ব্রাজিলে নেইমারের সঙ্গে ছুটি উপভোগ করছেন ইয়ামাল
Published: 20th, June 2025 GMT
ক্লাব ও জাতীয় দলের ব্যস্ত মৌসুম শেষে ছুটি কাটাতে ব্রাজিলে গেছেন স্প্যানিশ ফুটবলের নতুন সেনসেশন লামিনে ইয়ামাল। আর সেখানে গিয়েই দেখা হলো তার প্রিয় ফুটবলার, সাবেক বার্সেলোনা তারকা নেইমার জুনিয়রের সঙ্গে। শুধু দেখা নয়, দুজনের পার্টি, ঘোরাঘুরি ও খেলাধুলার মুহূর্তগুলো ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
ইয়ামাল আগেই জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকে নেইমারকে অনুসরণ করেন তিনি। তার খেলার স্টাইলেও ব্রাজিলিয়ান তারকার প্রভাব রয়েছে বলে স্বীকার করেছেন স্প্যানিশ উইঙ্গার। তাই ছুটির এই সময়টায় ‘আইডল’-এর সঙ্গে সময় কাটালেন বার্সার এই স্পেন তারকা।
???????? Neymar y Lamine siguen pasándoselo en gran en sus vacaciones por Brasil
???? via mohamedel_ab pic.
নেইমারের সঙ্গে ইয়ামালের ছুটি কাটানো নিয়ে ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যম ‘ও গ্লোবো’ জানিয়েছে, সান্তোস তারকা নেইমার গত বৃহস্পতিবার রিও ডি জেনিরোর মানগারাবিতা শহরে নিজের বাসভবনে বার্সেলোনা তারকা ইয়ামালকে স্বাগত জানিয়েছেন। নেইমার নিজেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ইয়ামালের সঙ্গে সময় কাটানোর ভিডিও পোস্ট করেন।
ব্রাজিলে নেইমারের সঙ্গে সমুদ্রসৈকতের পাশে ফুটভলি খেলতে দেখা গেছে ইয়ামালকে। ফুটবল ও ভলিবলের সংমিশ্রণে গঠিত এই খেলায় ইয়ামাল বেশ ভালোই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন নেইমার ও তার বন্ধুদের সঙ্গে। এরপর দুজনকে দেখা গেছে একটি স্পিড বাগি রাইডে, যেখানে তারা ব্রাজিলের সৌন্দর্য উপভোগ করেন। এছাড়াও একটি আর্কেড গেম সেন্টারে নেইমার ও ইয়ামালকে একসঙ্গে বাস্কেটবল খেলতে দেখা যায়। একটি পুল পার্টিতেও একসঙ্গে দেখা গেছে দুজনকে। দেখে মনে হবে, ৩৩ বছর বয়সী নেইমার যেন ছোট ভাইয়ের মতো করে আপন করে নিয়েছেন ১৭ বছর বয়সী ইয়ামালকে।
Neymar & Lamine Yamal playing some futvôlei in Brazil ????????☀️ pic.twitter.com/ilXMsySqwz
— Ginga Bonito ???????? (@GingaBonitoHub) June 19, 2025বার্সার হয়ে দুর্দান্ত মৌসুম শেষে এখন বিশ্রামে আছেন ইয়ামাল। ক্লাব বিশ্বকাপে অংশ নিতে না পারায় গ্রীষ্মটা পুরোপুরি নিজের মতো কাটানোর সুযোগ পেয়েছেন তিনি। এর আগে স্পেনের হয়ে ইউরোপিয়ান নেশন্স লিগের ফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে হারের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে তার ক্লাব-জাতীয় দলের ব্যস্ত মৌসুম।
