সভাপতি পদে বিএনপি, সাধারণ সম্পাদক পদে জামায়াত–সমর্থিত প্রার্থী নির্বাচিত
Published: 18th, September 2025 GMT
কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী ফখরুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী–সমর্থিত প্রার্থী সরদার মো. তাজুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনা শেষে বিকেলে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোলায়মান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সহসভাপতি ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদসহ সাতটি সম্পাদকীয় পদ এবং কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন। ফলে ১৯ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ ছাড়া বাকি ১৮টি পদে বিএনপি–সমর্থিত প্যানেলের জয় হয়েছে।
ভোটের ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে বিজয়ী বিএনপি–সমর্থিত ফখরুল ইসলাম পেয়েছেন ১২৮ ভোট। তাঁর নিকটতম ও একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াত–সমর্থিত ইয়াছিন আলী সরকার পেয়েছেন ১০৭ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী জামায়াত–সমর্থিত সরদার মো.
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সোলায়মান আলী বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় গত ৩১ আগস্ট কার্যনির্বাহী কমিটির ১৭ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমর থ ত প র র থ ল ইসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।
জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।
এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে।
এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর।
তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”
ঢাকা/রিটন/এস