আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ আবারও যুক্তরাষ্ট্র নেবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাজ্য সফররত ট্রাম্প ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বৃহস্পতিবার এ কথা বলেছেন।

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১ মে থেকে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়েছিল। তবে এই সেনা প্রত্যাহার সুশৃঙ্খলভাবে হয়নি। ওই বিশৃঙ্খল প্রত্যাহারের জন্য তার জো বাইডেনের প্রশাসনের বারবার সমালোচনা করেছেন ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা আফগানিস্তান ত্যাগ করতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমরা শক্তি ও মর্যাদার সাথে এটি ত্যাগ করতে পারতাম, এবং আমরা বিশ্বের বৃহত্তম বিমান ঘাঁটিগুলির মধ্যে অন্যতম বাগরাম বিমান ঘাঁটি ধরে রাখতে পারতাম। অথচ আমরা এটি তাদের (তালেবানকে) বিনামূল্যে দিয়েছিলাম। আমরা এটি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করছি।”

ট্রাম্প দাবি করেছেন, ঘাঁটি পুনরুদ্ধারের জন্য আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানদের উপর মার্কিন প্রশাসনকে ব্যবহার করতে পারেন তিনি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমরা এটি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। কারণ তাদের আমাদের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন। আমরা সেই ঘাঁটিটি ফিরে পেতে চাই।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আফগ ন স ত ন

এছাড়াও পড়ুন:

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও খিলগাঁওয়ে দুজনকে গুলি করে হত্যা এবং দুজনকে আহত করার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এই ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো.শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

অন্য যে চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম মো. আখতারুল ইসলাম, রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ও পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার।

আসামিদের মধ্যে এএসআই চঞ্চল চন্দ্র গ্রেপ্তার আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পড়ে শুনিয়ে ট্রাইব্যুনাল জানতে চান, তিনি দোষ স্বীকার করেন কি না। জবাবে চঞ্চল চন্দ্র নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। আগামী ১৬ অক্টোবর এ মামলার সূচনা বক্তব্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

এদিকে ট্রাইব্যুনাল–১–এ গণ–অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার এ মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