বার্সার হয়ে সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে ৫৫ ম্যাচে ১৮ গোল ও ২৫ অ্যাসিস্ট করে দুর্দান্ত একটি মৌসুম কাটিয়েছেন তিনি। তার এই পারফরম্যান্স তাকে ব্যালন ডি’অর আলোচনাতেও নিয়ে এসেছে। অনেকেই বলছেন, তিনি যেন মেসি ও নেইমারের এক অসাধারণ সংমিশ্রণ। এমনকি গুঞ্জন ছিল, নেইমারের অনুকরণ করতেই কোপা দেল রের ফাইনালের আগে চুলে সোনালী রঙ করেছিলেন ইয়ামাল।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আল্লাহর ৯৯ নাম ও তার ফজিলত
মানুষ তার রবকে যত বেশি চেনে, তার ইমান তত দৃঢ় হয়, ভালোবাসা তত গভীর হয়, আমল তত নিখুঁত হয়। আল্লাহর পরিচয় জানার সর্বোত্তম উপায় হলো তাঁর সুন্দর নাম ও গুণাবলি জানা। কোরআনে আল্লাহ নিজেই ঘোষণা করেছেন, “আল্লাহরই সবচেয়ে সুন্দর নামসমূহ রয়েছে। সুতরাং তোমরা তাঁকে সে নামগুলোর মাধ্যমে ডাকো।” (সুরা আ’আরাফ, আয়াত: ১৮০)
হাদিসে এসেছে, “আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম রয়েছে। যে এগুলো মুখস্থ করে, বুঝে ও আমল করে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ বুখারি, হাদিস: ২৭৩৬; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)
এ থেকে বোঝা যায়, আল্লাহর নামগুলো জানা, সেগুলো দিয়ে দোয়া করা ও জীবনে প্রয়োগ করা হলো ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
আরও পড়ুনইসমে আজমের শক্তি ও রহস্য৩০ জুন ২০২৫আল্লাহর ৯৯ নামের তালিকা১. আল্লাহ – উপাসনার একমাত্র যোগ্য
২. আর-রহমান – অসীম দয়ালু
৩. আর-রহিম – পরম করুণাময়
৪. আল-মালিক – জগতের একচ্ছত্র মালিক
৫. আল-কুদ্দুস – পরম পবিত্র
৬. আস-সালাম – শান্তি ও নিরাপত্তার উৎস
৭. আল-মুমিন – নিরাপত্তা দানকারী
৮. আল-মুহাইমিন – অভিভাবক ও রক্ষক
৯. আল-আজিজ – পরাক্রমশালী
১০. আল-জাব্বার – ইচ্ছামতো সবকিছু নিয়ন্ত্রণকারী
১১. আল-মুতাকাব্বির – মহিমাময়
১২. আল-খালিক – স্রষ্টা
১৩. আল-বারি – নিখুঁতভাবে সৃষ্টিকারী
১৪. আল-মুসাওয়ির – আকৃতি দানকারী
১৫. আল-গফ্ফার – অপরাধ ক্ষমাকারী
১৬. আল-কাহহার – প্রভাবশালী
১৭. আল-ওয়াহ্হাব – সীমাহীন দানশীল
১৮. আর-রাযযাক – রিজিকদাতা
১৯. আল-ফাত্তাহ – উন্মোচনকারী
২০. আল-আলিম – সর্বজ্ঞ
২১. আল-ক্বাবিদ – সংযমকারী
২২. আল-বাসিত – প্রাচুর্যদানকারী
২৩. আল-খাফিদ – মর্যাদা হ্রাসকারী
২৪. আর-রাফি – মর্যাদা উন্নীতকারী
২৫. আল-মুই’জ্জ – সম্মান দানকারী
২৬. আল-মুযিল্ল – অপমান দানকারী
২৭. আস-সামি – সর্বশ্রোতা
২৮. আল-বাসীর – সর্বদ্রষ্টা
২৯. আল-হাকাম – বিচারক
৩০. আল-আদল – ন্যায়পরায়ণ
৩১. আল-লতিফ – সূক্ষ্মদর্শী ও সদয়
৩২. আল-খবির – সব বিষয়ে অবহিত
৩৩. আল-হালিম – সহনশীল
৩৪. আল-আজিম – মহান
৩৫. আল-গফুর – ক্ষমাশীল
৩৬. আশ-শাকুর – কৃতজ্ঞতা গ্রহণকারী
৩৭. আল-আলী – সর্বোচ্চ
৩৮. আল-কবির – মহত্তম
৩৯. আল-হাফিজ – সংরক্ষণকারী
৪০. আল-মুকিত – জীবিকার যোগানদাতা
৪১. আল-হাসিব – হিসাব গ্রহণকারী
৪২. আল-জলিল – গৌরবময়
৪৩. আল-করিম – উদার দাতা
৪৪. আর-রকিব – তত্ত্বাবধায়ক
৪৫. আল-মুজিব – সাড়া দানকারী
৪৬. আল-ওয়াসি – সীমাহীন
৪৭. আল-হাকিম – প্রজ্ঞাময়
৪৮. আল-ওয়াদুদ – প্রেমময়
