সঠিক আইপিও মূল্যায়ন পদ্ধতি চায় বিএপিএলসি
Published: 18th, September 2025 GMT
শেয়ারবাজারের উন্নয়নে তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও কার্যকর করা, আইপিও প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা দূর করা, ভালো কোম্পানির জন্য গ্রিন চ্যানেল ব্যবস্থা চালুর সুপারিশ করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ বা বিএপিএলসির নেতারা। আজ বৃহস্পতিবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব সুপারিশ করেন সংগঠনটির নেতারা। ডিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানীর নিকুঞ্জে ডিএসই টাওয়ারে ডিএসই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ডিএসইর পক্ষে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির সভাপতি মমিনুল ইসলাম। আর বিএপিএলসির প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি রুপালী হক চৌধুরী। বৈঠকে বিএপিএলসির পক্ষ থেকে বলা হয়, শেয়ারবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর উপযুক্ত মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া সমন্বিত ডিজিটাল রিপোর্টিং পদ্ধতির অভাব রয়েছে। আবার তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির করের পার্থক্যও কম। ভালো কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনার ক্ষেত্রে এসব বিষয় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। তাই বাজারের স্বার্থে এসব বিষয়ের সমাধান করা দরকার।
বৈঠকে বিএপিএলসির চেয়ারম্যান রুপালী হক চৌধুরী বলেন, ‘তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি বাজারের স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ডিএসইর সঙ্গে সমন্বিত প্রচেষ্টা দেশের পুঁজিবাজারকে আরও সুসংগঠিত ও গতিশীল করবে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজারকে অনেক বড় করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনার চেয়ে সমাধানের পদ্ধতি নিয়ে বেশি আলোচনা করা জরুরি। নতুন নতুন আইডিয়া ও ব্যবসায়িক পরিকল্পনা দেখে যদি ছোট ছোট কোম্পানিগুলোকে বাজারে আনা যায় তাহলে ব্যবসা-বাণিজ্যে গতি সঞ্চার হবে।’
ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারের উন্নত হয়নি। দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অবহেলা পুঁজিবাজারকে সংকুচিত করে রেখেছিল। সেখান থেকে কিছুটা আশার আলো দেখা যাচ্ছে। বাজারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসিসহ আমরা সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করছি। আইপিও প্রক্রিয়া সহজ করারও চেষ্টা চলছে।’
বৈঠকে আরও বক্তব্য রাখেন ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ য় রব জ র ড এসইর ব যবস আইপ ও
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৬ থেকে ৩০ অক্টোবর) সূচকের পতনের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে উভয় পুঁজিবাজারে বাজার মূলধন বেশ কমেছে ১১ হাজার ১০ কোটি ২০ লাখ টাকা।
শনিবার (১ নভেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৭.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১২২ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১০.৩৪ পয়েন্ট বা ০.৫২ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৮৭ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫.৯২ পয়েন্ট বা ০.৫৪ শতাংশ কমে ১ হাজার ৮২ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৩৩.৭২ পয়েন্ট বা ৩.৩৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৫৪৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫ হাজার ৩৪৩ কোটি ৩ লাখ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ৭৯৫ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৮৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ১৩৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার। সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৪৮ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৭টির, দর কমেছে ১৭৯টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির। তবে লেনদেন হয়নি ২১টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৭.৩৩ পয়েন্ট বা ০.৮৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৮৬ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ০.৫৯ শতাংশ কমে ১২ হাজার ৬৫১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৭৭ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮১৩ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৯৮ শতাংশ কমে ৮৯৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ২.৮০ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৩ হাজার ৯১৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৯৮ কোটি ২৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩০৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২১টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা