চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে একটি মহিলা হাফেজিয়া মাদ্রাসার দুজন আবাসিক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে শিশু দুটির মৃত্যু হয়। তারা দুজনই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের ‘ডুবার মোড় শেফালী বেগম মহিলা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’র শিক্ষার্থী। 

এ ঘটনায় পুলিশ কোনো মন্তব্য না করলেও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক ও নিহতের পরিবারের দাবি, বিষাক্ত পোকামাকড় বা সাপের কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ওই দুজন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। তবে রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি।

নিহতরা গোমস্তাপুর উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের লেবুডাঙ্গার তরিকুল ইসলামের মেয়ে তানিয়া খাতুন (১২) এবং ওই ইউনিয়নেরই বেগপুর গ্রামের সৈবুর রহমানের মেয়ে মোসা.

জামিলা খাতুন (১০)। এ দুজনেরই বাবা কর্মসূত্রে ঢাকায় থাকেন।

মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের বরাতে পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার দিবাগত রাতে ওই মাদ্রাসার আসাবিকের শিক্ষার্থীরা ঘুমিয়ে যায়। গভীর রাতে আকস্মিকভাবে তানিয়া ও জামিলা অসুস্থ অনুভব করলে কান্নাকাটি শুরু করে। তাদের সহপাঠীরা সেখানে থাকা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষিকা সাহিদা খাতুনকে জানান। 

সাহিদা খাতুন ওই দুজন শিক্ষার্থীর কাছে গিয়ে দেখতে পান তারা বমি করছে। তাদের একজনের বমির সঙ্গে রক্তও আসছিল। তড়িঘড়ি করে ওই শিক্ষিকা মাদ্রাসার পরিচালককে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসেন পরিচালক আশরাফ আলী। অবস্থা আরও খারাপ হলে ওই দুজন শিক্ষার্থীর পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। এরইমধ্যে ওই দুজন শিক্ষার্থীকে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পথিমধ্যে মারা যায় জামিলা আর হাসপাতালে নেওয়ার পর তানিয়ার মৃত্যু হয়।

তানিয়া ও জামিলার মৃত্যু নিয়ে পুলিশ এখনো খোলাসা করে কিছু বলছে না। তাদের দাবি, মৃত্যুর আসল কারণ জানতে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট খুবই জরুরি। শিশু দুটির মৃত্যু নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্তে নারাজ ওই শিক্ষার্থীদের পরিবার। তবে মৃত্যুর আসল রহস্য উদঘাটনে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে বলে দাবি করছে পুলিশ।

সংশ্লিষ্টরা জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী তানিয়ার ডান পায়ের গোড়ালিতে পোকার কামড়ের দাগের চিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে কিন্তু জামিলার শরীরে কোন দাগই ছিল না। অথচ জামিলাও মারা গেছে হাসপাতালে নেওয়ার পথে।

এদিকে শিশু দুটির মৃত্যু নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টির হয়েছে। সেখানকার একাংশ বলছেন, শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে বিষক্রিয়ায় মারা যেতে পারে তারা। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বলছে, একই খাবার খেয়েছে আবাসিকে থাকা আরও ১১জন শিক্ষার্থী। তাদের শরীরে বিষক্রিয়ার কোনো লক্ষণ কিংবা উপসর্গ টের পাওয়া যায়নি। 

আরেক পক্ষ দাবি করছেন, হয়তো ওই দুজন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার খাবার খাওয়ার আগে বাইরের খাবার খেয়েছিল। সেখান থেকেই বিষক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু ওই দুজন শিক্ষার্থীর পরিবারের দাবি, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বাইরের দোকানে গিয়ে কিনে কোন খাবার খাওয়ার নিয়ম নেই।

‘ডুবার মোড় শেফালী বেগম মহিলা নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা’টি প্রতিষ্ঠা হয় ২০২৩ সালে। শুক্রবার রাতে ওই প্রতিষ্ঠানটির আবাসিকে ১৩জন শিক্ষার্থী ছিল উল্লেখ করে পরিচালক আশরাফ আলী বলেন, “শুক্রবার রাতে খাবার খেয়ে ছাত্রীরা সবাই ঘুমিয়ে যায়। গভীর রাতে তানিয়া ও জামিলা অসুস্থ হয়। তাদের দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে জামিলা ও সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তানিয়ার মৃত্যু হয়।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা ধারণা করছি বিষাক্ত পোকামাকড়েরর কামড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। একজনের পায়ে দাগও দেখেছি। কিন্তু আরেক জনের শরীরে কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।”