৪৯. আল-মাজিদ – মহিমান্বিত
৫০. আল-বা’স – পুনরুত্থানকারী
৫১. আশ-শাহিদ – সাক্ষী
৫২. আল-হাক্ক – পরম সত্য
৫৩. আল-ওকিল – ভরসাযোগ্য
৫৪. আল-ক্বাওই – শক্তিশালী
৫৫. আল-মাতিন – দৃঢ়শক্তিধর
৫৬. আল-ওয়ালি – সাহায্যকারী অভিভাবক
৫৭. আল-হামিদ – প্রশংসার অধিকারী
৫৮. আল-মুহসি – গণনাকারী
৫৯. আল-মুবদি – সৃষ্টির সূচনা দানকারী
৬০. আল-মুই’দ – পুনরায় সৃষ্টি দানকারী
৬১. আল-মুহই – জীবনদাতা
৬২. আল-মুমিত – মৃত্যুদাতা
৬৩. আল-হাইয়্যু – চিরঞ্জীব
৬৪. আল-কাইয়ুম – ধারক ও পালনকর্তা
৬৫. আল-ওয়াজিদ – সন্ধানকারী
৬৬. আল-মাজিদ – মহিমান্বিত
৬৭. আল-ওয়াহিদ – একক
৬৮. আস-সামাদ – অমুখাপেক্ষী
৬৯. আল-কাদির – সর্বশক্তিমান
৭০. আল-মুকতাদির – নিয়ন্ত্রণকারী
৭১. আল-মুকাদ্দিম – অগ্রগামীকারী
৭২. আল-মুআখখির – পশ্চাদপসারক
৭৩. আল-আউয়াল – সবার আগে
৭৪. আল-আখির – সবার পরে
৭৫. আয-যাহির – প্রকাশ্য
৭৬. আল-বাতিন – অদৃশ্য
৭৭. আল-ওয়ালি – অভিভাবক
৭৮. আল-মুতাআলি – মর্যাদাবান
৭৯. আল-বার্র – কল্যাণকারী
৮০. আত-তাওয়াব – তওবা গ্রহণকারী
৮১. আল-মুনতাকিম – প্রতিশোধ গ্রহণকারী
৮২. আল-আফু – ক্ষমাশীল
৮৩. আর-রউফ – দয়ালু
৮৪. মালিকুল মুলক – সবকিছুর মালিক
৮৫. যুল জালালি ওয়াল ইকরাম – মহিমা ও সম্মানের অধিকারী
৮৬. আল-মুকসিত – ন্যায়বিচারকারী
৮৭. আল-জামি – একত্রকারী
৮৮. আল-গানি – অমুখাপেক্ষী
৮৯. আল-মুগনি – সম্পদদাতা
৯০. আল-মানি – বাধাদানকারী
৯১. আদ-দার – ক্ষতিসাধনকারী
৯২. আন-নাফি – উপকার দানকারী
৯৩. আন-নূর – আলো
৯৪. আল-হাদি – পথপ্রদর্শক
৯৫. আল-বাদি – অভিনব স্রষ্টা
৯৬. আল-বাকি – চিরস্থায়ী
৯৭. আল-ওয়ারিস – উত্তরাধিকারী
৯৮. আর-রশিদ – দিশাদাতা
৯৯. আস-সবুর – ধৈর্যশীল
আরও পড়ুনআল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ নাম ‘আল্লাহ’০২ জুন ২০২৫আল্লাহর নামের ফজিলত১. আল্লাহর নাম দ্বারা দোয়া কবুল হয়: “সবচেয়ে সুন্দর নাম আল্লাহরই। তাই সে নামগুলো দিয়ে তাঁকে ডাকো।” (সুরা আ’আরাফ, আয়াত: ১৮০)
২. আল্লাহর নাম মুখস্থ ও বোঝা জান্নাতের পথ: “যে ব্যক্তি আল্লাহর নিরানব্বইটি নাম মুখস্থ রাখবে ও বুঝবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২৬৭৭)
৩. আল্লাহর নাম জীবনে প্রভাব ফেলে: ইমাম ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন: “আল্লাহর নামগুলো কেবল মুখস্থ রাখার জন্য নয়, বরং সেগুলো মানুষকে আল্লাহর মহিমা ও গুণাবলির প্রতি জাগ্রত করে।” (ইবনুল কাইয়িম, আল-নুনিয়্যা, ২/৯১, দারুস সালাম, রিয়াদ, ২০০৫)
আল্লাহর সুন্দর নামগুলো হলো ইমানের রশ্মি, হৃদয়ের প্রশান্তি এবং দোয়ার চাবিকাঠি। মুসলমানের উচিত এই নামগুলো মুখস্থ করা, দোয়া-ইবাদতে ব্যবহার করা এবং জীবনে প্রতিফলিত করা। যে ব্যক্তি সত্যিকার অর্থে আল্লাহর নামগুলো জানবে ও মানবে, তার ইমান হবে দৃঢ়, আমল হবে খাঁটি, আর জীবন হবে প্রশান্তির।
আরও পড়ুনমহান আল্লাহর হাসি১১ জুলাই ২০২৫