গকসু) নির্বাচন ঘিরে দীর্ঘ ৭ বছরের উচ্ছ্বাসে ভাটা এনেছে যত্রতত্র প্রচার। সাধারণ নিয়মের পরোয়া না করেই প্রচার চালাচ্ছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
জান যায়, লাইব্রেরিতে জোরে কথা বলা নিষিদ্ধ থাকলেও সেখানে প্রচার চালিয়েছেন এক ভিপি পদপ্রার্থী। আরেক ভিপি পদপ্রার্থী আইন বিভাগে ক্লাস চলা অবস্থায় গিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন।
আরো পড়ুন:
চাকসু নিয়ে স্বরাষ্ট্র ও শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে চবি প্রশাসনের মতবিনিময়
চাকসু নির্বাচন: ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্যানেল ঘোষণা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়েছে এসব ভিডিও। এতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, ক্লাসে বসে পড়াশোনা করব, অথচ হঠাৎ প্রার্থী ঢুকে প্রচারণা শুরু করবেন—এটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
নিয়মিত লাইব্রেরি ব্যবহারকারী কিছু শিক্ষার্থী জানান, লাইব্রেরিতে পড়ার সময় প্রার্থীসহ ৬-৭ জন এসে প্রচার চালান এবং ডেকে লিফলেট বিতরণ করেন, যা পড়া-শোনার বিঘ্ন ঘটায়। পড়াশোনার জায়গাতেই যদি প্রচার হয়, তাহলে আমরা কোথায় পড়ব?
এ বিষয়ে সহকারী লাইব্রেরিয়ান জ্যোতি বলেন, “লাইব্রেরিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ এসেছে কিছু প্রার্থী-সমর্থক সাধারণ শিক্ষার্থীর মত এসে প্রচার চালিয়েছেন। ফলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে নজরদারি বাড়িয়ে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হয়েছে।”
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিওতে দেখা যায়, আইন বিভাগে ক্লাস চলাকালে শিক্ষকের উপস্থিতিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন এক ভিপি প্রার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. লিমন হোসেন বলেন, যেহেতু এইটা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন, সেহেতু সবারই সহযোগিতা দরকার। তাই আমি অনুমতিক্রমে প্রার্থীদেরকে তাদের প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিয়েছি। তবে এই সুযোগ আমি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য দেইনি, সবার জন্যই দিয়েছি। তবে শুধু প্রার্থীকে ২ মিনিটের সুযোগ দিয়েছি।”
সার্বিক বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফুয়াদ হোসেন বলেন, “লাইব্রেরির পরিবেশ বজায় রাখা লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম যেন কোনোভাবেই বিঘ্নিত না হয়।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী