চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।

‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ ব্যানারে প্যানেলে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে নির্বাচনে অংশ নেবেন আব্দুর রহমান রবিন, জিএস পদে মোহাম্মাদ আব্দুর রহমান এবং এজিএস পদে আমিনুল ইসলাম রাকিব। 

আরো পড়ুন:

নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল জাকসুর ৩ দশকের অচলতা

চাকসু: জুলাই যোদ্ধাদের নিয়ে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেল ঘোষণা

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু ভবনের সামনে এ প্যানেল ঘোষণা করা হয়।

প্যানেলে অন্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন- খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ শাহজাহান, সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ, সহ-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ তারিকুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ আকিব হোসেন, সহ-দপ্তর সম্পাদক পদে আবু জুবায়ের মিরাজ, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে মারজান বেগম, সহ-ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক পদে ফারজানা আক্তার, বিজ্ঞান-তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক পদে এহসানুল হক লাবীব, গবেষণা ও উদ্ভাবন সম্পাদক পদে রাফিক, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ আনোয়ার হোসেন।

এছাড়া স্বাস্থ্য সম্পাদক পদে মুহাম্মাদ মাঈনুদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন পদে মুরাদ হোসাইন মূসা, ক্যারিয়ার ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে আবু হুরায়রা, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে সোলাইমান সিকদার, সহ-যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদক পদে তানজিম হাসান, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক পদে নাঈম উদ্দিন, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া পদে আবিদুর রহমান রয়েছেন।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচন করবেন- মুহাম্মাদ শিহাব উদ্দিন, জুয়েল রানা, সাইদুল ইসলাম, হারুনুল ইসলাম ও গাজী মাহমুদুর রহমান।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর দ র রহম ন ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

কাতারে ইসরায়েলের হামলার পর যৌথ প্রতিরক্ষায় সম্মত উপসাগরীয় দেশগুলো

যেকোনো ধরনের বিদেশি হামলার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষামূলক যৌথ ব্যবস্থা নিতে সম্মত হয়েছে উপসাগরীয় সহযোগিতা কাউন্সিলভুক্ত (জিসিসি) দেশগুলো। আজ বৃহস্পতিবার ছয় সদস্যের জোটটির যৌথ প্রতিরক্ষা কাউন্সিল কাতারের রাজধানী দোহায় এক বিশেষ অধিবেশনে এ বিষয়ে সম্মত হয়। ৯ সেপ্টেম্বর দোহায় ইসরায়েলের হামলার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জিসিসির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের বৈঠক শেষে এক যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, মন্ত্রীরা তাৎক্ষণিকভাবে গোয়েন্দা তথ্যবিনিময় সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। একীভূত সামরিক কমান্ডের মাধ্যমে এটা করা হবে। আঞ্চলিক আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা হবে। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থা দ্রুততর করা হবে। পাশাপাশি মন্ত্রীরা যৌথ প্রতিরক্ষা পরিকল্পনা হালনাগাদেরও নির্দেশ দিয়েছেন।

যৌথ ঘোষণায় মোট ছয়টি বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। বাকি দুটি হলো জিসিসিভুক্ত দেশগুলো তিন মাসের মধ্যে যৌথ আকাশ এবং ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা মহড়ার অনুমোদন দিয়েছে। এরপর দেশগুলো একটি যৌথ বিমান মহড়ায় অংশ নেবে। অংশগ্রহণকারী মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা জোর দিয়ে বলেন, কাতারের ওপর হামলার অর্থ হলো পুরো জিসিসির ওপর হামলা।

জিসিসির প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কাতারের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রতিমন্ত্রী শেখ সৌদ বিন আবদুর রহমান আল থানি। বৈঠকে জিসিসির ছয় দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী, দেশগুলোর ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি এবং জোটটির মহাসচিব জাসিম আল-বুদাইউই অংশ নেন। আলোচনায় মন্ত্রীরা দোহায় ইসরায়েলের হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘ সনদের গুরুতর লঙ্ঘন উল্লেখ করে তীব্র নিন্দা জানান।

এই বৈঠকের আগে সোমবার দোহায় আরব লিগ ও ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) এক বিশেষ বৈঠকে প্রায় ৬০টি দেশ অংশ নেয়। সেখানে জিসিসির দেশগুলোর প্রতিনিধিরা আলাদা করে বৈঠক করেছিলেন। বৈঠক শেষে জোটটির সদস্যদেশের সমন্বিত সামরিক ব্যবস্থা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

১৯৮১ সালে জিসিসি গঠিত হয়। এর পর থেকে জোটটির কোনো সদস্যদেশে ৯ সেপ্টেম্বরের আগপর্যন্ত সরাসরি হামলা চালায়নি ইসরায়েল। জোটটির প্রায় সব দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও কাতারের সুসম্পর্ক রয়েছে।

আরও পড়ুনইসরায়েলের বিরুদ্ধে কি যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলবে উপসাগরীয় আরব দেশগুলো১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এদিকে গাজা উপত্যকার গাজা নগরীতে গত বুধবার শুরু হওয়া ইসরায়েলের সর্বাত্মক হামলায় আজ অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। একই সময়ে গাজার অন্যান্য স্থানে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। প্রায় দুই বছরের ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল অন্তত ৬৫ হাজার ১৪১। আহত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯২৫ জন।

ইসরায়েলের দাবি, গত কয়েক সপ্তাহে প্রায় সাড়ে তিন লাখ ফিলিস্তিনি গাজা নগরী ছেড়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনের তথ্যমতে, উপত্যকার বৃহত্তম শহরটিতে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলা শুরুর আগে কমবেশি ১০ লাখ ফিলিস্তিনি ছিলেন, যাঁদের অনেকে অন্যান্য জায়গা থেকে একাধিকবার স্থানচ্যুত হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনগাজা নগরীতে দুই দিনে দেড় শতাধিক হামলা ইসরায়েলের১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