নিহত তানিয়ার চাচা মশিউর রহমান বলেন, “খবর পেয়ে আমরা মাদ্রাসার পৌঁছার আগেই শিক্ষকরা তাদের দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। একজন রাস্তায় মারা যায়। আমার ভাতিজি তানিয়ার পায়ের গোড়ালির কাছে ক্ষত চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। পরে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।” 

তিনি আরো বলেন, “মাদ্রাসাটির আশপাশে বাগান ও ঝোপঝাড় রয়েছে। সাপ আসার মতোই জায়গা। শিশুদের নিরাপত্তার বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত ছিল প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের।” তবে এসব বলার পরেও তানিয়ার চাচা বলেন, “আমরা কোন আইনি ব্যবস্থা নিব না।”

নিহত জামিলার চাচা রুবেল বলেন, “আমরা নিশ্চিত, সাপের কামড়েই মারা গেছে তারা দুজন। আমাদের কোন অভিযোগ নাই।”

গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আবদুল আলিম বলেন, “নিহতদের মধ্যে একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। অপরজন হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পর মারা গেছে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, “মাদ্রাসার দুজন বাচ্চা একসঙ্গে মারা গেছে, বিষয়টি খুবই গুরুত্ব সহকারে দেখছে পুলিশ। আমরা এখনো নিশ্চিত নই বাচ্চাগুলো কীভাবে মারা গেলো। সেজন্য মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।”

তিনি বলেন, “একজনের পায়ে বিষাক্ত কিছুর কামড়ের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। তবে আরেক জনের শরীরে কোন চিহ্ন নেই। এটি সন্দেহজনক। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ছাড়া কোনো মন্তব্য করা যাবে না। আমরা সরাসরি সাপের কামড় বলতেও চাচ্ছি না। কারণ এ ঘটনায় কেউ জড়িত থাকলে সে সুবিধা পেয়ে যাবে। আমরা এ বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।”

ঢাকা/শিয়াম/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ময়ন তদন ত র পর ব র শ ক রব র একজন র র দ জন উপজ ল অবস থ

এছাড়াও পড়ুন:

সংবেদনশীল না হলে কেউ ভালো শিল্পী হতে পারে না: জুয়েল আইচ

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে প্রায়ই তরুণদের দেখা যায় সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে ভুগতে। ফলে অনেক সময় যথেষ্ট মেধা, আগ্রহ ও দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও তাঁরা ক্যারিয়ারে ভালো করতে পারেন না। তরুণদের সঠিক দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণা জোগাতে প্রথম আলো ডটকম ও প্রাইম ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পডকাস্ট শো ‘লিগ্যাসি উইথ এমআরএইচ’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোহাম্মদ রিদওয়ানুল হকের সঞ্চালনায় একাদশতম পর্বে অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিশ্বখ্যাত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ। আলোচনার বিষয় ছিল ‘শিল্প, মুক্তিযুদ্ধ এবং মানবতার সংমিশ্রণে গঠিত এক অনন্য লিগ্যাসি’।

‘মানুষ তার আশার সমান সুন্দর, বিশ্বাসের সমান বড় এবং কাজের সমান সফল। কাজই মুক্তি। তবে আশাও বড় রাখতে হবে। আশা না থাকলে কাজ হবে না।’ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে তরুণদের উদ্দেশে কথাগুলো বলেন জুয়েল আইচ। পডকাস্ট শোর এ পর্ব প্রচারিত হয় গতকাল শনিবার প্রথম আলোর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে।

পডকাস্টের শুরুতেই সঞ্চালক জানতে চান, মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীশিবিরে প্রথম যেদিন জাদু দেখালেন, সেই অনুভূতি কেমন ছিল?

উত্তরে জুয়েল আইচ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সব বাদ দিয়ে যুদ্ধে যোগ দিই। আমরাই খুব সম্ভবত প্রথম পাকিস্তানি বাহিনীকে প্রতিহত করি। আমি শৈশব থেকেই জাদু দেখাই। তবে মুক্তিযুদ্ধের শরণার্থীশিবিরে জাদু দেখানোর সেই অনুভূতিটি ছিল একেবারেই ম্যাজিক্যাল।’

প্রসঙ্গক্রমে সঞ্চালক জানতে চান, শিল্পকে সাহস করে অস্ত্রতে পরিণত করার এই আত্মবিশ্বাস কোথা থেকে এল?

জুয়েল আইচ বলেন, ‘এটা আত্মবিশ্বাস নয়। আমি অসম্মান সহ্য করতে পারি না। আমার জ্ঞান হওয়ার পর থেকেই দেখছিলাম, তারা (পাকিস্তান) আমাদের বিভিন্নভাবে অসম্মান করে আসছে। কখনো গানে, কখনো ছবি এঁকে কিংবা কবিতার ভাষায় আমরা সব সময় এর প্রতিবাদ করে এসেছি। এভাবে করেই শেষ পর্যন্ত আমরা মুক্তিযুদ্ধে নেমে গেলাম।’

জুয়েল আইচকে কেউ বলেন ম্যাজিশিয়ান, আবার কেউ বলেন মিউজিশিয়ান। তবে জুয়েল আইচ একজন দার্শনিকও বটে। জাদুর মোহনীয়তা আর বাস্তবতার যে রূঢ় চিত্র—এই দুটো আপনার জীবনে কেমন প্রভাব ফেলেছে?

সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের উত্তরে জুয়েল আইচ বলেন, ‘বাস্তবতাকে আমরা বলে থাকি “কঠিন” আর স্বপ্ন তো আমরা আকাশসমান ভাবতে পারি। একদম রংধনুর মতো সাত রং। এই দুটোকে যদি কেউ আয়ত্ত না করতে পারে, তবে তার জীবন কিন্তু সেখানেই শেষ। সে বেঁচে থাকবে কিন্তু মরার মতো।’ তিনি বলেন, ‘সে জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা দরকার। যেমন আপনি কোনোভাবেই আমাকে দুঃখী বানাতে পারবেন না। আমি দুঃখ পাই না, তবে বারবার আমাকে খ্যাপাতে থাকলে আমি রুখে দাঁড়াই।’

জুয়েল আইচ কখনোই পরিপূর্ণ প্রস্তুতি ছাড়া স্টেজে ওঠেন না। সঞ্চালক জানতে চান, এর পেছনে কারণ কী?

জুয়েল আইচ বলেন, প্রস্তুতি ছাড়া কোনো কাজ সুন্দরমতো হয় না। প্রস্তুতি ছাড়া যদি কেউ কিছু করে, তবে সেগুলো অনেক নিম্নমানের হবে। তিনি বলেন, ‘আমি একটি বাঁশি দিয়ে সব রাগ বাজাতে পারি। এটা কি এক দিনেই সম্ভব!’

আপনার পারফরম্যান্সের সময় আপনি মাঝেমধ্যে নিঃশব্দ হয়ে যান। যেখানে কোনো উদ্যম নেই। এই ‘সাইলেন্স’-এর কারণটা কী?

সঞ্চালক জানতে চাইলে জুয়েল আইচ বলেন, শব্দের চেয়ে নিঃশব্দের ভাষা বেশি গভীর। একটি পেইন্টিং, যেখানে কোনো শব্দ থাকে না কিন্তু কত কিছু বলে দেয়! দেখবেন কেউ অনেক খেপে গেলে নীরব হয়ে যায়। আসলে শব্দে যা বলা যায়, নিঃশব্দে তার চেয়ে বেশি প্রকাশ করা সম্ভব।

বর্তমানের এই ডিজিটাল যুগে সবকিছুই হাতের নাগালে, এমনকি জাদুও। জাদু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে আসার পর এর আবেদন কিছুটা কমে যাচ্ছে কি না? জানতে চাইলে জুয়েল আইচ বলেন, খালি চোখে দেখলে তা আসলেই কমে যাচ্ছে। কারণ, এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে যে জাদুগুলো দেখানো হচ্ছে, তা দেখে মানুষ বিস্মিত। তিনি বলেন, ‘তারা ভাবছে, আমরা আগে যেসব জাদু দেখেছি, এগুলো তো তার থেকেও বিস্ময়কর। কিন্তু তারা হয়তো বুঝতে পারছে না, এখন সবকিছুর সঙ্গে মিশে গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।’

সঞ্চালক এরপর প্রশ্ন করেন, আপনি একসময় ‘পালস স্টপিং’ ধরনের ইলিউশন বন্ধ করেছিলেন। এর পেছনে উদ্দেশ্য কী ছিল?

জুয়েল আইচ বলেন, ‘এই পালস স্টপিংয়ের মাধ্যমে আমি পুরো দেশজুড়ে এক বিস্ময় সৃষ্টি করেছিলাম। দলে দলে মানুষ এটি দেখতে আসত। কিন্তু এসব দেখে মানুষ অনেক বেশি আতঙ্কিত হতো, অনেক মানুষ অজ্ঞান হয়ে পড়ত। একবার একজন অনেক বড় পালোয়ান এটি দেখতে এসে অজ্ঞান হয়ে পড়লেন। সেদিন শো শেষ করেই আমি আমার টিমকে বলি, এই ম্যাজিক আর হবে না। কারণ, এই ম্যাজিক এত এত মানুষকে ডেকে আনছে বটে কিন্তু এটি মাত্রা অতিক্রম করে ফেলছে। যা মোটেও ঠিক নয়।’

প্রসঙ্গক্রমে সঞ্চালক জানতে চান, তাহলে কি একজন শিল্পীকে সংবেদনশীলও হতে হয়?

‘অবশ্যই।’ জুয়েল আইচ বলেন, একজন শিল্পীকে অবশ্যই সংবেদনশীল হতে হবে। সংবেদনশীল না হলে তিনি ভালো শিল্পী হতে পারবেন না।

আপনি যেমন বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতাদের সামনে পারফর্ম করেছেন, তেমনি এমন শিশুদের জন্যও জাদু দেখিয়েছেন, যারা কখনো টিকিট কিনে শো দেখতে পারে না। আপনার চোখে আসল মর্যাদা কোথায়—বৃহৎ মঞ্চে, নাকি একটিমাত্র বিস্মিত মুখে?

সঞ্চালকের এমন প্রশ্নের জবাবে জুয়েল আইচ বলেন, ‘আসলে মঞ্চ ব্যাপার নয়। আমি আমার জাদুতে বিস্মিত এবং মুগ্ধ হয়ে থাকা দেখতে ভালোবাসি। শুধু বিস্ময় নয়, বিস্ময়ের সঙ্গে মুগ্ধতা আমার ভালো লাগে।’

আরও পড়ুননীতি আর মূল্যবোধ শক্ত থাকলে কেউ থামাতে পারবে না: রুবাবা দৌলা১২ অক্টোবর ২০২৫

পডকাস্টের শেষ পর্যায়ে সঞ্চালক জানতে চান, আমরা আরেকজন জুয়েল আইচ কবে পাব?

মুচকি হেসে জুয়েল আইচ বলেন, ‘যখন সেই উদ্যম নিয়ে কেউ কাজ করবে, ঠিক তখন। সে হয়তো আমাকেও ছাড়িয়ে যাবে। শুধু ম্যাজিকে নয়, সব দিক দিয়েই।’

আরও পড়ুনবাবা প্রথমে আমাকে অফিস সহকারীর কাজ দিয়েছিলেন: হাতিলের চেয়ারম্যান সেলিম এইচ রহমান০৫ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এপস্টেইনের নথি প্রকাশের পক্ষে হঠাৎ কেন অবস্থান নিলেন ট্রাম্প
  • এশিয়ার প্রভাবশালী নারী ব্যবসায়ী কারা, কীসের ব্যবসা তাঁদের
  • করদাতা মারা গেলেও যে কারণে কর দিতে হয়, কীভাবে দেওয়া হয়
  • ৩ কোটি টাকা, ব্যক্তিগত উড়োজাহাজসহ আরও যা যা পান একজন মিস ইউনিভার্স
  • গায়িকা থেকে বিধায়ক, মৈথিলীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসারী চমকে ওঠার মতো
  • সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিলেন উপদেষ্টার এপিএস
  • বিএনপি নেতা খুন: অভিযুক্ত ছাত্রদল কর্মী ফেসবুকে লিখলেন ‘আউট’
  • সাজা হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে ‘কনভিকশন ওয়ারেন্টের’ আবেদন করা হবে
  • সূর্যের সামনে স্কাইডাইভার, তৈরি হয়েছে এক অলীক আলোকচিত্র
  • সংবেদনশীল না হলে কেউ ভালো শিল্পী হতে পারে না: জুয়েল আইচ